ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায়
ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায়, শরীর ফিট রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব, কিভাবে শরীর ফিট রাখা যায় বা ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এই আর্টিকেলে উল্লেখ্য করব ইনশাল্লাহ।
এই পৃথিবীতে সবাই চাই তার শরীরটা ঠিক এবং সুন্দর থাক, বিশেষ করে ছেলেরা এটা
একটু বেশি চায়। তাই আমি আপনাদের সাথে আজকে শুধু ছেলেদের বডি ফিটনেস ঠিক
রাখার উপায় না, আজকে আমি ছেলে মেয়ে উভয়ই সকলের বডি ফিটনেস ঠিক রাখার উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। যদি আপনি বডি ফিটনেস
ঠিক রাখতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে চলুন
শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্র
বডি ফিটনেস কি
বডি ফিটনেস কি, বডি ফিটনেস হল এমন একটা জিনিস তা আমাদের জীবনে প্রয়োজন অনেক বেশি শারীরিক সক্ষমতা বা ফিজিক্যাল ফিটনেস হল সুস্থ ও ভালো ভালো থাকা। এবং স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করাটাই মূলত বডি ফিটনেস কে বোঝায়। এবং আরো স্পষ্টভাবে বললে, এটি হল বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা, পেশা ও দৈনন্দিক কাজকর্ম করার ক্ষমতা বা নিজেকে শক্তিশালী মনে করা। কোন কাজ করতে গেলে বা কোন ধরনের কথা বলতে গেলে সমস্যা না হওয়া। স্বাভাবিক জীবন যাপন করাটাই শরীর ঠিক থাকা বা তাকে বডি ফিটনেস থাকা বলে।
তাহলে এবারে চলুন কিভাবে শরীর ফিট থাকতে দৈনিক সেসব কাজ করবেন জেনে
নেওয়া যাক-
নিয়মিত ব্যায়মঃ আপনাকে শরীর ঠিক থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে
হবে। কেউ যদি বলে যে আমি শরীর ফিট রাখবো কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম করবো
না। তাহলে তার শরীর ফিট থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই আমাদের শরীর ঠিক
রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। যেমন-সাইকেল চালানো,
দৌড়ানো, হাটাহাটি করা, এক কথায় যেগুলো করলে আপনার শারীরিক পরিশ্রম
হবে সে ধরনের কাজ করা বা সে ধরনের ব্যায়াম করা।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণঃ শরীর ফিট রাখতে হলে শুধু নিয়মিত ব্যায়াম করলে না। আপনাকে ব্যায়াম করার পাশাপাশি ভালো-মন্দ খাওয়াতে হবে। ভালো মন্দ মানে যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ক্যালরি, ভিটামিন সি, ডি, প্রোটিন, ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। সারাদিনে প্রচুর পানি পান করতে হবে। আপনার খাবারের মধ্যে চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি সীমিত রাখতে হবে।
শরীরের দিকে খেয়াল রাখুনঃ প্রত্যেকদিন ব্যায়ামের সময় আপনার শরীরে কেমন অনুভব করছেন। সেদিকেই খেয়াল রাখুন বা মনোযোগ দিন। যদি ব্যায়াম করতে গিয়ে শরীরের মধ্যে কোন ধরনের সমস্যা বা ব্যথা অনুভব করেন। দৈনিক আপনার যে শারীরিক চর্চার ক্ষেত্রে ক্রিয়া-কলাপগুলো রয়েছে সেগুলো সমদর্শপূর্ণ রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রামঃ শরীর ঠিক রাখার জন্য ঘুম অনেক ইম্পরট্যান্ট জিনিস। প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। দিনে রাতে কমপক্ষে (৭-৯ ঘন্টা) ঘুমাতে হবে। প্রত্যেকদিন আপনি সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমালে বা বিশ্রাম নিলে আপনার যে ব্যায়াম করে যে শরীরের ঘাটতি হয়েছে তা ঘুমানোর মাধ্যমে পূরণ হয়ে যাবে। মনে রাখবেন শুধু খাবারি আমাদের শরীরের জন্য পর্যাপ্ত নয়। খাবার যেমন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। তেমনি আমাদের ঘুমো শরীরের জন্য প্রয়োজন।
