কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। পেটের মেদ কমানোর উপায়

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়, পেটের চর্বি কমানো যায় কিভাবে এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তো?তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়, কত দিনে কমানো যায়, কি করলে কমানো যায়, এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করব।

কিভাবে-পেটির-চর্বি-কমানো-যায়

পেটের অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ সবার জন্য এটি অস্থিতিকর বিষয়। আমাদের বদ অভ্যাসের কারণে এই পেটের চর্বি বৃদ্ধি হয়ে থাকে। আজকে আমি আপনাদের সাথে পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানাবো, পেটের চর্বি কমানো যায় কিভাবে। এ সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।

পেজ সূচিপত্র

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়, অতিরিক্ত পেটের চর্বি বা মেদ সবার জন্য অস্বস্তিকর বিষয়। আমাদের কিছু কিছু বদ অভ্যাসের কারণে পেটের চর্বি বৃদ্ধি হয়ে থাকে। পেট ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চর্বি জমে থাকে। আমরা অনেকেই মনে করি যে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে পেটের চর্বি বৃদ্ধি হয়। শুধু চর্বিযুক্ত খাবার খেলেই পেটের চর্বি বাড়ায় তা না। এমনকি আপনারা হয়তো জানেন যে ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলেও কিন্তু পেটের চর্বি বাড়ে। 

অনেকেই মনে করেন যে একবার পেটে মেদ জমে গেলে সেটা সেরে ওঠা যায় না, এটা ভুল কথা। আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের অভ্যাসের মাধ্যমেও কেটে ওঠা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে তারা সকালে নাস্তা বাদ দিয়ে একেবারে দুপুরের খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এক বেলা খাবার বাদ দিলে কিন্তু পরবর্তী বেলায় বেশি খাবার খাওয়া যায় বা পরবর্তীতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। এতে কিন্তু আমাদের পেটের মেদ বা চর্বি বেড়ে যায়। আমি জানিনা যদি আপনার মধ্যে এই অভ্যাসটা থেকে থাকে তাহলে বাদ দেবেন এবং সকালে কিছু নাস্তা করার চেষ্টা করবেন। যদি আপনার এই অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে সতর্ক হোন এবং কোন বেলার খাবার যেন বাদ না পরে।

আমরা অনেকেই আছি টিভিতে খেলা দেখে বা সিরিয়াল ছেড়ে খাওয়া-দাওয়া করার অভ্যাস। এই অভ্যাসের কারণে ও আপনার পেটের মেদ বা চর্বি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনাদের মনে অনেকে প্রশ্ন এসে গেছে যে কিভাবে সম্ভব- আচ্ছা সমস্যাটি হচ্ছে টিভি দেখে বা সিরিয়াল দেখে খাওয়ার কারণে আপনার পেটের চর্বি বা মেদ জমে না। সমস্যাটি হচ্ছে আনমনে খাওয়ার কারণে! আপনি যখন অন্য একটা কাজে ব্যস্ত থাকে খাবার খাবেন আপনি কতটুকু খাবেন সেটা খেয়াল থাকে না। শুধু খেয়ে যান খেয়ে যান। 

আপনার পড়ে দেখা যাবে যে আপনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেছেন। আমাদের অনেকে এমন অভ্যাস হয়ে গেছে যে, খাবার যে আমরা খাই ক্ষুধা লাগার কারণে না। টিভি দেখতে দেখতে খেতে হবে এজন্য আমরা খাই। এই যে আমাদের একটা অভ্যাস এই অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে চর্বি বা মেদ জমে যায়। আমার দেখা যায় এ খাবারগুলো অনেক সময় স্বাস্থ্য করা হয় না।

যেমন ধরেন ভাজাপোড়া, মুড়ি, চানাচুর, পিয়াজু, এসব খাবার আমরা দেখা যায় অনেকের এক হাতে নিচ্ছি আর এক হাতে খাচ্ছি। অস্বাস্থ্যকর খাবার আবার দেখা যাচ্ছে পরিমাণে বেশি অতিরিক্ত ক্যালরি, এসব কারণে কিন্তু আমাদের শরীরের ওজন চর্বি বেড়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কোন সময় আনমনে খাবার খান। এসব বদ অভ্যাস যদি পরিত্যাগ করতে পারেন তাহলে দেখবেন পেটের চর্বি অনেকটা কমে গেছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চলুন আরো জানা যাক-

