শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

 শীতের ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়, এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এর সম্পর্কে পুরোপুরি আলোচনা করব। শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এ সম্পর্কে পুরোপুরি খুঁটিনাটি জানতে। আমাদের এই আর্টিকেলের সাথে থাকুন। 

শীতে-ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-উপায়

আজকে আমি আপনাদের জানাবো এই যে, আমাদের সামনে শীত আসতেছে এই শীতে আপনি কিভাবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করাবেন। কখন কি খাবেন, কখন কি তেল মাখবেন, কখন কি ক্রিম ব্যবহার করবেন। এক কথায় আপনাকে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এ সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানাবো চলুন বেশি বকবক না করে শুরু করা যাক। 

সূচিপত্র 

শীতের ত্বকের যত্ন

শীতের ত্বকের যত্ন, শীত মানে ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন। কারণ বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ত্বকের রুক্ষতা বহুগুণ বেড়ে যায়। শীতল বাতাস, কম আর্দ্রতা ও কম তাপমাত্রার কারণে স্বাভাবিক সময় এসে ত্বকের ক্ষতির পরিমাণ বাড়ে ত্বকের কুলগুলো ভাগতে থাকে, ওকে আসে কালচে ভাব। এছাড়া এই সময়ে ত্বকের নমনীয় ভাব কমে আসে, কালো দাগও বেশি ফুটে ওঠে শীতকালে রোদের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। 

পারিপার্শ্বিক অবস্থায় সঙ্গে শরীরকে খাপ খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থা রক্ষা করার ত্বকের একটি প্রধান কাজ। এজন্য ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তোকেও পরিবর্তন হয়ে থাকে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের স্বাভাবিকের আস্তরণ শুষে নেই। তাহলে তো শুষ্ক ও রুক্ষ হতে থাকে। বিশেষ করে একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথায়োসিস এবং  অ্যালার্জিজনিত রোগে যারা ভোগে থাকেন তাদের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সুস্থদের এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য শীতে ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নে প্রয়োজন। 

গোসলঃ অনেকে শীতে গরম পানিতে গোসল করে। এতে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে থাকে। কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন। গোসলে অপেক্ষাকৃত কম সাবান ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। একজিমা সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভোগে থাকেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাদ দিতে হবে। 

ময়েশ্চারাইজারঃ কোন রোগ না থাকলেও শীতে ত্বক স্বাভাবিক রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার তোকে নিঃসৃত তেল সংরক্ষণে সহায়তা করে এবং ত্বক সুন্দর রাখে। ক্রিম, লোশন, জেল এমনকি সাবান হিসেবে ময়েশ্চারাইজার  বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

পোশাকঃ টাইট ফিট এবং সিনথেটিক পোশাক ত্বককে আরো শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং এলার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তত্ত্ব দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করুন। পলিয়েস্টার, লিলেল, লাইলন ইত্যাদি পরিহার করুন। 

হিউমিডিফায়ারঃ ঘরে জলীয় বাষ্পের অনুতাপ ঠিক রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে রুমের জলীয় বাষ্প ৪০ থেকে ৬০ শতাংশে রাখুন। বিশেষ করে একজিমা,সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভোগে থাকেন তাদের জন্য হিউমিডিফায়ার বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। মনে রাখবেন, একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগছেন তাদের ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাস, ভাইরাস ও পরজীবী জনিত ত্বকের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

কাজেই শীতে ত্বকের যত্ন নিন-

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মেনে চলুন। 

২. খোলামেলা ও আলোকিত পরিবেশ থাকার চেষ্টা করুন

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখুন এবং

৫. চিন্তামুক্ত থাকুন

এসব নিয়ম মেনে চললে দেখবেন এই শীতের সময়টা আপনার জন্য অনেক উপভোগ হয়ে উঠেছে।

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়, সারা বছরই ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালের গুরুত্ব আরোও বেড়ে যায়। কারন শীতের সময় আবহাওয়ার প্রভাব আমাদের ত্বকে অনেক বেশি পড়ে। এ সময় আবহাওয়া অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় আমাদের ত্বকেও এতে ত্বক ও চুল শুষ্ক, নিষ্পান্ন হয়ে যায়। তাই শীতের ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা জরুরি তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক- 

ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন নাঃ শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কারণ শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে তো আরো বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তোকে দেখা দিতে পারে রেশও। তাই শীতের সময় হালকা গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস করুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হয়ে উঠবে।এ সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের তাপমাত্রা ঠিক থাকে ও ত্বক ভালো থাকে।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুনঃ শীতের প্রতিদিন দুই বেলা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে তা ত্বকে সঠিক হাইড্রেশন দেয় ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে খাঁটি নারীকে তেল বা অলিভ অয়েল তেলও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে শীতের দিন ত্বক ভালো থাকবে 

গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহারঃ শীতের সময়ে এমন কোন সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। কারণ শীতের সময় আমাদের ত্বক এমনিতে শুষ্ক হয়ে যায়। এরপর এ ধরনের সাবান ব্যবহার করলে তা ত্বককে আরো ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই শীতে এমন সাবান ব্যবহার করুন যাতে গ্লিসারিন রয়েছে। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখা সহজ হবে।

সানস্লিক ব্যবহারঃ শীতের সময়ও নিয়মিত ত্বকে সানসিল্ক ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে ত্বকে সানসিল্ক ব্যবহার করে তবেই বের হবেন। কারণ এটি শীতের সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট থেকে বাঁচাতে আপনাকে সাহায্য করবে। ত্বকে নিয়মিত সানসিল্ক ব্যবহার করলে ওদের তাপে ত্বক পড়ে যায় না। এবং ত্বকের রঙও ঠিক থাকে। 

হিউমিডিফাইইয়ার ব্যবহারঃ শীতের সময় হিউমিডিফাইইয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর থেকে গরম বাষ্প বের হয় যা ঘরে আদ্রতা বজায় রাখে। যে কারণে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে। তাই শীতের দিনগুলোতে আপনি এর সাহায্য নিতে পারেন। 

শীতে ত্বককে সুস্থ রাখবেন কিভাবে

শীতে তোকে সুস্থ রাখবেন কিভাবে, বছর ঘুরে আবারও শীতের আগমন। শীতকাল সবারই পছন্দের ঋতু। সবার পছন্দের হওয়ায় পরও শীত কিন্তু ত্বকের শুষ্ক লক্ষ্য করে তোলে। এ সময় ঠোঁট ফেটে যায়। অনেকে রক্ত বের হয়, তোকে সুন্দর উজ্জ্বল রাখার জন্য অতিরিক্ত সূর্যরশীল এড়িয়ে চলতে হবে। ত্বককে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে-

হাত ও পায়ের যত্নঃ শীতে হাত ও পায়ের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী লোশন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে করে হাতেও পায়ের আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব।

আদ্রতা ধরে রাখাঃ শীতে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য কিছুক্ষণ পর পর পানির ঝাপটা দিন মুখে। এতে করে সহজে শুষ্ক হবে না ত্বক।

ভেজা ত্বকের যত্নঃ গোসলের পর বা মুখ ধোয়ার পর টক ভেজা অবস্থায় লোশন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা সহজে বজায় থাকে। 

ঠোঁটের যত্নঃ শীতের জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো সবার অভ্যাস। এটা একদমই উচিত নয়। রাখার জন্য মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে আর কখনোই ঠোঁট ফাটবে না।

চুলের যত্নঃ শীতে গোসলের পর কখনোই ভেজা চুলে বের হওয়া উচিত নয়। এমন অবস্থায় বাইরে বের হলে চুলের আদ্রতা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় এবং সেই সঙ্গে চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পোশাকঃ শীতের শরীরকে গরম রাখার জন্য অনেকে টাইট-ফিট এবং সিনথেটিক বা কৃত্রিম তন্তর পোশাক ব্যবহার করেন। এসব পোশাক ময়েশ্চারাইজার ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ করে যা এলার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব পোশাক ব্যবহার না করে আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তর পোশাক ব্যবহার উত্তম।শীতে ত্বকের উজ্জলতায় বৃদ্ধির জন্য এটি আপনার জন্য অনেক উপকারী। কটন ও স্লিকের তৈরি পোশাক ব্যবহার করা ত্বকের জন্য অনেক ভালো। 

