রোগা থেকে মোটা হওয়ার সহজ উপায়

রোগ থেকে মোটা হতে চান? তাহলে চলুন আজকে আমি আপনাদের সাথে রোগা থেকে মোটা হওয়ার যায় কিভাবে এবং অতি সহজে, এ নিয়ে আলোচনা করব। যদি আপনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

রোগা-থেকে-মোটা-হওয়ার-সহজ-উপায়

আজকে আমি আপনাদের সাথে কিভাবে রোগা থেকে মোটা হওয়া যায়, এর সম্পর্কে এ টু জেড আপনাকে জানাবো। কি খেলে মোটা হবেন, কতটুকু খেলে মোটা হবে, কি পরিমান খেলে মোটা হবেন, মোটা হতে হলে কি কি করতে হবে, প্রতিদিনের খাবারের রুটিন, সময় মত খাবারের রুটিন, সময় মত ব্যায়াম। এক কথায় আপনাকে সমস্ত কিছু জানাবো এই আর্টিকেলে সমস্ত কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

সূচিপত্র

ওজন বাড়াতে যা করবেন

ওজন বাড়াতে যা করবেন, ওজন বাড়াতে স্বাভাবিক এর চেয়ে কম ওজনের ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত এবং সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি প্রতিদিন মানুষের আদর্শ ওজন থাকা জরুরি।অতিরিক্ত ওজন যেমন ভালো নয়, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকা উচিত নয়। ওজন বাড়াতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার, নিয়ম এবং সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি। 

ওজন বাড়াতে যে কৌশল গুলো বেশ সহায়ক-

অতিরিক্ত ক্যালরির খাবার গ্রহণঃ শরীরের যে পরিমাণ ক্যালরি প্রতিদিন ক্ষয় হয়, তার চেয়ে ৫০০-৮০০ ক্যালোরি খাবার বেশি খেতে হবে। ভাত, মাছ-মাংস, ডাল, বীজ, শাকসবজি, ফলমূল, ডিম জাতীয় খাবার নিয়মিত খেতে হবে।

উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণঃ ওজন বাড়াতে চাইলে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখতে হবে, রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় এর জন্য এগুলো আমাদের জন্য জরুরী। এ ধরনের কিছু খাবার কিছু খাবার হলো- কাঠবাদাম, কিসমিস, আলুবোখারা, ননিযুক্ত দুধ, ফুলক্রিম দই, পানির, ক্রিম, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস, ছাগলের মাংস কলিজ, মিষ্টি আলু, চকলেট, কলা ইত্যাদি।

দিনে পাঁচ ছয়বার খাবার গ্রহণঃ যাদের ওজন কম, তাদের তিন চার ঘন্টা পর পর খাবার খেতে হবে। দীর্ঘ সময় রাখা চলবে না। পুষ্টিকর উচ্চ ক্যালরির খাবার যদি বারবার গ্রহণ করা হয় এবং প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা যদি পূরণ করা যায়, সে ক্ষেত্রে দ্রুতই ওজন বাড়াতে সম্ভব। রোগা থেকে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এর জন্য আমাদের অবশ্যই দিনে পাঁচ ছয়বার খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

শর্করা জাতীয় খাবারঃ অনেকেই সরকার একেবারে কম গ্রহণ করেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। যাদের ওজন কম, তাদের অবশ্যই মোট ক্যালোরি শতকরা ৫০-৬০ ভাগ শর্করা গ্রহণ করতে হবে। দিনে তিনবার প্রধান খাবার হিসেবে শর্করা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আলু, আটা, চাল অন্যতম। রোজা থেকে মোটা হওয়ার উপায় এর জন্য সরকারি জাতীয় খাবার অনেক প্রয়োজন। 

আমিষ যুক্ত খাবার গ্রহণঃ ওজন বাড়াতে বা রোগা থেকে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এর জন্য আমাদের অবশ্যই আমি যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী। শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য পাঁচ থেকে দুই দশমিক দুই গ্রাম আমিষ নিয়ম গ্রহণ করতে হবে। ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ডাল, বীজ  জাতীয় খাবার আমিষের জন্য ভালো। মোটা থেকে রোগা হওয়ার সহজ উপায় এর জন্য আমাদের অবশ্যই আমি যুক্ত খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। নতুন বাড়াতে চাইলে 

