কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন। কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার এই আর্টিকেল লেখা। 

 

কিসমিস-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আজকে আমি আপনাদের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সমস্ত বিষয় তুলে ধরব বলে এই আর্টিকেল লিখা। কিসমিস খেলে কি হয়, কখন খাবেন, কোন সময় খাবেন,কি পরিমানে খাবে, সমস্ত বিষয় জানতে আমাদের এই আর্টিকেল জুড়েই থাকুন আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কিসমিস খাওয়া সম্পর্কে সুন্দর একটা ধারণা পাবেন।

পোস্ট সূচিপত্র

কিসমিস কেন খাবেন

কিসমিস কেন খাবেন, কিসমিস একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্মত খাবার। এমনকি কিসমিস ভেজানো পানি ও শরীরে পক্ষে বিশেষ উপকারী। আঙ্গুর ফলের শুকনা রূপ কিসমিসে থাকা কার্বোহাইড্রেট অতিরিক্ত শক্তির যোগান দেয়। শুধু এই অতুলনীয় নয় ছোট একটি ড্রাইভ ফুটে অনেক উপকারীও রয়েছে। গবেষণা বলেছে সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। এতে আছে ভিটামিন বি ৬ আইরন,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম। 

এবার জানাবো শরীরের পক্ষে উপকারী কিসমিসির পাঁচটি উপকারিতা সম্পর্কে- 

মনোযোগ বাড়ানোঃ কিসমিসে থাকা রোবন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। রোবন ধ্যান বাড়াতে সহায়ক। । ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশুনাতেও মনোযোগী করে তোলে শুধু বাচ্চাদেরই নয় সবারই মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়ঃ নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন, তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য কষ্ট পান তারা ঔষধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন। এটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হয়ে উঠবে আমিও নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করি।

জ্বর সারাতেঃ কিসমিসে আসে ফেনল ফাইটোনিউট্রিয়টস, যার জীবাণুনাশক শক্তি, আন্টিব্যাকটেরিয়ান এবং অ্যান্টি-অক্সাইড বৈশিষ্ট্য ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস ইনফেকশনের জন্য হওয়া জ্বর কমাতে সাহায্য করে। 

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধঃ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমাতে সরাসরি সাহায্য করে। এছাড়াও, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্গত বেশ কিছু ভিটামিন এতে পাওয়া যায়, বা নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। কিসমিসে কপার ও থাকে যা রেড ব্লাড সেল তৈরিতে সাহায্য করে। 

এবার আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কিসমিস কেন খাবেন এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু! তাহলে চলুন নিচে আরো কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

 

কিসমিস-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-জানুন

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা, উপরে তো একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন কিসমিস কেন খাবেন চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। এখন পর্যন্ত কিসমিস খাওয়ার কোন অপকারিতা পাওয়া যায়নি। কিসমিস অত্যন্ত মিষ্টি হওয়ার এটিতে প্রচুর, গ্লুকোজ রয়েছে। এ গ্লুকোজ আমাদের শরীরের শক্তি যোগায়। এছাড়া বিভিন্ন খনিজ, যেমন- লৌহ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, বোরন ইত্যাদিও আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য।

কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে কোন কিছুই আমাদের অতিরিক্ত গ্রহণ করা শরীরের জন্য ভালো হবে না। অর্থাৎ কেউ যদি বেশি পরিমাণে কিসমিস গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে তার শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়তে দেখা দিতে পারে। 

কিসমিস খাওয়ার বিশেষ সাতটি উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, ড্রাইভ ফুডের মধ্যে আমাদের কাছে অন্যতম পরিচিত হচ্ছে কিসমিস। পোলাও পায়েসহ বিভিন্ন রান্নায় কিসমিস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনাদের অনেকেই কিসমিস ভেজানো পানি পান করে থাকে।