৩ দিনে পেটের চর্বি কমানোর উপায় 

৩ দিনে পেটের চর্বি কমানোর উপায়, আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যদি দেখে যে তাদের পেটের মধ্যে চর্বি জমে গেছে। তারা কয়েকদিন খুব হাটাহাটি দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি করবে। দেখবেন খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মতো করবে পরিমাণমতো খাবে। মাত্র কয়েকদিন তারপর দেখবেন আমার যে সেই! এভাবে করলে পেটের চর্বি কমে না। এতে দেখবেন আপনার শরীরের সার্বিক কিছু ওজন কমলেও পেটের চর্বি থেকেই যাবে। 

পেটের মেদ কমালে অত তাড়াহুড়া করা যাবে না, ধৈর্য্য ধারণ করে কিছুদিন শারীরিক পরিশ্রম করে বা পাশাপাশি কিছু দিনে রাতে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার পেটের চর্বি কিছুদিনের মধ্যেই কমে গেছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তিন দিনে পেটের চর্বি কমাবেন-

পেটের মেদ কমাতে হলে অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। সে ক্ষেত্রে লাল চাল লাল আটার তৈরি খাবার কিংবা শাকসবজি বা ফলমূল জাতীয় খাবারে মিলবে এ ফাইবার। গ্রিন টিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা পেটের মধ্যে কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে। তাই দুধ বা চিনি দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস থেকে দূরে করে। গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন, অন্যদিকে আরো খাবার খেতে পারেন আখরোট,কাঠবাদাম, সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড যা আপনার পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ঝাল খাবার পছন্দ করে। আপনাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ডাল চিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচা মরিচ কারণ এই মসলা যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনই আপনার পেটের চর্বি কমাতে অনেক বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। পিঠের চর্বি কমাতে প্রত্যেকদিন সকালে উসু উসু গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন এটা অনেক বড় কার্যকরী এতে যেমন আপনার শরীরের মেদ কমাবে আবার অন্যদিকে হজমের জন্য অনেক কার্যকরী। উপরের টিপস গুলো অবলম্বন করলে আপনার অতি তাড়াতাড়ি পেটের চর্বি কমে যাবে।

মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায়

মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায়, মহিলাদের অনেকের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শুধু পেটের চর্বি না ওজনে বেড়ে যায়। মহিলাদের পেটে চর্বি জমার কারণ হচ্ছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে চলাফেরা করে না। এই সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই এ সমস্যা সমাধানে আমাদেরকে পথ বের করতে হবে। যদি আপনি একটি মহিলা মানুষ হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সমস্যায় ভুগছেন। এ সমস্যার সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদেরই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়তে হবে। 

মহিলাদের পেটের মেদ হওয়ার কয়েকটি কারণ-মহিলাদের পেটের মেদ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আমাদের দেশে অনেকে আছে একটু বয়স বৃদ্ধি হলে তাদের ওজন বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের শরীরের হরমোনের পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন গুলির মধ্যে একটি হলো ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন। যা তাদের পেটের চর্বি বৃদ্ধি করে। 

আবার কখনো কখনো দেখা যায় তাদের বংশের ধারা অনুযায়ী তাদের পেটের চর্বি বৃদ্ধ হয়ে থাকে। যদি কারো পরিবারের পেটের চর্বি বৃদ্ধি হয়ে থাকে সে কারণেও পেটের চর্বি বৃদ্ধি হতে পারে। এজন্য আমাদের অতিরিক্ত চিনি যুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এসব খাবার আমাদের পেটের চর্বি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

মানসিক চাপের কারণেও মেয়েদের শরীরের ওজন একটি বিশেষ হরমোন নিঃসরণ করতে পারে।মেয়েদের মধ্যে অনেকের অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস আছে। অ্যালকোহল আমাদের শরীরে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে ওজন বেড়ে যায়। 

ওজন কমানোর প্রধান শর্ত হলো ক্যালোরি যুক্ত খাবার কম গ্রহণ। মেয়েরা ক্যালরিযুক্ত খাবার একটু খেতে বেশি পছন্দ করে। এবং এটি আমাদের ওজন বাড়াতে পারে এবং পেটের চর্বি বেড়ে যেতে পারে। এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে ক্যালরিযুক্ত খাবার কম গ্রহণের জন্য।

