শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, আপনি তাহলে সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন আজকে আমি আপনাদের সাথে ত্বকের যত্নে অলিভ ওয়েল এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শীতের ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল এর গুরুত্ব নিয়ে
আলোচনা করব বলে ঠিক করেছি। ত্বক নরম ও কমল রাখতে অলিভ অয়েল, ত্বক উজ্জ্বল
করতে আপনার প্রতিদিনের রূপচর্চা অংশ হিসেবে অলিভ অয়েল, এবং অলিভ অয়েল
ব্যবহারের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে তুলে ধরব, কোন সময়
কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সমস্ত বিষয় থাকছে এই আর্টিকেলে।
পোস্ট সূচিপত্র
- ত্বকের যত্নে
- ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ১০ টি গুন
- ত্বক নরম ও কোমল রাখতে
- চুলের যত্নে অলিভ অয়েল তেলের ব্যবহার
- চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম কি?
- লেখকের ফাইনাল মন্তব্য
ত্বকের যত্নে
ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল, শীতে ত্বকের যত্নে বিউটি রুটিনে সামিল করে নিন অলিভ অয়েলকে। কারণ অলিভ অয়েলে আছে ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ যা ত্বকের যত্নে, শুষ্ক স্বাভাবিক তৈলাক্ত যেকোনো প্রকার ত্বকের জন্য খুব ভালো। এমনকি যাদের ত্বক সেনসিটিভ তারাও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তাই নয় অলিভ অয়েল আছে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি।এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে ত্বকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে, বলিরেখা, নির্জীব ত্বকের সমস্যাতে অলিভ অয়েল দারুন কার্যকর। প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর হাতে সামান্য অলে বল নিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন। কমলো মসৃণ হবে।
অলিভ অয়েল ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলের ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ফিরে আসে ও মলিনতা কমে যায়। অলিভ ওয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে যা ত্বকের নানা ধরনের ক্ষত সাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোজ টুকটাক মেকআপ সবারই করা হয়, ঘরে ফিরে সেই মেকাপ ভালো করে তুলে ফেলা অনেক বেশি জরুরী। টকে নিয়মিত যত্নে তেলটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।,নানান ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এই তেল আমাদের মুখে বয়সের ছাপ দূর করতে কাজ করে।
আমাদের ত্বকে প্রাণীর পরিমাণ কমে গেলে ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করে। নিয়মিত অলিভ অয়েলের ব্যবহার এই ঘাটতি আশঙ্কা দূর করে। প্রচুর ভিটামিন এ ও ই-এর পাশাপাশি এই তেল ভিটামিন ডি ও কে থাকে, যা ত্বকে সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশেও সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়। তাই এটিকে সরাসরি ময়শ্চেরাইজ হিসাবে বা ক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। কনুই বা হাঁটুর ছিলে যাওয়া চামড়া অথবা কোন হালকা আঘাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি মুখের ব্রণ রোধেও ভূমিকা রাখে এটি। ব্রণের জন্য দায়ি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিতে বাধা দেয় তেলটির বিভিন্ন উপাদান। রোজাছিয়া সুরিয়াসিসের মতো রোগগুলো কেউ বেশি বাড়তে দেয় না।
ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ১০ টি গুন
মশ্চারাইজেসনঃ ত্বকের মশ্চারাইজেশন এর জন্য অলিভ অয়েল হলো অন্যতম
একটি উৎস। অলিভ অয়েল এ আছে প্রাকৃতিক ইমোলিয়েটে যা
ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রেখে শুষ্কতা প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের
সুরক্ষায় আদ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল
ত্বকের সুরক্ষার একটি প্রাকৃতিক মশ্চারাইজারও বলা যায়।
অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষাঃ অলিভ অয়েল রয়েছে অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে ভিটামিন ই এবং পলিফেনল এর মত অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে যাওয়ার অক্সিডেটের ক্ষতিসমূহ থেকে রক্ষা করে এবং পাশাপাশি ত্বকের বাধ্যকর ছাপ হ্রাস করে। অলিভয়েলের এই অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বক কে বিশেষভাবে সুরক্ষা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ থেকে রক্ষা করে, এবং এটি অনেক উপকারী।
অ্যান্ট্রি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যঃ অলিভ অয়েলের ত্বকের সুরক্ষায় উপকারী বৈশিষ্ট্য গুলো ছাড়াও রয়েছে এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যা তোকে প্রশমিত করে এবং একজিমা,সোরিয়াসিস এর মত বিভিন্ন চর্ম রোগ উপশম বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। এ ধরনের চর্মরোগ দূরীকরণে তাই অলিভল বিশেষ কার্যকরী উপাদান হিসেবে সহায়তা করে থাকে।
দাগ দূরীকরণঃ ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে অলিভ
অয়েল বিশেষভাবে সাহায্য করে। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগের কারণে
আমাদের ত্বকে দাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ত্বক থেকে এই দাগ দূর করতে দাগের