উপরের এই নিয়মগুলো আপনি দৈনিক অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে। আপনি একটি উচ্চ
স্তরের অর্জন করতে পারবেন। যা আপনার স্বাস্থ্যের ও জীবনের জন্য অনেক সুন্দর একটা
দিক।
ছেলেদের ফিটনেস বাড়ে যেসব খাবার
ছেলেদের ফিটনেস বাড়ে যেসব খাবারে, শরীর ফিট রাখার জন্য সঠিক সময় সঠিক খাদ্য গ্রহণ। একজন পুরুষকে শারীরিকভাবে ফিট রাখার জন্য বা শরীর ফেটে রাখার জন্য। প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু উপকারী খাদ্য খারাপ প্রয়োজন। বিশ্লেষকরা বলেছেন-প্রত্যেকদিন খাবারের তালিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি ফলমূল মাছ মাংস এবং কমফ্যাট জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। সব খাবারের পাশাপাশি ফল এবং সবজি খাবার তালিকা রাখতে হবে।
কলাঃ সহজে এবং কম খরচে শরীরে এনার্জি বাড়ানোর জন্য সবচাইতে উপযোগ খবর হলো কলা। আমাদের প্রত্যেকদিন খাবার তালিকার মধ্যে কলা থাকা উচিত। এটি সহজলভ্য এবং পুষ্ট গুণে ভরপুর কলায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। একটি মাঝারি কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালরি ৩ গ্রাম ফাইবার এক গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও কলায় রয়েছে ভিটামিন সি বি৬ এবং পটাশিয়াম যার শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ডিমঃ প্রতিদিন এর খাবারের তালিকায় ডিম থাকা উচিত। ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি, আয়রন,ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, এবং ভিটামিন ডি ভরপুর এবং প্রত্যেকটা মানুষের জন্য ডিম অনেক উপকারী। ছেলেদের শরীর ফিট রাখার জন্য ডিম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং প্রত্যেকদিন খাবার তালিকার মধ্যে ডিম রাখতেই হবে।
আপেলঃ আপেল প্রত্যেকদিন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শরীর ফিট রাখার জন্য আপেল প্রত্যেকদিন খাবার তালিকার মধ্যে রাখতে হবে। আপেল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।
ব্রকলিঃ সবুজ শাক-সবজির মধ্যে অবশ্যই আমাদের ব্রকলি খাবার তালিকা মধ্যে
প্রত্যেকদিন রাখা দরকার। এই ব্রকলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপকারি উপাদান
রয়েছে। এ ব্রকলি খেলে আমাদের ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো অসুখের প্রতিরোধ
সাহায্য করে।
শরীর সুস্থ রাখতে এবং একজন পুরুষের প্রত্যেকটির খাবার তালিকার মধ্যে, পর্যাপ্ত
পরিমাণে টাটকা শাক-সবজি ফলমূল শস্য দানা মাছ-মাংস কম ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া
দরকার। সমস্ত খাবারে পাশাপাশি অবশ্যই ফলমূল শাকসবজি রাখতে হবে।
ফিটনেস ধরে রাখার কিছু কৌশল
ফিটনে ধরে রাখার কিছু কৌশল, প্রত্যেকটা জিনিস একটা বয়স আছে। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা দিবে। যেমন ধরেন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাড় ক্ষয়, ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ তাই সেগুলো প্রতিরোধে আমাদের যেগুলো শুরু থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে সেগুলো জানা আমাদের জন্য জরুরী