কিসমিস খাবারের স্বাদে যেন অনেক গুণ বেড়ে দেয়। এছাড়া চীনাবাদাম, কাজুবাদামের মত ড্রাইভ ফুড থেকে যদি স্বাদ না পান, তবে স্বাদ বৃদ্ধি করতে সেগুলো কিসমিসের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে পারেন।কিসমিস অনেক পরিচিত হলেও কিসমিসের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকেই জানেন না। গ্যাস্টিক, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে অনেক উপকারে ভূমিকা রাখে এটি। 

এবার জানুন কিসমিস খাওয়ার সাতটি স্বাস্থ্য উপকারিতা-

হজমে সহায়তা করেঃ প্রতিদিন কয়েকটি কিসমিস খেলে পেট ভালো থাকে। এতে ফাইবার থাকে, যা পানির উপস্থিতিতে ভুলে উঠতে শুরু করে। আর এগুলো পেটে রেচক প্রবাহ দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন কিসমিস খেলে তা অন্তের চলাচলকে ফসল রাখে এবং তাতে থাকা ফাইবার গুলো বিষাক্ত পদার্থ ও বর্জ্য পদার্থ কে সিস্টেমের বাইরে রাখতে ও সাহায্য করে। 

রক্তস্বল্পতা উপকারীঃ কিসমিস প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকায় তা রক্তঅল্পতার চিকিৎসার সাহায্য করে। আর কিসমিসে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে। 

সংক্রমনের চিকিৎসায় সাহায্য করেঃ কিসমিসে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যেটি যেটি আন্টি-ইনফ্লামেটরি অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদর্শন করায় তা জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এই জন্য দিন কয়েকটি কিসমিস খেলে তা আপনার ঠাণ্ডা এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। 

ত্বকের জন্য উপকারীঃ কিসমিস ত্বককে ভেতর থেকে রক্ষা করে কোষ কে যে কোন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি বাধা দেয়। এ কারণে এটি বার্ধক্যের লক্ষণ যেমন বলি শুষ্ক রেখা ও ত্বকের দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যা বিলম্ব করতে সাহায্য করে। 

ওজন বৃদ্ধি করতে উপকারীঃ আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে আপনার জন্য  সেরা হতে পারে কিসমিস। ওজন বৃদ্ধির জন্য কিসমিসে রয়েছে গ্লুকোজ আর এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল না জমতি দিয়ে ওজন বৃদ্ধি সাহায্য করে।

সংক্রমণের চিকিৎসার সাহায্য করেঃ কিসমিসে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যেটি অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে সুপরিচিত। অ্যাব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো করায় তা জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এ জন্য দিনে কয়েকটি কিসমিস খেলে তা আপনার ঠাণ্ডা এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করেঃ কিসমিসে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি শরীরকে র‍্যাডিক্যাল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা টিউমার এবং কমল ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এই ছিল কিসমিসের খাওয়ার সাতটি উপকারিতা।   

আরো পড়ুনঃ কি কারনে এবার শীতের সম্ভাবনা বেশি - শীতের অগ্রিম বার্তা

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত, কিসমিস একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উপকারী ড্রাইফুট। আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন ক্যালসিয়ামের মত অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু বেশি পরিমাণে কিসমিস খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং ক্যালরি থাকে। তাই প্রতিদিন সীমিত পরিমানে কিসমিস খাওয়া উচিত যাতে শরীরের ক্ষতি না করে। 

দিনে অর্ধেক কাপ থেকে বড়জোর এক কাপ কিসমিস খেলে যথেষ্ট অর্থাৎ২৫-৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া উপকারী হতে পারে। বেশি পরিমাণে কিসমিস খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে তাই আমাদেরকে সতর্কভাবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো খেতে হবে। কিসমিস প্রাকৃতিক সুগার থাকে যার অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তে শর্করা মাত্র বাড়িয়ে দেয় যার যে ডায়াবেটিস হতে পারে কিশমি সে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। 

তাই কিসমিসে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যায়। বেশি কিসমিস খেলে এলার্জির মত সমস্যা হতে পারে, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। কিসমিস ফাইবার মতো উপাদান বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, যা পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে। বেশি পরিমাণে কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রত্যেকদিন খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কিসমিস ভেজা পানি পানের উপকারিতা