কিভাবে-পেটির-চর্বি-কমানো-যায়-পেটের-মেদ-কমানোর-উপায়

একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা। এটি আমাদের শরীরের শুধু পেটের চর্বি না বিভিন্ন অংশের জমে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। মেয়েরা তো এভাবে আর ব্যায়াম করতে পারেনা এজন্য তাদের পেটের চর্বি বেড়ে যায়। এজন্য আপনাদের নিয়মিত সময় করে ব্যায়াম করতে হবে।

আমরা প্রত্যেকদিন যে খাবার খাই যখনই খাই না কেন। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। যদি আমরা দ্রুত খাবার খাই আমাদের পাকস্থলী মস্তিষ্ককে সংকেত পাঠাতে পারে না।এজন্য আমাদেরকে ধীরস্থিরভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনাকে কতটুকু খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনি যতটুকুই খান আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে তাহলে দেখবেন আপনাদের আর পেটের চর্বি জমবে না।

সকালে যে সাতটি অভ্যাস দূর করবে পেটের চর্বি 

সকালে যে ৭সাতটি অভ্যাস দূর করবে পেটের চর্বি, পেটের চর্বি কমানোর জন্য চেষ্টা করা না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। সবাই চাই বা প্রত্যেকের পেটে প্রচুর পরিমাণে মেদ এবং চর্বি জমে আছে। সবাই চায় যে তার পেটটা একটু স্লিম হোক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সাতটি অভ্যাস-

নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ পেটের চর্বি কমাতে বা ওজন কমাতে আপনাকে নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করতে হবে। আমরা সবাই জানি যে ব্যায়াম করা সবচেয়ে সুন্দর এবং ভালো সময় হচ্ছে সকালবেলা। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে জগিং, মর্নিংওয়াক, ইগো, ওয়ার্ক মাপ ইত্যাদি ব্যায়াম করুন। আপনাকে সকালবেলা দিনের শুরুতে আগে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকদিন উচিত সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করা। 

মেডিটেশন করুনঃ আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই দিনের শুরুতেই ১০ মিনিট মেডিটেশন এর জন্য রাখুন। পেটের মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে আপনাকে সর্বনিম্ন .১০ মিনিট মেডিটেশন করতে হবে। ট্রেস নির্ণয়ের জন্য মেডিটেশন বেস উপকারী বা কার্যকর। ট্রেচ হচ্ছে এমন একটি ব্যায়াম যা আপনার পেটের চর্বি বা পেটের মেদ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এজন্য আমাদের সবারই উচিত যে প্রত্যেকদিন সকালে মেডিটেশন করা। 

ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানিঃ আপনার শরীরের এর ওজন কমাতে অবশ্যই দিনের শুরুতে এক গ্লাস পানি পান করাতে হবে। শরীরে হাইড্রেট রাখার জন্য দিনের শুরুতে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে আপনাকে তাহলে আপনার শরীরে হাইড্রেট থেকে যাবে। ওজন কমানোর অন্যতম সহজ এবং সুন্দর উপায় হল দিন রাতে শরীরে হাইড্রেট থাকা। অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করে যে, দিনের শুরুতেই এক গ্লাস পানি পান করলে আপনার শরীরকে এনার্জিটিক রাখতে সাহায্য করে। আমি আগেই বলেছি সকালে ঘুম থেকে উঠেই হালকা উসু উসু গরম পানিতে লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। যদি আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তা থেকে দূরে থাকুন।

সাইবার সমৃদ্ধ খাবার খানঃ আপনাকে সকালে খাবারে অবশ্যই প্রোটিন বা ফাইবার যুক্ত খাবার দিয়ে সকালে নাস্তা সেরে ফেলতে হবে। মূলত ভাইভা সমৃদ্ধ খাবার আপনার খুদাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেদ কমাতে বা চর্বি কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ এমন কোন ফলমূল শাকসবজি আছে সেগুলো সকালের নাস্তা অ্যাড করুন। 

পর্যাপ্ত ঘুম যেন হয় তা নিশ্চিত করুনঃ আপনার মনে হয় শুনতে একটু খটকা লাগছে যে পর্যাপ্ত ঘুমালে কিভাবে পেটের চর্বি কমে। তাই না? আপনি যখন ভালো ঘুমাবেন তখন আপনার মধ্যে একটা কাজ করার শক্তি চলে আসবে। এবং আপনি তখন খাবেনও বেশি এবং আপনার পাশাপাশি শক্তিও যোগান হবে। একজন সুস্থ মানুষের প্রত্যেক দিন সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমাতে হয়। আপনারা হয়তোবা জানেন না যে বা জানেন ঘুম বেলি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। 