শরীর ফিটনেস ধরে রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করিতে হবে।প্রত্যেকদিন যদি আমরা নিয়মিত শরীর চর্চা করে থাকি। তাহলে আমাদের যে শরীরের ওজন বৃদ্ধি সেইটা থাকবে না ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এবং শরীর ফিট থাকবে।
সাধ্যমত জোরে হাঁটলে হৃতন্ত্র ও ফুসফুসের বেশি উপকার হয়। প্রত্যেকদিন আপনার ২৫ থেকে ৩০ মিটার হাঁটতে হবে।অর্থাৎ দুই কিলোর মত ।এমন গতিতে হাঁটবেন যেন শরীর ঘেমে যায়। বেশি জোরে বা বেশি ধীরে না মিডিয়াম। অ্যারোবিক ব্যায়ামের মধ্যে হাত রয়েছে হাটা। স্লিপিং, সাঁতার, জগিং, সাইকেল চালানো ইত্যাদি।
শারীরিক ফিটনেস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আপনি যত ফিট থাকবেন আপনার শরীরে রোগ আসতে ভয় করবে।আমরা যারা ইয়াং আছি ১৮ থেকে ৪০ শারীরিকভাবে ফিট রাখার জন্য। প্রত্যেকদিন আপনাকে ১৬০ থেকে ১৮০ মিটার মাঝারি গতিতে বা ৭৭ মিটার জোর গতিতে আরবিক ব্যায়াম করা দরকার। এভাবে সপ্তাহে ২-৫ দিন করতে হবে বেশি শক্তি বাড়ানো ব্যায়াম।
আমাদের সাইরির সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জরুরী। মেডিটেশনের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়। এই জায়গায় টানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর দৌড়ানো হাটাহাটি করুন। প্রয়োজনে হলে হালকা ব্যায়াম করতে পারে। আমাদের দৈনিক কার্যক্রমের মধ্যে একটু স্বাধীনতা বা বুদ্ধি করলেই জড়িয়ে ফেলা যায় বাড়তি মেদ এবং এর মধ্যে শরীরের ফিটনেস ধরে রাখা যায়। ছেলেদের শরীরে ফিটনেস অনেক জরুরী । প্রত্যেকটা ছেলে চায় তাদের শরীর ফিটেও সুন্দর থাকুক।
আমরা প্রত্যেকদিন কাজকর্মের মাধ্যমে অফিস আদালতে নিজেরা যেয়ে থাকি এই সময়
লিভ না ব্যবহার করে মাঝে মাঝে সিঁড়িবে উপরে উঠুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করুন। সকালে হালকা জগিং বা
দ্রুতগতিতে হাটার অভ্যাস প্রত্যেকদিন গড়ে তুলুন। এতে শারীরিক গঠন ঠিক থাকবে এবং
অতিরিক্ত চলবে ও কমে যাবে।
পরিষ্কার থাকার অভ্যাস আমাদের রেগুলার করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাটাই মানে রঙ্গ! পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমে ও শারীরিক সুস্থতা এবং শরীর ফিট রাখার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যেকদিনের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাতে ঘুমানোর পর্যন্ত আমাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকার চেষ্টা করতে হবে। জামা কাপড়, ঘর, ব্যবহারিক সরঞ্জাম ইত্যাদি ।
খাওয়ার সময় অবশ্যই ধীর-স্থির ভাবে এবং সময় নিয়ে চিবিয়ে খেতে
হবে। খাবারের মধ্যে তাড়াহুড়া করা যাবে না। এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করতে
হবে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য।
রাতে যত দ্রুত সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নিন। রাতের খাবার সময় সাধারণত সন্ধ্যা
ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এর মধ্যে আপনি খাবার খেলে শরীরের
ক্যালরি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
কাঁচা লবণ চিনি খাওয়ার অভ্যাস থেকে দূরে রাখুন। ভাতে লবণ খাবেন না। আমরা যে
তরকারিতে লবণ খাই ওইটাই আমাদের জন্য এনাফ এজন্য ভাতে লবণ খাবেন না।