মধ্যে অলিভ অয়েল হালকা করে ম্যাসেজ করতে হবে। এর মশ্চারাইজেশন এবং
পুনরুৎপাদনকারী বৈশিষ্ট্য গুলোর কারণে সময়ের সাথে সাথে দাগগুলো হালকা হয়ে
যায়, এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর ত্বক থেকে দাগ দূরীকরণ বিশেষভাবে সহায়তা করে
থাকে।
কিউটিকল এর যত্নেঃ কিউটিকলের যত্নে অলিভ অয়েল একটি অন্যতম
উপাদান যা কিউটিকলকে নরম এবং মশ্চারাইজিং করতে সাহায্য
করে। কিউটিকলের যত্নে নিয়মিত সঠিক পরিমাণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে
হবে
এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে তার শুষ্ক, ফাটা কিউটিকল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে এবং ত্বককে বিশেষভাবে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
ত্বকের সুরক্ষাঃ আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে অলিভ অয়েল একটি কার্যকরী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক স্থিতিস্থাপক হয় অর্থাৎ অলিভ অয়েল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখি এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা প্রদান করে থাকে। সঠিক পরিমাণে নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহারে ত্বকের স্বাস্থ্য প্রাকৃতিকভাবে উন্নত হয় এবং ত্ব ক ভেতর থেকে প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেট হয়।
ব্রণ উপশমঃ ত্বকের একটি সাধারণ রোগ বা অসুবিধা হলো ব্রণ
হওয়া আর এই ব্রণ উপশম করতে বা ব্রণ নিরাময়ে অলিভ ওয়েল বিশেষভাবে
সহায়তা করে থাকে। অলিভয়েলের রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য
যা ব্রণ প্রবন ত্বকে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ব্রণ উপশম
করে বা ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। তবে এই ক্ষেত্রে ত্বকে অল্প
পরিমাণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে যাতে না যায় এবং সুরক্ষিত
থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
রোদে পোড়া ভাব দূরীকরণঃ ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে অলিভার
অন্যতম। অধিক সময় ধরে ত্বক রোদে পোড়ার ফলে তোকে বিভিন্ন ধরনের
চর্মরোগ দেখা দেয় এবং অস্বস্তিকর সৃষ্টি হয়ে থাকে। রোদে পোড়া
ত্বকের লাল লাল ভাব, অস্বস্তি জ্বালাপোড়া কমাতে এবং এ ধরনের
সমস্যা নিরাময়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের চর্মরোগ
নিরাময় অলিভ অয়েল বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
এক্সফোলিয়েশনঃ ত্বকের এক্সফোলিয়েশন জন্য অলিভ অয়েল একটি অন্যতম উপাদান যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের ডেট সেল বা মৃত কোষ দূর করতে তোকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অলিভ অয়েলকে চিনি বা লবণের সাথে মিশিয়ে ঘরে বসেই একটি ডাই এক্সফোলিয়েশন স্কাব তৈরি করা যায়, যা নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং তক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
মেকআপ মিরুভারঃ অলিভল একটি প্রাকৃতিক মেকআপ মিরুভার হিসেবে কাজ করে থাকে। ত্বকে আলতো ভাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে খুব সহজেই মেআপ রিমুভ বা অপসারণ করা যায় এবং এর মশ্চারাইজা বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় না। বরং ভেতর থেকে হাইড্রেট হয়ে থাকে। তবে মেকআপ রিমুভার হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে যাতে করে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি না পায় সেদিকে আমাদেরকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
ত্বক নরম ও কোমল রাখতে
ত্বক নরম ও কমল রাখতে অলিভ অয়েলের জুরি নেই। শরীর বা মুখের ত্বক যেখানে ব্যবহার করা হোক না কেন এই তেল শরীরে সব জায়গার জন্য আদর্শ। নিয়মিত সারা শরীরে অলিভ অয়েল মাখলে ত্বক নরম ও কমল রাখে। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শীত-গ্রীষ্ম সব সময় এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল তেলের মধ্যে অ্যান্ট্রি অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের ভেতরের স্তরের প্রয়োজনীয় খনিজের যোগান দিতে পারে। চুল থেকে ত্বক সবকিছুতেই কাজে আসবে এই তেল। সত্যি কথা বলতে কি এই তেল আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ব্যবহার করতে বলেছেন এবং তিনি নিজে এই তেল ব্যবহার করতেন। যেহেতু আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ব্যবহার করতে বলেছেন তাহলে আর কোন ভালো শেষ নেই। ত্বকের যত্নে ও কমল রাখতে এই তেলের কোন বিকল্প নেই। এই তেল কমল ও নরম রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
চুলের যত্নে অলিভ অয়েল তেলের ব্যবহার, চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে উপকার
পাওয়া যায়। তবে অলিভ অয়েল খুব আস্তে আস্তে কাজ করে। ফুলের ঘনত্ব
বাড়িয়ে তোল। , যাদের চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেছে তারা যদি অলিভ অয়েল
হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তাহলে
ব্ল্যাক সেকুলেশন বেড়ে যাবে। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে উপকার
পাওয়া যাবে।
ব্যবহারঃ পেপে পেস্ট, অলিভ অয়েল, একটি ডিম ভালো করে মিশিয়ে