শীতে-ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

গোলাপ জল ও গ্লিসারিন ব্যবহারঃ ত্বকের সুরক্ষার গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ভূমিকা অনেক। গ্লিসারিন ব্যবহার যে কোন ত্বক দ্রুত মোলায়েন ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছু মানুষ রয়েছে যারা গ্লিসারিন একদমই পছন্দ করেন না। তাই গ্লিসারিনের সাথে কিছুটা গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক মসৃণ থাকার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। এছাড়াও শরীরে কালচে ও খসখসে ভাব দূর করে এবং ত্বকে অনেক সুন্দর রাখে। 

গরম পানি ব্যবহারে সতর্কতাঃ শীতকালে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে গোসলে অনেকেই গরম পানি ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ ও মাথা ধরা থেকে বিরত থাকা উচিত। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বককে ফলিকল গুলোর ক্ষতি করে। ফলিকল ত্বককে আদ্র রাখতে সহায়তা ও ভূমিকা পালন করে। তবে গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদাম তেল মিশিয়ে নিলে ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ থাকে। 

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ১০ টিপস

এই সময়ে হিম বাতাসে টান ধরে ত্বকে। তৈলাক্ত ত্বকই এই সময় বেশ শুষ্ক হয়ে যায়, আর যদি এমনিতেই শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে তো কথাই নেই। এজন্য শীতের শুরুতেই এ ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। আসুন জেনে নেই এমন দশটি টিপস যা শীতেও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

গরম পানিঃ শীতে গরম পানিতে গোসল করেন অনেকেই। তবে গরম পানির ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। তাই গরম পানিতে মুখ ধোবেন না। 

এক্সফোলিয়েটঃ শীতকালে মরা চামড়ার কারণে ত্বক দেখতে নির্জীব লাগে। শুষ্ক ত্বকে এই সমস্যা বেশি হয়। তাই সপ্তাহে একদিন এক্সফোলিয়েশন করা প্রয়োজন। 

মশ্চারাইজারঃ এই সময় ত্বকমশ্চারাইজ করা প্রয়োজন। বারবার মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি অয়েল বেসড মশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এটা আপনার জন্য অনেক ভাল হবে ট্রাই করে দেখতে পারেন। 

অ্যালকোহলঃ যেসব বিউটি প্রোডাক্টে  অ্যালকোহল থাকে সেগুলো ত্বক আরো শুষ্ক করে দেয়। তাই ত্বক শুষ্ক হলে এ ধরনের প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন। বরং ক্লিনজিং মিল্ক জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন এতে আপনার তো সুন্দর এবং সতেজ থাকবে।  

হিউমিডিফায়ারঃ শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে আসায় ঘরের ভিতরে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ঘুম থেকে উঠে হাত, পায়ে ত্বকে টান ধরে। তাই ঘরের জন্য কিনে ফেলুন হিউমিডিফায়ার। এতে ঘরের ভেতর গরম থাকবে। যদি শীতের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কষ্ট পান তাহলে একটু খরচ করে হিউমিডিফায়ার কিনে ফেলুন অনেক আরাম পাবেন। 

পেট্রোলিয়াম জেলিঃ পেট্রোলিয়াম জেলি শীতের জন্য ত্বকের অনেক উপকারী। এই সময় শুধু সূর্যের আলো থেকে ত্বকে বার্ন হয় না, ঠান্ডা হওয়া থেকেও জ্বালা হয়। একে বলা হয় উইন্ড বার্ন। শুষ্ক ত্বকে উইন্ড বার্ন অনেক বেশি ক্ষতি করে। এর থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে পেট্রোলিয়াম জেলি। 

অ্যালয় ভেরাঃ যদি খুব বেশি উইন্ড বার্ন হয় তাহলে ত্বকে অ্যালয় ভেরা জেল ব্যবহার করুন। 

ডার্মাটোলজিস্টঃ ত্বক যদি খুব সুস্থ হয় তাহলে শীতের শুরুতে অনেক রকম সমস্যা শুরু হয়। যত্ন নেওয়ার পরও যদি ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক লাগে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান।

ঠোঁটঃ শুধু ত্বকের যত্ন নিলে চলবে না। ঠোঁটের কথা ভুলে যাবেন না। শীতকালে শুষ্ক, ফাটা ঠোঁটের সমস্যা সবাই ভোগে।