জীবন যাপন পদ্ধতিও ও স্বাস্থ্যকর হতে হবে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা চলবে না। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ভালো ঘুমাতে হবে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

বারবার খাবার গ্রহণ

বারবার খাবার গ্রহণ, ওজন বাড়াতে বা মোটা হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বারবার খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর অন্তর আপনাকে বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করতে হবে। ওজন বৃদ্ধি করতে হলে আপনাকে প্রতি দুই তিন ঘণ্টা অন্তরের অন্তর খাবার গ্রহণ করতে হবে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর আপনি কি খাবেন যেমন- দুধ, দই, মুরগির মাংস, আল, চকলেট, মিষ্টি আলু, ভাত, কিসমিস, খেজুর, চিনা বাদাম, ইত্যাদি। এসব খাবার বারবার খেলে আপনার শরীর মোটা হবে। এবং আপনি অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আপনি আপনার নিজেকে চিনতে পারবেন না এমন মোটা হয়ে যাবেন। 

আপনি প্রতিদিন ঘন্টা পর পর এসব খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং আপনি যতদিন পর্যন্ত মোটা হচ্ছেন না ততদিন পর্যন্ত এসব খাবার খেয়ে যাবেন। এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা মোটা থেকে রোগা হতে চাচ্ছে। আপনার কাছে যেমন মোটা হওয়া জরুরী। তেমন আরেকজনের কাছে বা ওসব মানুষের কাছে মোটা থেকে রোগা হওয়া জরুরি। আমি আগেই বলেছি আপনাকে মোটা হতে হলে অবশ্যই দুই তিন ঘন্টা অন্তর অন্তর খাবার গ্রহণ করতে হবে যেসব খাওয়ার ওজন বাড়ে সেসব খাবার খেতে হবে।

রোগা-থেকে-মোটা-হওয়ার-সহজ-উপায়-সম্পর্কে-জানুন

যেসব খাবার ওজন বাড়ায় বিস্তারিত জানুন

যেসব খাবার ওজন বাড়ায়, আমাদের মধ্যে অনেকেই অতিরিক্ত ওজনের হয় তেমনি এমন কিছু মানুষ আছেন, যাদের ওজন প্রয়োজনে তুলনে কম। দুটোই সুস্থ থাকার জন্য সমস্যা। উচ্চতা অনুসারে ওজনের যে সঠিক নির্দেশনা রয়েছে, এরকম বেশি হলে স্বাভাবিক জীবন যাপনের অসুবিধা হতে পারে। কম ওজন অনেকের আমাকে বলেন পছন্দসহ জামা কাপড় পরার পর নিজেকে দেখে মনে হয় সেগুলি হ্যাঙ্গারে ঝুলছে। এছাড়া নানা কটু কথা শুনতে হয় কম ওজনের কারণে। সব মিলিয়ে জীবনে চলে আসে হতাশ। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার নিয়মিত খেতে পারেন। এতে ওজন বাড়তে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ। 

শুকনো ফলঃ শুকনো ফলমূল (ড্রাইভ ফুডস) ওজন বাড়ানোর জন্য আদর্শ খাবার। ওগুলোতে ক্যালরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই শুকনো কাজুবাদাম, কিসমিস, খেজুর বা আমগু খেলে আপনার মোটা হওয়ার ইচ্ছা খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে। নিয়মিত সকালে নাস্তার সময় ১০-১৫ টি আমগু বা কাজু, কিসমিস বা খেজুরের খাওয়ার শুরু করুন। তবে এগুলো খাওয়ার আগে রাতে আধ খাওয়া কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো। যদি দিনে কমপক্ষে তিনবার খাওয়া যায়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়বে।। তবে এই শুকনো ফল খেতে হবে পরিমাণ মতো।

সহজলভ্য আলুঃ কার্বনহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ একটি খাবার আলু। তাই এই উপাদান আপনাকে খুব ভালোভাবে সাহায্য করবে ওজন বাড়াতে। প্রতিদিন দুবার করে খাবার পাতে সেদ্ধ আলো খান। এছাড়া আলুর তৈরি চিপস জলপাই তেলে ভেজে সংরক্ষণ করে রেখো খেতে পারেন। দুই মাস নিয়মিত আলু খেলেই বুঝতে পারবেন যে আপনার ওজন অনেকখানি বেড়ে গেছে। 