তেল যুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবারের পর ঠান্ডা বা চর্বি জাতীয় খাবার বা পানি পান
করার থেকে এগিয়ে চলুন।
প্রত্যেকদিন আরাম আয়েশ করে সুন্দরভাবে সর্বনিম্ন ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।
জীবনের টেনশন বেশি করবেন না যেটা আপনার নসিবে আছে সেটা অবশ্যই হয়ে যাবে। এজন্য লাইফ নিয়ে বেশি চিন্তা টেনশন করা যাবেনা। শুধু খাওয়া দাওয়া ঘুমানো এক্সারসাইজ এগুলোর মধ্যে শরীর ফিট রাখেনা। এই চিন্তা ভাবনা যদি করেন আপনি খাওয়া দাওয়া যোগিনী যতই করেন আপনার শরীর থাকবে না। এজন্য নিজেকে সবসময় চিন্তা মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং কাজে মনোযোগী হতে হবে।
মেয়েদের শরীল ফিট রাখার উপায়
মেয়েদের শরীর ফিট রাখার উপায়, কর্মজীবনে ঘরের কাজের পাশাপাশি নিজের অফিস আদালতের বা নিজের কর্মস্থলের কাজও তাদেরকে সামলাতে হয়। এজন্য নারীদের শরীল ঠিক রাখা অনেক জরুরী। ছেলেদের তুলনায় নারীদেরকে সব সময় ঠিক থাকতে হবে। একটা কথা কি নিজের শারীরিকভাবে ফিট না থাকলে। কোন কাজই ভালো লাগেনা বা কাজে মন বসে না। সে নারী হোক কিংবা পুরুষ হোক তাই আমাদের উচিত সকলেই মিলে আমাদের পরিবারকে ফিট রাখা।
শুধু নিজেই ঠিক থাকলে হবেনা পরিবারের অন্যজনকেও ফিট থাকার জন্য গাইড করতে
হবে।বেশিরভাগ সময়ে কর্মজীবনে নারীরা সময়ের অভাবে নিজেদের খাদ্য ভাস ও
স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে পারে না। নারীরা তাদের সংসার কর্মস্থল এসব
সামলাতে তাদের খাদ্যে অভ্যাসের অনেক ব্যাঘাত ঘটে এবং তাদের শরীরে অনেক ধরনের রোগ
বলে দেখা দেয়।
প্রত্যেকদিন চা খাবেনঃ সারাদিন প্রচুর পরিমাণে আপনাকে প্রাণে পান করতে হবে। প্রাণীর মাধ্যমে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সম্পন্ন শরীরের ছড়িয়ে পড়ে এবং দূষিত রাজ্য পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এজন্য আমাদের প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি এমন একটা খাবার যা আপনি যদি একটু বেশি খান তাহলে কোন সমস্যা নেই।
সকালের নাচতে যেকোনো একটি ফল খাওয়া যেতে পারে। ফল আপনার হজম শক্তি বাড়াতে
সাহায্য করবে। হজম শক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করে যা আমাদের
শরীরের জন্য কর্মক্ষ রাখে। আমাদের প্রত্যেকদিনের খাবারের তালিকায় ভাত,
রুটি, শাক-সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
সারাদিনে অতিরিক্ত পরিমাণে চা কফি চকলেট খাওয়ায় উচিত নয়। সকলের নাস্তা কখনো বাদ দেওয়া যাবে না এতে হজমের জন্য শরীরে প্রচুর শক্তির অপচয় হয়। সঠিক পোস্টটি উপাদান যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, দূর করতে সাহায্য করে। তেমনি ভাবে সুন্দর চুল, স্বাস্থ্য ও সুন্দর ত্বক আপনাকে উপহার দেয়। এর সঙ্গে সারা দিনে মাত্র ৩০ মিনিট যেকোন হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা অভ্যাস করলে পারলে মেয়েদের শরীর অনেক ফিট থাকবে।
শরীর ফিট রাখার ৫ টি সেরা ব্যায়াম
শরীর ফিট রাখার পাঁচটি সেরা ব্যায়াম, সাধারণভাবে প্রাকৃতিক নিয়মে একজন তরুণের শরীর তাগড়া থাকে। তবু শরীরকে শুধা মোর রূপ মুক্ত রাখতে আগ্রহের কমতি থাকে না। কমতে থাকে না শরীরচর্চা ও ব্যয়ামের। কিন্তু সময় সুযোগ করে কঠিন ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করা কি সম্ভব তাহলে চলুন শরীর ফিট রাখার জন্য দৈনিক সাতটি সেরা ব্যায়ামের সম্মুখীন হওয়া যাক-