সানস্ক্রিনঃ শীতকালে রোদের তাপ খুব বেশি থাকে। বাইরে বেরোলে রোদের তাপ সুষ্ক ত্বকে আরো বেশি প্রভাব ফেলে। তাই বাইরে বেরোলে অবশ্যই অন্তত এসপিএফ ১৫ যুক্ত সানস্ক্রিন লাগান।

 

শীতে-ত্বকে-উজ্জ্বলতা-বাড়াতে-খাবেন-যেসব-খাবার

শীতে ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে খাবেন যেসব খাবার

শীতে ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে খাবেন যেসব খাবার, শীতকালীন আবহাওয়ার ত্বক নিষ্পাণ আর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকে টান ধরতে শুরু করে ত্বক হারায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। এছাড়া রেশ, ব্রণ তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে ত্বকে শুষ্ক, রুক্ষ ভাবও চলে আসে। এই কারণে শীতকালে ত্বকের একটু ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন আছে। তবে শুধু বাইরের থেকেই ত্বকের যত্ন নিলে হবে না। ত্বকের ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে খেতে পারেন কয়েকটি খাবার চলুন জেনে নেওয়া যাক-

সবুজ শাকসবজিঃ এই সবুজ শাকসবজি শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই শাক-সবজিতে ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি শরীরে কোলেজেন উৎপাদনের সাহায্য করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। অন্যদিকে ভিটামিন ই ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এই ফ্রি রেডিকেল অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে এবং ত্বককে নিস্তেজ দেখাতে পারে। তাছাড়া, নিয়মিত শাকসবজি খেলে ত্বকের কালচে দাগগুলো হালকা হয়ে যায়। 

বাদামঃ কাঠবাদাম, আখরোট চিনাবাদাম শাস্তির পাশাপাশি ত্বকের ও যত্ন নেয়। ভিটামিন ই শুষ্কভাবে কাঠবাদাম ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে। আখরোটে রয়েছে কোলিন, জিংক, সেলিনিয়াম, ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এইসব পুষ্টি উপাদান ত্বককে সুস্থ রাখে। চিনাবাদাম শরীরে ভিটামিন বি৩ সরবরাহ করে, যাকে নিয়াসিনও বলা হয়। ত্বকের পরিচর্যায় এই ভিটামিনের উপকারিতা ও অনেক রয়েছে।

মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিনের দুর্দান্ত উৎস। বিটা-ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন এতে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ত্বক আদ্র রাখে। ত্বকের তারণ্য ফিরিয়ে আনে। ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এছাড়া ব্রণের সমস্যা থেকেও সুরক্ষিত রাখে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এর জন্য মিষ্টি আলু আমরা রেগুলার খাওয়ার চেষ্টা করব। 

কলাঃ কলা কে বলা হয় সকল ভিটামিনের উৎস ভিটামিন এ,বি,ডি, জিংক আইরন, ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কলা শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে তোলে। ফলের ত্বক এমনিতে সতেজ হয়ে ওঠে। নিয়মিত কলা খেলে ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকে এবংসুন্দর রাখে। 

টমেটোঃ ত্বকের যত্নে অনেকই টমেটো ব্যবহার করে থাকে। টমেটো যেমন রান্নার স্বাদ বারায় তেমনি রূপচর্চার ক্ষেত্রেও এর জবাব নেই। এর মধ্যে ভরপুর মাত্রায় এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানও করে। এর পাশাপাশি সান ট্যান দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুন কার্যকর টমেটো টমেটো যেমন খেতেও সুস্বাদু রান্নার ক্ষেত্রে তেমনি ত্বকের জন্য অনেক সুন্দর এবং উপকারী। 

ফ্ল্যাক্সসিডঃ ফ্ল্যাক্সসিডে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লিগন্যানস সমৃদ্ধ এই বীজ, তোকে বাধ্যকের  দাগছোপ পড়তে দেয়না। বলিরেখা রোদ করে এবং ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। এর পাশাপাশি ফ্ল্যাক্সসিড ত্বককে আদ্র রাখে এবং ত্বকের রুক্ষ শুষ্কভাব কমায়। 

আমার শেষ কথা

আমি আশা করি উপরের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। আমি উপরে যে পরামর্শ গুলো আপনাদের শীতের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য দিয়েছি সেগুলো আপনার অনেক কাজে আসবে এবং আপনারা সেগুলো ব্যবহার করে এবং এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনার অনেক উপকার হবে, যদি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্য লিখে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url