সকালে যেগুলো খাবার খেতে পারেঃ সকালে এই কাজগুলো পাশাপাশি আপনি যেগুলো খাবার খেলে আপনার চর্বি বা মেদ কমবে চলুন জেনে নেয়া যাক- 

ডিমঃ আপনারা হয়তোবা জানেন বা জানেন না যে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের মেদ চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এজন্য আপনার প্রত্যেকদিন সকালবেলার খাবার তালিকা রাখতে পারেন ডিম। ডিম খেলে কি হয়? আপনার ক্ষুধা কম লাগে এবং দীর্ঘক্ষণ খাবারটা পেটে থাকে। 

গ্রিন টিঃ আমি আগেই বলেছি গ্রিন টি এর সকালের নাস্তা তে রাখার জন্য, পেটের চর্বি ওজন বা মেদ কমাতে গ্রিন টি একটি জনপ্রিয়। গ্রীন টি তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা পেটে জমে থাকা মেদ কমাতে খুব কার্যকরী ভূমিকা রাখে। 

কফিঃ কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিনেট থাকে যা পেটের মেদ কমাতে এবং চর্বি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে হ্যাঁ আরেকটা কথা, কফি খাবেন ঠিক আছে কিন্তু চীনে মুক্ত কফি খেতে হবে তবে ব্লাক কপিটা বেশি ভালো মেয়াদ কমাতে। 

উপরের খাবারগুলো ব্যায়ামগুলো আপনি আপনার সকালে  রুটিনে এড করুন দেখবেন আপনার পেটের চর্বি বা ম্যাপ অনেকটা কমে গেছে। 

পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ব্যায়াম

পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ব্যায়াম, পেটের চর্বি কমানোর জন্য শুধু খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন করলে চলবে না। আপনাকে নিয়মিত পেটের কিছু অতিরিক্ত ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে হবে। আপনাকে কায় পরিশ্রম বাড়াতে হবে এবং প্রতিদিন সময় করে নিয়মিত হাঁটতে হবে। এছাড়াও আপনাকে পেটের চর্বি কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু অতিরিক্ত ব্যায়াম করতে হবে-

জগিংঃ প্রথমে আপনাকে পাঁচ মিনিট জগিং করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দৌড়াতে হবে। তারপর আবার দু-তিন মিনিট জগিং করে আবার ৩০-৪০ মিনিট দৌড়াতে হবে। 

ফ্লাটার কিকঃ কোন নির্দিষ্ট এক জায়গায় সিট হয়ে শুয়ে আপনার হাত দুটো হিপের একদম নিচে রাখুন। এবার আপনার মাথা কাজ এবং পা ম্যাট থেকে ধীরে ধীরে একদম ধীরে ধীরে উপরের দিকে ওঠার চেষ্টা করুন। এ অবস্থায় আপনার পা দুটো উঠানামা করার চেষ্টা করুন এভাবে সাত থেকে দশ বার প্রত্যেকদিন করার চেষ্টা করুন। 

পেটের স্ট্রেসিংঃ প্রথমে কোন এক জায়গায় সুন্দরভাবে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর আপনার দুই হাত সোজা করে মাথার পিছনে নিয়ে সুন্দর করে টানটান করে একই সঙ্গে আপনার পায়ের পাতা টানটান করে মেঝেতে ভাবতে যেখানে আপনি শুয়ে আছেন শুতে চেষ্টা করুন। এতে দেখবেন আপনি আপনার পেটের পিসিতে টান অনুভব করতে শুরু করবেন। এভাবে আপনি প্রত্যেকদিন ৮ থেকে ১২ মিনিট করবেন।

ব্রিক্স ওয়ার্কিংঃ আপনাকে প্রথমে ধীরে ধীরে হেঁটে শরীর গরম করে নিতে হবে। তারপর গতি বাড়িয়ে জোরে জোরে আপনি ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড হাটুন। আবার ধীরে ধীরে দুই মিনিটের মত হাঁটুন। আবার জোরে জোরে ৩০ থেকে ৩৫ সেকেন্ড। এভাবে করে আপনি ৭ থেকে ১০ মিনিট হাঁটুন। 

এভাবে আপনি এই ব্যায়ামগুলো প্রত্যেকদিন করলে দেখবেন আপনার শরীরের অনেক মেদ বা চর্বি কমে গেছে ইনশাআল্লাহ!

পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়

পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়, আমাদের দেশের মানুষ বেশিরভাগই পেটের চর্বি বা মেদ কমানোর জন্য প্রত্যেকদিন নানান ভাবে তারা তাদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন ব্যায়াম করে যাচ্ছে। আমি আপনাদের সাথে আজকে কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রতিদিন জিরা পানি পান করুনঃ প্রত্যেকদিন আপনি সকালে যেটা পানি পান করতে পারেন। আপনার হজমের জন্য অনেকভাবে সাহায্য করবে। যেটা ফেনী খেলে কি আপনার পেটের ফোলা ভাব কমায় এবং পেটের চর্বি বা মেদ কমাতে সাহায্য করে। 

গরম পানিতে লেবুর রসঃ আমাদের বেশিরভাগ সময় আমরা সকলেই ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস কপি বা চা খেয়ে থাকি। এটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে, তাই আজ থেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি বা চা না খেয়ে। এক গ্লাস উসু উসু গরম পানিতে  পরিমাণ মতোলেবুর রস দিয়ে তা সকালে খালি পেটে পান করুন। লেবুর রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি যা আপনার হজমে সাহায্য করবে। এছাড়াও শুধু আপনার হজমের জন্য না, পেটের মেদ ও চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তাঃ আপনাকে সকালে খাবারে অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা রাখতে হবে। শরীরের শক্তি জোগাতে প্রোটিন বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি আপনার সারাদিনের পেট ভরা অনুভব থেকে সহায়তা করে। আপনি যখন প্রত্যেকদিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন প্রোটিন রক্তের সরকার আর মাত্র নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং দেহে চর্বি বা মেদের পরিমাণ কমায়। 

শস্য জাতীয় খাবারঃ শস্য জাতীয় খাবার হচ্ছে মূলত আঁশ জাতীয় খাবার। এই খাবার আপনার শরীরের সুস্থ থাকার পাশাপাশি খুদা ভাব কমাতেও উচ্চ ক্যালোরি ক্যালোরি বহুল খাবারের চাহিদা কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। ক্যালোরি বহুল খাবারের চাহিদা কমাতে সহায়তা করে। এবং পেটের মেদ বা চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ আপনারা হয়তো বা অনেকে জানেন না বা জানেন পর্যাপ্ত পানি পান করলে আপনাদের শরীরের ওজন অনেক অনেক কমে যাবে। পাশাপাশি এটা স্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা কমায়।আপনারা যে কোন খাবার খাওয়ার আগে,পানি পান করে থাকবেন এতে আপনার অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমে যাবে। অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমে গেলে পেটের চর্বি ও আর থাকবে না।

পেটের-চর্বি-কমাতে-সাহায্য-করবে-যে-৫-টি-শাকসবজি

পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে যে ৫ টি শাকসবজি 

পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে যে ৭ টি শাকসবজি, পেটের চর্বি কমাতে আমরা অনেকেই অনেক ধরনের খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন ও ব্যায়াম করে থাকি। আমরা অনেকেই জানিনা যে শাক সবজির মধ্য দিয়েও আমরা আমাদের শরীরের চর্বি বা মেদ কমাতে পারি। তাহলে চলুন পেটের চর্বি বা মেদ কমাতে উপকারী কয়েকটি শাক সবজির কথা জেনে নেওয়া যাক-

ফুলকপিঃ এখন শীতকাল আমরা সবাই ফুলকপি বাজারে এভেলেবল পাওয়া যায়। ওজন কমানোর জন্য ফুলকপি অনেক ভালো। ফুলকপিতে ক্যালোরি কম রয়েছে আর আঁশ বেশি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন উপাদান। আবার অন্যদিকে গাজর বেশি খেলে পেট ভরা থাকে এবং ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ অনেক কমে যায়। 

করলাঃ অনেকেই করলা খেতে একদমই পছন্দ করে না তার তেতো সাধের জন্য। কিন্তু এই সবজির উপকারিতা সম্পর্কে অস্বীকার করার কোন সাধ্য নেই। কল্যাণীতে রয়েছে বিদ্যামান যৌগ গুলো যা আমাদের ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। করলা খেলে আমাদের পেটের মেদ কমে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 