শেষ কবে লাফ দিয়েছেন এটা হয়তো আপনার মনে নেই। হয়তোবা ছোটবেলায় লাভ দিয়েছেন এই দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি আপনি যেকোনো ছোট বাচ্চাদের সাথেও করতে পারেন। আপনি রেগুলার আপনাদের আশেপাশে যেগুলো ছোট বাচ্চারা আছে তাদেরকে নিয়ে দড়ির উপর দিয়ে লাফ দিয়া দিয়ি করতে পারেন।
আপনার মাংসপেশীর উন্নতি ও নমনীয় করার পাশাপাশি আলাদাভাবে শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গের উপকার করে এই ব্যায়ামটি।তাছাড়া রক্ত চলাচল হৃদযন্তের উপকারীতা পাশাপাশি উপকার পাবেন মাংসপেশিরো দিনে দুই বেলা করে ১৫-১৫ বার করতে করতে পারেন।
প্রত্যেক দিন সময় করে সাঁতার কাটতে হবে, সাঁতার হচ্ছে শ্রেষ্ঠ
ব্যায়াম। সাঁতারের উপকারিতা অসংখ্য এর মধ্যে শক্তিশালী হৃৎপিণ্ড
ফুসফুসের শক্তি বাড়ানো এবং রক্তচাপ কমানো এগুলো বিশেষভাবে
উপলক্ষেযোগ্য।
প্রত্যেকদিন দৌড়ানো, দৌড়ানোর অনেক উপকারিতার মধ্যে হৃদযন্ত্রের উন্নতি হতাশা কাটানো থেকে সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দৌড়ানো অন্য যেকোনো ব্যায়াম থেকে বেশি কার্যকর। দৌড়ালে আপনার শরীর অনেক প্রফুল্ল এবং সিপ সিপে মনে হয়।
বুকডন-একটু কঠিন মনে হয় বলে অনেক মানুষই পুশ-বা বুক ডাউন চর্চায় এড়িয়ে চলে। এই ব্যায়ামটা যদি আপনি নিয়মিত করতে পারেন আপনার শরীরের জন্য অনেক শক্তিশালী এবং হাডি। আর শুধু দেহের উপরে অংশের জন্য নয়। কোমর সহ পায়ের জন্য আছে বিশেষ পুশ-আপ। ব্যায়াম করতে করতে একঘেয়ে হয়ে যাওয়া এড়িয়ে মাঝেমধ্যে পুশ-আপের ধরন পরিবর্তন করুন। এতে ঘুরে ফিরে পুরো শরীর গঠনে যেমন সুফল পাবেন তেমনি একঘেয়েমিও কাটবে। কোমর ব্যথা এবং কুজো হয়ে যাওয়া এড়াতে এই চর্চা মনোযোগ হন তাহলে দেখবেন আপনার সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
শরীর ও মন সুস্থ রাখার উপায়
শরীর ও মন সুস্থ রাখার উপায়, আপনার শরীরে সারাদিনের জন্য উজ্জীবিত ও প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সকলের নাস্তা হল দিনের প্রথম খাবার। তাই এটি আপনি মিস করবেন না বাইরে যাবেন না এটি এড়িয়ে যা আপনার জন্য অনেক বড় একটা ভুল। আপনার প্রত্যাশা আপনার দিনের জন্য সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার একটি হওয়া উচিত। এবং যেকোনো খাবারের মধ্যে চিনি কম খেতে হবে। চিনি বেশি খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, ফ্যাটি লিভার, ইত্যাদি রোগের সম্ভাবনা আছে।
বেশি বেশি পানি পান করুন-আমাদের শরীরে প্রায় ৫০ থেকে ৭০% পানি দিয়ে
গঠিত। সবসময় হাইড্রেটেড থাকা আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক লোক প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করে না। শরীরের
সমস্ত কোষ এবং অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে পারে যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান
করবেন। পর্যাপ্ত প্রাণী পান করলে শুধু আপনার বিপাকে বাড়িয়ে তোলে এবং টক্সিন
গুলিকে বের করে দেয় না, তবে আপনাকে পূর্ণবোধ করে। পানির পরিমাণ বেশি
থাকে এমন ফল বা সবজিও খেতে হবে। তাহলে আপনার যে পানির ঘাটতি সেটা আপনার
খাদ্যের মধ্যে দিয়ে পুরনো হয়ে যাবে।
ঘুম আবশ্যক-প্রত্যেকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্য উপাদান, এবং