ডিমঃ ওজন বাড়ানোর জন্য ডিমের উপর সাহায্যে আস্থা রাখতে পারেন। এতে থাকা চর্বি, প্রোটিন ও গুড ক্যালরি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ওজন বাড়াতে চাইলে নিয়মিত ডিম খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন তিন-চারটি ডিমের সাদা অংশ খান, দ্রুত ওজন ফিরে পাবেন আশা করি। তবে কোনোভাবেই কাঁচা ডিম খাবেন না। সেদ্ধ করার ডিমের সাদা অংশ হওয়া উচিত। নিয়মিত ডিম খেলে আপনার ওজন অতি তাড়াতাড়ি বেড়ে যাবে। 

হরেক রকম সবজিঃ পরোটার সঙ্গে প্রতিদিন কলিজা ভুনা না খেয়ে মাঝেমধ্যে সবজি খান। সবজির মধ্যে আলু, গাজর, শিম ইত্যাদি ওজন বাড়ানোর জন্য অনেক ভালো। এছাড়া ডালো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ডাল খেতে পারেন।

পিনার বাটারঃ পিনার বাটার উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত একটি খাবার। তাই প্রতিদিন একবার করে পাউরুটির সঙ্গে অথবা বিস্কুটে খানিকটা পিনার বাটার মেখে খেয়ে ফেলুন। এতে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ে। অনেকে কোন খাবারের সঙ্গে না মিশিয়ে শুধু পিনার বাটার খেতেও ভালবাসেন আপনি শুধু পিয়ার বাটারও খেতে পারেন।

তাজা ফলমূলঃ সকলের রাস্তায় ফলমূল রাখতে পারেন। ফলের মধ্যে মিষ্টি জাতীয় ফল যেমন- আপেল, আঙ্গুর, কলা, নাশপাতি ইত্যাদি ওজন বাড়ানোর জন্য ভালো।

এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে থাকুন, ওজনের সমস্যা মিটে যাবে সহজেই। তবে ওজন বাড়াতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত করে ফেলা কোন কাজের কথা নয়। তাই কাঙ্খিত ওজন বাড়ার পর সেটা নিয়ন্ত্রণ রাখুন তাহলে সুস্থ থাকতে পারবেন। 

বেশি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ

বেশি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ, ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার শরীর যতটা পুড়ে যায় তার চেয়ে বেশি ক্যালরি খেতে হবে। ধীর ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনার রক্ষণাবেক্ষণের স্তরের উপরে প্রতিদিন ৩০০-৬০০ ০০ ক্যালোরি বা আপনি যদি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তবে ৮০০-১০০০ ক্যালোরি লক্ষ্য রাখুন পূর্ণবোধ বেড়াতে খাবারের ৩০ মিনিট আগে পানি বা অন্যান্য তরল পান করা এড়িয়ে চলুন।এছাড়াও আপনার খাবারের সাথে অল্প সংখ্যক তরল পান করুন। পানি, চা, ব্লাক কপি এবং ট ক্যালরি মুক্ত পানীয় পান করুন, যেমন পুরো দুধ বা ক্রিম, জুস, শেক এসব খেতে পারেন। 

তাদের ডায়েটে ভারী- ক্যালোরি যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা তাদের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে ওজন বাড়ানোর জন্য ক্যালরি ক্যালরী যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে । চলুন তাহলে কিছু ক্যালরিযুক্ত খাবারের নাম বা তার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

কলাঃ একটি সুবিধা জনক এবং বহনযোগ্য বিকল্প, কলা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং ক্যালরি সমৃদ্ধ, পটাসিয়াম এবং ফাইবার। 

চর্বিযুক্ত মাছঃ স্যামন, টুকরা এবং ম্যাকেরেল স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালরি বাড়ায়। 

পুরো শস্যঃ ওটস, বা বার্লি এবং পুরো গমের রুটি ক্যালোরি, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির সংবিধান সরবরাহ করে। 

কুইনোয়া এবং ব্রাউন রাইসঃ এই পুরো শস্যগুলি ক্যালরি- ঘন এবং ফাইবার, প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে। 

চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্যঃ পুরো দুধ, লাচ্ছি, পানির এবং পানির হল উচ্চ ক্যালরি খাবার যা ক্যালরি প্রোটিন প্রয়োজনে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। 

ডিমঃ একটি বহুমুখী এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আপনি ডিম কে বিভিন্ন খাবার এবং অনেক ক্যালরি যুক্ত খাবার। 

বাদাম এবং বাদামের মাখনঃ বাদাম আখরোট চিনাবাদাম এবং তাদের মাখনের অংশগুলি স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং ফাইবার সরবরাহ করার সময় সবচেয়ে বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে। 

উপরে যেগুলো খাবারের কথা বললাম, সেগুলো ক্যালানোর জন্য অনেক ভালো। আপনারা এগুলো খেয়ে আপনাদের ওজন বাড়াতে পারেন।

টেনশন মুক্ত থাকুন

টেনশন মুক্ত থাকুন, সব সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টেনশন। ওজন বৃদ্ধিতে যেমন টেনশন মুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন কমাতেও টেনশন মুক্ত থাকা খুবই আবশ্যক। আজকাল টেনশন মুক্ত থাকা খুবই কঠিন তাও চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকার। টেনশন মানুষের জন্য অনেক ক্ষতি করে একটা অভ্যাস। টেনশন করতে চাইনা তবুও টেনশন জানি ঘিরে ধরে। এ টেনশনের কারণে মানুষ অনেক কাজে পিছিয়ে যায় এবং তার শরীরের ক্ষতি হয়ে যায়। ওজন বৃদ্ধির জন্য টেনশন মুক্ত থাকা অনেক জরুরী। 

তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে যখন আমরা উপরের খাবারগুলো সময় মতো এবং পরিমাণ মতো খাব। যাতে আমরা টেনশন না করি, যদি টেনশন করি তাহলে উপরে খাবারগুলো খেয়ে আমাদের কোন লাভ হবে না। ওজন বৃদ্ধির জন্য টেনশন মুক্ত থাকাটা অনেক অনেক জরুরী আপনি ওজন বৃদ্ধির জন্য যতই খাবার গ্রহণ করেন না কেন সময় মত, যদি আপনার মধ্যে টেনশন চলে আসে বা কোনো সমস্যার কারণে টেনশন হয়। তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে এই টেনশন।

তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে টেনশন যেন না হয় এমন এমন কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে এবং নিজেকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে চলতে হবে যাতে টেনশন আমাদেরকে ঘেরিয়ে ধরতে না পারে।

ওজন বৃদ্ধির ব্যায়াম

ওজন বৃদ্ধির ব্যায়াম, ওজন বাড়াতে হলে বেশি বেশি খেলেই হবে, ব্যায়াম করার দরকার কি? এ কথাটি অনেকে ভাবছেন। সুস্থ, সবল, রোগমুক্ত শরীর পেতে এবং নিয়ম মেনে ওজন বাড়াতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। আপনার লক্ষ্য টোনড আপ বডি শেইপ পাওয়া, যেটাকে ফিট থাকা বলে। বয়স অনুযায়ী ওজন ঠিকঠাক রাখা তাই খুবই প্রয়োজন। রোক বা শুকনো শরীর হলে খাবার দাবারের যেমন খেয়াল রাখতে হবে, নিজেকে মটিভেট করতে হবে। কিন্তু কি কি উপকার পাবেন এক্সেসাইজ থেকে, চলুন জেনে নেয়া যাক-

পেশি সুগঠিত করতেঃ আমাদের দেশের ওজন চর্বি তুলনায় বেশি। বেশি ওজন বাড়াতে ব্যায়াম করা উচিত। এতে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত ব্যায়ামে পেশি হবে সুগঠিত, সে সাথে শরীরও থাকবে ফিট। দেহবহুল শরীর কেউ পেতে চায় না, ওজন বাড়াতে শরীরচর্চার ভূমিকা এখানে অনেকটাই।কেননা এটি আপনার শরীরের পেশী সুগঠিত করতে হেল্প করে। 