শসাঃ আমরা অনেকেই জানি যে শরীরের ত্বকের সতেজকর সবজি হিসেবে পরিচিত। শসা খেলে শরীরের পানির অভাব দূর হয় এবং শরীরের প্রাণীর পরিমাণ বাড়ায়। পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ওজন কমাতে সাহায্য করে শসা। শসা খেলে আপনার শরীরে যদি কোন ধরনের দূষিত পদার্থ থাকে তা বের করতে দিতে সক্ষম। শসার মত পানি সমৃদ্ধ খাবার আপনার শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। আমাদের দেশে আমরা সবাই সালাদ হিসেবে শসা বেশি পরিচিত। 

গাজরঃ আমরা অনেকেই জানি যে গাজর আমাদের চোখের জন্য অনেক ভালো, শুধু চোখের জন্য না পেটের চর্বি কমাতে ও মেদ কমাতেও সাহায্য করে। কিন্তু গাজরে ক্যালরির পরিমাণ কম আবার অন্যদিকে আঁশেরপরিমাণ বেশি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। তা আমাদের পেটের চর্বি মেদ কমাতে সাহায্য করে।

লাউঃ লাউ এ কিন্তু ক্যালরির লাউয়ের ক্যালরি পরিমাণ কম। আবার পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে লাউয়ের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ইন্টার্নেশনাল জার্নাল অফ নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স একটি গবেষণা করে দেখা গেছে যে লাউয়ের থাকা উচ্চমাত্রার পানীয় আর জাতীয় পদার্থ আমাদের পেটের দ্রুত ভরিয়ে ফেলে এবং ক্যালরি গ্রহনের ইচ্ছা খুব কমিয়ে দেয়। আপনি চাইলে লাউয়ের জুস করেও খেতে পারেন।

তলপেটের চর্বি কমানোর উপায়

তলপেটের চর্বি কমানোর উপায়,  আমরা অনেকে বাসায় বসে বসে খেয়ে আমাদের তলপেটে চর্বি জমে যায়। এটি সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আজকে আমি আপনাদের সাথে তলপেটে চর্বি কমানোর জন্য টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব-

আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যাবেন বা সকালে খালি পেটে কয়েক টুকরো রসুনের কোয়া চিবিয়ে খেয়ে নেবেন। রসুনটি খাওয়ার পর এক গ্লাস হালকা পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিন্তু মনে রাখবেন যে এতে কোন ধরনের লবণ দেওয়া যাবে না। ওখানে লবণ না দিয়ে মধু মিশাতে পারেন কিন্তু চিনি না। এটির তলপেটের চর্বি কমাতে এবং বিপাক প্রক্রিয়া দাঁড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। 

আপনাকে সাদা ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তাই বলে আপনাকে একেবারে খাওয়া বন্ধ করে দিতে বলতেছেন তা না। সাদা চালের পরিবর্তে আপনাকে লাল চালের ভাত গমের রুটি খেয়ে থাকতে হবে। ঝাল যুক্ত খাবার খান তবে তেল ও ঝোল যুক্ত খাবার নয় যেমন রান্না করার সময় আমরা যে দারচিনি, আদা গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থাকে সেরকম ঝাল খাবার খাবেন। এগুলো আপনার শরীরের রক্তের সুগার ও ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অনেক ধরনের উপকারী।

জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। এছাড়াও মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন যেমন মনে করেন আইসক্রিম চকলেট বিস্কিট ১০ থেকে ১৫ দিন এসব খাবার থেকে দূরে থাকুন। ১০ থেকে ১৫ দিন মাছ মাংস ডিম দুধ খাবেন না। আবার হ্যাঁ সামুদ্রিক মাছ আপনি খেতে পারেন। প্রত্যেকদিন সকালে বিকেলে ফলও সবজি খান। পানি রয়েছে এমন ধরনের ফল বাছাই করে খান। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে। হাড় বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিপাকের হার উপাদান টক্সিন দূর করে। এবং আপনার শরীরের তলপেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

লেখকের ফাইনাল মন্তব্য

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় পেটের মেদ কমানোর উপায়, এ সম্পর্কে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি আমি আশা করি উপরের দিক নির্দেশনা গুলো যদি আপনি মেনে চলেন, ইনশাল্লাহ আপনার পেটের চর্বি ও পেটের মেদ অনেকটা কমে যাবে। এবং আপনি সুস্থতা বোধ করবেন। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্য লিখে যাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url