কিসমিস ভেজা পানি পান এর উপকারিতা, কে না জানে কিসমিস খুবই উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আসেন নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল কিসমিস না খেয়ে শুধু কিসমিসের পানি খেয়েও ভিটামিন ও মিনারেল প্রবেশ করে। কিসমিসে আছে ফাইবার, আইরন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎসব।যা আপনাকে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আপনার চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। 

এবার জানবেন কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। সারারাত কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন সকালবেলা সেই পানি খান। আগেও বলেছি ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন,পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিসমিস ভেজে প্রাণীর ভূমিকা রয়েছে। 

ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক পদ্ধতির গুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বসে রাখে।

হজম শক্তি বাড়ায়ঃ সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজম শক্তি জরুরী। এক্ষেত্রে কিসমিস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানি দিয়ে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাৎ খেয়াল করুন দিন ১৫ পরেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান। তাহলে ভেজা কিসমিস ও তার প্রাণী নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বিষমুক্ত শরীরঃ কে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারদিকের দুজনে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন। 

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়ঃ নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভাবেন। তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য কষ্ট পান। তারা ঔষধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখুন। শিগগিরই সুফল পাবেন ইনশাআল্লাহ!

কিসমিসের-এত-গুণ -সম্পর্কে -বিস্তারিত -জানুন

কিসমিসের এত গুণ

শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো প্রাণীর রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য,অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। এছাড়া কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণ রাখতে কোলেস্টেরল।

কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এ খনিজ আছে। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সহজে রোগ মুক্তির কারণ।আর আছে প্রচুর আয়রন,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম হাই ব্লাড প্রসার বসে রাখে। রক্তস্বল্পতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারী। নিয়মিত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা আইরন রক্ত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে লাল রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজম শক্তির জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান তবে ভেজে কিসমিস এবং তার পানি নিয়োজিত খান।এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

কিসমিস কখন খাওয়া উচিত

কিসমিস কখন খাওয়া উচিত, সকালে খালি পেটে কিসমিস খাবার সেরা সময়। এটি আপনাকে ক্লান্তি দূর করতে এবং আপনার শরীরের রক্তচাপকে মসৃণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং আপনার দিনের একটি স্বাস্থ্যকর শুরু করবে কিসমিস খাওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নেই কারণ এটি মূলত ব্যক্তিগত পছন্দ এবং খাদ্য তালিকা কত চাহিদার উপর নির্ভর করে। এগুলি একটি জলখাবার হিসেবে উপভোগ করা যেতে পারে, খাবার বা ড্রেজার্ট যুক্ত করা যেতে পারে, বা আপনার স্বাদ এবং পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনুসারে যে কোন সময় সেবন করা যেতে পারে। কিসমিস সকালে খালি পেটে খেলে কিছু সুবিধা রয়েছে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাড়ের শক্তি বাড়ায়।

প্রত্যেকদিন সকালে ৮ থেকে ১২ কিসমিস ভালোভাবে ধুই এক গ্লাস পানিতে সারারাত (কমপক্ষে৬ ঘন্টা) ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে কিসমিসের ভেজানো পানি হালকা গরম করে খালি পেটে পান করতে হবে। তারপর কিসমিস গুলো ভালো করে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। এরপর ৩০ মিনিট অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবে না। এবং আধা ঘন্টা পর অন্যান্য খাবার খান এতে অতি শীঘ্রই বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।  

লেখকের ফাইনাল মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এবং কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম, কেন খাবেন, কিভাবে খাবেন,কতটুকু খাবেন, ইত্যাদি। সমস্ত কিছু বিষয় উপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কিসমিস খাওয়া সম্পর্কে একটা সুন্দর ধারণা পেয়েছেন। যদি আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে ভালো লাগে নিশ্চয়ই শেয়ার করতে ভুলবেন না? যদি আপনার মন্তব্য করতে মন চায় তাহলে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url