শারীরিক শক্তি বাড়াতেঃ রোগা পতকা, তাল পাতার সেপাই হ্যাংলা এসব বলে অ্যাবিউজ করা হয় ওজন কম হলে। আর আশেপাশের সবাই ধরেই নেই যে তার গায়ে কোন শক্তি নেই! ওজন কম হলে যে তার শক্তির কম, এটা সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু অনেকেই নিজেদের হালকা-পাতলা শরীরটা নিয়ে দুর্ভাবনায় থাকেন এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী হতে চান। সে ক্ষেত্রে সঠিক চর্চা হতে পারে বেস্ট সলিউশন। রোগা থেকে মোটা হওয়ার সহজ উপায়ের মধ্যে এটি একটি, শরীর সেক্সিবল রাখতে, বডির স্টামিনা বাড়িয়ে নিজেকে আরও কর্মক্ষম করে তুলতে, শারীরিক শক্তি বাড়াতে এবং চনমনে থাকতে শরীরচর্চা শুরু করতে দিন। 

ক্ষুদা মন্দা কাটিয়ে উঠতেঃ ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বাড়বে। তাই সাধারণ ক্ষুধা মন্দা কাটিয়ে উঠে আপনি খেতে পারবেন, খাবারের রুচি বাড়বে। যাদের ওয়েট কম তাদের কমন সমস্যা এইটা যে অল্প খেলেই পেট ভরে যায় বা খেতে অরুচি লাগে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এই প্রবলেমটা থেকে রিলিফ পাবেন এবং ক্ষুধাটাও বাড়বে। যেটা ওজন বাড়াতে আপনাকে অনেকটাই হেল্প করবে। 

মেটাবলিজম ঠিক রাখতেঃ আপনি যত হালকা পাতলা হোন না কেন, ব্যায়ামে দারুন উপকৃত হবেন।কেননা এটি মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করবে, হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করবে। তাতে আপনার খাওয়ার রুচি বাড়বে, ঘুম ভালো হবে, সে সাথে পরিমিত পরিমাণে ওয়েট গেইট হবে। অনেকে আছেন খাবার ঠিকমতো পরিপাক হয় না, খাবার আগ্রহ কমতে থাকে, এর ফলে ওজনটাও কমে যায়। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীর চর্চার কোন বিকল্প নেই। 

সময়মতো ঘুম

সময় মত ঘুম, ঘুমের সঙ্গে ওজনের একটি সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে বেশি ঘুমালে ওজন বাড়ে এমন কথা আপনি অনেক বার শুনে থাকবেন। দুপুরের ঘুম স্বাস্থ্যকর নয় বা এটি মোটা হওয়ার কাজ করে এমন ধারণাটাও অনেকে। কেউ কেউ আবার বলেন, শরীরে মেদ বেশি হলে ঘুমও বেশি পায়। এগুলো কি আসলেই সত্যি? কি বলে সে গবেষণা

সম্প্রতি ঘুম এবং মেয়েদের সম্পর্ক নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ লিডিজ। সেখানে উল্লেখ্য করা হয়েছে, ১৯৮০ সালের তুলনায় বর্তমানে ওবেসিটির মানুষের অসংখ্য প্রায় দ্বিগুণ। যার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাও। এর সঙ্গে কি ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে। এই গবেষণা চালানো হয়েছে মোট ১৬১৫ জন পূর্ণ বয়স মানুষের উপর। সেখানে ১৬১৫ জনের খাবারের তালিকায় এবং গড় ঘুমের সময় ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। গবেষণার ফল প্রকাশ হয় "প্লাস ওয়ান" নামক জার্নালে। সেখানে জানানো হয়েছে চমক চমকপ্রদ তথ্য। 

গবেষণায় বলা হয়েছে প্রচলিত ধারণা সঠিক নয়। সেখানে বলা হয়েছে কম ঘুমই বরং শরীরে বাড়তি মেয়েদের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা দিনে ঘরে ছয় ঘন্টা ঘুমান তাদের কোমরের মাপ প্রতিদিন নয় ঘন্টা ঘুমানোর মানুষের তুলনায় তিন সেন্টিমিটার বেশি। কম ঘুমালে ওজোন বেশি বাড়ে। গবেষণার আরো উল্লেখ করা হয়েছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার ফলে বাড়ে ডায়াবেটিসের মত অসুখ। গবেষকরা বলেছেন, প্রত্যেকের দৈনন্দিক জীবনযাত্রার উপরে নির্ভর করে তার কতটুকু ঘুম প্রয়োজন। তবে সাধারণত একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দিনে সাত থেকে নয় ঘন্টা আরামদায়ক ঘুম প্রয়োজন। নয়তো বাড়তে থাকে ওজন বৃদ্ধির ভয়। তাহলে বুঝতে পারছেন শরীরে বাড়তি মেয়েদের জন্য ঘুমকে দায়ী করা যাবে না। ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত। এমনটাই বলেছেন, এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা তাহলে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় এজন্য আমাদের কতটুকু ঘুম পারতে হবে। 