ঘুমের বঞ্চনা শুরুতে স্বাস্থ্যের পরিণত হতে পারে। সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য
ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে। ঘুম
মানুষের শরীরের মেরামত করতে এবং ফিট রাখতে প্রস্তুত করে এবং সক্ষম করে তোলে,
ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায় এর জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা
বিষয়। আপনি যদি চান আমার সোহেল আমি ফিট রাখব। তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ম
করে প্রত্যেকদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
ধূমপান ত্যাগ করতে হবে-ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই কথাটা জানে না এমন কোন মানুষ মনে হয় নাই পৃথিবীতে আছে। ধূমপান ছাড়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনার স্বাস্থ্য প্রায় অবিলম্বে উন্নত হতে শুরু করে এবং আপনার অনেক রোগ হওয়ার ঝুঁকে হ্রাস পায়। ধূমপান করলে আপনার শরীরের ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ছেলেদের ধূমপান থেকে বিরত থাকা। ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায় শরীর ফিট রাখবো রাখবো বললেই হবে না! ধূমপান যারা করেন তাদেরকে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
মাসে না হলেও তিন মাস পর আপনার শরীর চেকআপ করান। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা ও
বিভিন্ন শরীরের টেস্ট করে আপনার শরীরকে শরীরকে আপনি ঠিক রাখতে
পারেন। ছেলেদের শরীর ফিট রাখার জন্য অবশ্যই মাসে না হলেও তিন মাসে আমাদের
সকলের একবার করে চেকআপ করা উচিত। যদি আপনি সামর্থ্যবান হয়ে থাকেন। আপনাকে
দুই মাসে একবার চেকআপ করানো উচিত। এতে আপনার শরীরের কোন জায়গায় ঘাটতি আছে কোন
জায়গা অভাব আছে খাদ্যের সেগুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
শরীরও মন দুটোই সুস্থ রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই উপরের নিয়ম গুলো ভালোভাবে
ফলো করতে হবে। শরীরও মন ভালো করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো ভ্রমণ করতে হবে।
এতে আপনার শরীর ও মন দুইটা ভালো থাকবে এবং এমন কোন কাজ বা পরিশ্রম করতে হবে যে
কাজের মাধ্যমে আপনাদের শরীর ঘেমে যায়। যখন আপনি কায়িক পরিশ্রম করবেন আপনার
শরীর থেকে ঘাম ঝরে পড়বে। তখন আপনার শরীরের ও মন দুটোই সুন্দর এবং সতেজ
থাকবে। যে কাজ করলে আপনি মনের মধ্যে শান্তি মজা পাবেন এরকম ধরনের
কাজ করবেন দেখবেন আপনার শরীর মন দুটোই অনেক সুন্দর এবং সতেজ থাকবে
ইনশাল্লাহ।
লেখকের শেষ কথা
ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায়, এ সম্পর্কে আমি উপরে অনেকগুলো বিষয় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। শুধু ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায়, এ সম্পর্কে না আমি মেয়েদেরও শরীর ফিট রাখার উপায় সম্পর্কে উপরে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । যদি আপনার এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার মন্তব্য কমেন্ট বক্সে লিখে যাবেন। আর হ্যাঁ আমি উপরে যে দিকনির্দেশনা গুলো আপনাদের দিয়েছি। যদি এই দিক নির্দেশনাগুলি সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করেন ইনশাল্লাহ আপনার শরীর ঠিক থাকবে বলে আশা করি।
আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url