নিয়ে ২০ মিনিট পুরো চুলে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
বাজারে কন্ডিশনার এর ব্যবহার না করাই ভালো। চায়ের লিকার, লেবুর
রস ও অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটা
হেয়ার ট্রিট মেন্টেরোও কাজ করবে। এটা চুলের জন্য খুব উপকারী
ট্রিটমেন্ট। পাশাপাশি চুল হেলদি করতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল ও একটি ডিম মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলে খুব উপকার পাওয়া যাবে। মেথি গুড়া ও অলিভ অয়েল চুলে বসে যায় খুব সহজে। এটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও বাড়িতে কিছু যত্ন নিতে পারেন-
১. গোসলের ১০ মিনিট আগে পুরো শরীরে যদি অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করা যায় তাহলে স্কিনের উজ্জলতা বাড়বে।
২. ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর মুছে নিয়ে অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন।
৩. কড়া শ্যাম্পু না ব্যবহার করে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, এতে আপনার চুল অনেক সুন্দর এবং মজবুত থাকবে।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম কি?
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম কি, যদি আপনার কাছে এই বিষয়টি জানার প্রয়োজন হয়
তাহলে অবশ্যই নিজের মাথার চুলের যত্ন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে
হবে। অনেক সময় আমাদের মাথার চুল অতিরিক্ত পরিমাণে পড়ে যায়, যার ফলে
অল্প বয়সের টাক হতে হয়। যদি তেলের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করতে চান
তাহলে কোন তেল ব্যবহার করলে ভালো হবে? এ বিষয়টি জেনে নিন।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যায় সাধারণত এগুলো দাবি করে তারা চুল পড়া বন্ধ
করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কিন্তু বেশিরভাগ তেল এমন কোন কার্যকারিতা থাকে
না। এখন আপনি যদি চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কার্যকরী কোন তেল খুঁজে থাকেন
তাহলে আমরা আপনাদের সামনে বেশ কিছু তেলের নাম উল্লেখ করব। এগুলোর ব্যবহার
করলে অবশ্যই আপনি কার্যকারিতা পাবেন।
- লেমনগ্রাস অয়েল
- রোজমেরি অয়েল
- সাইডার উড অয়েল
- বার্গামট অয়েল
লেমনগ্রাস অয়েলঃ চুল পড়া বন্ধ করতে আরও একটি কার্যকরী তেল হল লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল। চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো খুশকি এবং এই তেলের আরো কিছু বিশেষত্ব রয়েছে সেটি হল খুশকি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই তেলের মধ্যে বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের মাথার স্কিনের সমস্যা দূর করে থাকে। নিয়মিত শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনের সাথে এই তেল ব্যবহার করতে হবে।
রোজমেরি অয়েলঃ চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরী একটি তেল হলেও রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েল।সাধারণত এই তেল আমাদের রক্তনালী প্রসারিত করে এবং মাথায় কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে থাকে যার ফলে এটি চুল গজাতে বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই তেলের মধ্যে থাকা অবদান গুলো মাথার স্কিনে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়া এটি আমাদের চুল ঘন করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
সাইডার উড অয়েলঃ মাথার কিছু স্কিনের সমস্যা হওয়ার কারণে সাধারণত অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়তে থাকে। যদি আপনার মাথায় অতিরিক্ত পরিমাণে খুশকি থাকে। এবং স্কিনের সমস্যা থাকে তাহলে এই সমস্যার সমাধানে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল ব্যবহার করার কারণে স্কিনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নারিকেল তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা সাইডারউড এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
বার্গামট অয়েল ঃ আমাদের স্কিনের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল হল বার্গামট এসেনশিয়াল ওয়েল এই তেলের মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যাদের মাথার ত্বকের অতিরিক্ত সমস্যা রয়েছে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে সাধারণত তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেল এটি। নারিকেল তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা এই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
লেখকের ফাইনাল মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনায় আপনাদের সাথে, শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল এর
ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা
বুঝতে পেরেছেন যে শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল তেলের কতবড় ভূমিকা
রাখে এবং ব্যবহারের নীতিমালা সমস্ত কিছু আপনাদের সামনে উপস্থাপন
করেছি আশা করি আপনারা অনেক সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন যদি কোন বুঝতে
সমস্যা হয় কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন।
আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url