ওজন-বাড়াতে-কতক্ষণ-ব্যায়াম-করবেন-বিস্তারিত-জানুন

ওজন বাড়াতে কতক্ষণ ব্যায়াম করবেন

ওজন বাড়াতে কতক্ষণ ব্যায়াম করবেন, ওজন বাদে জিমে গিয়ে হার্ড ব্যায়াম করতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন (একদিন পরপর) ব্যায়াম করবেন। প্রতিটা সেশন ৬০ মিনিট থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে রাখবেন।কেননা এর পরে শরীর ক্লান্ত হয়ে আসবে। তখন ব্যায়াম করলে বেশি ক্ষয় হবে। জিম শুরুর দুই ঘন্টা আগে খাবেন এবং শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই আবার খাবেন। প্রথম দুই সপ্তাহে যত পারেন (কমপক্ষে ২৫০০ ক্যালরি) খাবেন। এ সময় মেপে খেতে হবে না। 

তবে প্রোটিনের পরিমাণ যেন বেশি থাকে। আমি আগেই বলেছি যে দুই ঘন্টা পর পর কিছু না কিছু খাবেন রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় এর জন্য ব্যায়ামের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এবং এর সঙ্গে প্রচুর পানি খাবেন। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেবেন, প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমাবেন। খুব হালকা ওয়াইট নিয়ে ব্যায়াম করবেন। ব্যায়াম সময় বড়জোর এক ঘন্টা। কেননা পেশি বাড়াতে যে হরমোনের দরকার হয়, তাই একঘন্টা বড় যদি ব্যায়াম করেন, তাহলে পেশি ক্ষয় হতে শুরু করবে। ব্যায়ামের সময় একটা সেট শেষ করে আরেকটা সেট শুরু করার মধ্যে যতক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারবেন তত ভালো। বড়জোর ৯০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন। 

তারপর আবার পরের সেটর ব্যায়াম শুরু করে দিন। বেশি বিশ্রাম নিলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।একদিন পরপর ব্যায়াম করা ভালো। মনে রাখবেন ব্যায়াম শুধু পিসিকে বাড়িয়ে দেয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। পেশি বাড়ে যখন খাওয়াও ঘুম বা বিশ্রাম নেবেন তখন। এছাড়া পেশি যথেষ্ট বিশ্রাম পেলে পরেরবার নতুন উদ্যমে শুরু করতে পারবেন। না হলে ক্লান্তি লাগবে, ব্যায়াম করার আগ্রহ কমে যাবে।এভাবে নিয়মিত ব্যায়াম করলে দেখবেন আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।

লেখকের ফাইনাল মন্তব্য

আমি আশা করি উপরে আর্টিকেলটি পড়ে, কিভাবে রোগা থেকে মোটা হওয়া যায় খুব সহজেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন।রোগা থেকে মোটা হওয়ার সহজ উপায় এই সম্পর্কে আমি আপনাদের সাথে যতটুকু পেরেছি আমি আপনাদের বোঝানোর এবং পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

রোগা থেকে মোটা হওয়ার সহজ উপায়,  এজন্য আপনাকে অবশ্যই উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে সময় মত খাবার সময় মতো ব্যায়াম সময় মত ঘুমা, এসব ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং আমি উপরে যেগুলোর দিকনির্দেশনা দিয়েছি, এই দিক নির্দেশনাগুলো সুন্দরভাবে পালন করলে অবশ্যই আপনি রোগা থেকে মোটা হতে পারবে। অতি তাড়াতাড়ি এটাই প্রত্যাশা এবং এটাই আশা করি ইনশাল্লাহ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url