কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি

  কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন।আজকে আমি আপনাদের সাথে কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো যদি আপনি কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। 

কুকুরের-জলাতঙ্ক-রোগের-লক্ষণ-কি-কি

কুকুরের জলাতঙ্ক কেন হয়, কিভাবে হয়, এর প্রতিরোধ, সমস্ত কিছু আমি আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।এবং কিভাবে অতি তাড়াতাড়ি নির্মূল করা যায়। এবং তার সতর্ক সম্পর্কে সমস্ত কিছু বিষয় আপনাদের সাথে উপস্থাপন করব ইনশাল্লাহ। যদি আপনি কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

পেজ সূচিপত্র

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি

জলাতঙ্ক এই রোগ সাধারণত প্রাণীর কামড় থেকে মানুষের আতঙ্ক সৃষ্টি হয় জলাতঙ্ক রোগে। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ পানি দেখলে অনেক ভয় পায়। আমাদের দেশে ৯২ শতাংশ রোগীর জলাতঙ্কে আক্রান্ত হন শুধু কুকুরের কামড়ের কারণে। তবে শুধু কুকুরের কারণেই এই রোগ হয় তা না।

কুকুরের পাশাপাশি বেজি, বিড়াল, শেয়াল, বানর ইত্যাদি প্রাণীর কামড়েও এ রোগ হয়ে থাকে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো প্রাণী বা মানুষ একজন সুস্থ সবল মানুষকে যদি ভুল করে বা বুঝে শুনে কামড়ে দেয়। তারও এই জলাতঙ্ক রোগ হয় সাধারণত প্রাণীর কামড় খাওয়ার ২ থেকে সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে জলাকান্ত রোগের লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

যে এই রোগে আক্রান্ত হবে সে পানি দেখলে, বা পানির কথা শুনলেই সে অনেক আতঙ্ক এবং ভয় পায়। ওই যে সে ভয় পেল বা আতঙ্ক তৈরি করে থাকে তাকে বলা হয় হাইড্রোফোবিয়া বা আমরা বলে থাকি পানি আতঙ্ক। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর মধ্যে বেশ কিছু দেখা যায়। সাধারণত র‍্যাবিস ভাইরাস আক্রান্ত হলে এই রোগের মধ্যে বেশ কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে-

১। কর্কশ কণ্ঠস্বর।

২। তাদের প্রাণীর পিপাসা পেলেও পানি দেখে আতঙ্কিত হয়।

৩। খাবারের মধ্যে অরুচি।

৪। মুখে লালা বের হওয়া খিচুনি।

৫। অস্বাভাবিক কথাবার্তা।

৬। এলোমেলো ভাবে ঘুরে বেড়া।

৭। বাইরের আলো বাতাস বের হলেই ভয় বেড়ে যাওয়া।

৮। চোখের আড়ালে,অন্ধকারে, একা থাকতে পছন্দ করা।

৯। মেজাজ খিটখিটে হাওয়া।

১০। অন্যদের দেখে আক্রমণ বা কামরের প্রবণতা।

জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা কি

জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা কি, জলাতঙ্ক রোগ হলে সর্বপ্রথম আমাদের নিকটবর্তী কোন হসপিটালে অতি তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নিতে হবে। জলাতঙ্ক রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম টিকা নিতে হবে। চিকিৎসকরা বলেছেন যে এই ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা গেলে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে মারা যেতে পারে। যদি জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সর্বপ্রথম তাকে টিকা দিয়ে মৃত্যু থেকে বাঁচানো সম্ভব। 

কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বেজি, বানর ইত্যাদি কামড় থেকে সতর্ক থাকুন। যদি সতর্ক থাকা করো এসব প্রাণীর হামলা বা শিকার হলে আপনি ঢাকাতে মহাখালীর ইনফেকশন ডিজেজ হাসপাতালের অফিসার মেডিকেলের ডাক্তার বিকাশ কুমার সরকার বলেছেন যে, যে জায়গায় আক্রমণ করেছে বা কামড় দিয়েছে চেপে ধরুন। জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া যুক্ত সাবান বা কাপড় ধোলাই সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থানে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে নিন। 

কুকুরের-জলাতঙ্ক-রোগের-লক্ষণ-কি-কি-বিস্তারিত-জানুন

অতি দ্রুত ফার্মেসিতে বা হাসপাতালে যান। ক্ষতস্থানের সর্ব প্রথমে আপনি খেয়াল করে মনে করে পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট পরে পোভিডোন বা ক্লোরহেক্সিডিন দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। অ্যান্টিবায়োটিক মলম দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিন। প্রত্যেক দিন সময় মত এভাবে পরিষ্কার করুন। একটা কথা মনে রাখবেন যে-

ক্ষতস্থানে কোন ধরনের- স্যাভলন,ডিটল, লবণ, বরফ, চিনি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। এবং যে স্থানে কামোর ক্ষত বেশি হয়েছে সেখানে সেলাই করা উচিত না। 

জলাতঙ্ক রোগের প্রাথমিক লক্ষণ

জলাতঙ্ক রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো হলো- যেদিন কামড়াবে সেদিন অর্থাৎ প্রথম দিনে অনির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ যেমন ক্ষুধামন্দা, জ্বর, যেখানে কামড় দিয়েছে সেই ক্ষতস্থানে চিনচিন করে বা ঝিরি ব্যথা ধরা ইত্যাদি আক্রান্ত ব্যক্তি পরিলক্ষিত হয়ে ওঠে। তারপর কয়েকদিন পর থেকে অস্বাভাবিক উত্তেজনা, তন্দ্রা কনফিউশন হয়ে যাওয়া। লালা রসের লক্ষণ বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। 

আরো একাধিক প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখা যায় যেমন- বমি বমি ভাব, পানির ভয়, বিভ্রান্তি শরীরে অংশগুলো অনেকভাবে নড়াচড়া করতে অক্ষমতা একবার এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে ফলাফল সর্বোত্তম মৃত্যু। এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যেন আমরা কোন মানুষকে আক্রমণ করবে। অতি তাড়াতাড়ি নিকটবর্তী হসপিটালে বা ফার্মেসিতে যায়ে। 

উপরের দিক নির্দেশনা গুলো অনুযায়ী চিকিৎসান গ্রহণ করা এবং আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এসব বিষয় নিয়ে। এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে এক সপ্তাহ কম বা তিন মাস বা এক বছর পর রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ জন্য অতি তাড়াতাড়ি আমাদেরকে সময় করে অতি তাড়াতাড়ি টিকা দিতে হবে। 

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, সাধারণত এই রোগের লক্ষণ গুলোর শেষ পর্যন্ত দেখা যায়। ভাইরাসটি এই সময়ের মধ্যে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং অতি তাড়াতাড়ি এনসেফালাইটিস সৃষ্টি করে থাকে এবং পরবর্তী সময়ে মৃত্যু ঘটে। জলাতঙ্কের একটি নির্দিষ্ট ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে, এবং এর অর্থ হল উপসর্গ এবং লক্ষণগুলি প্রকাশের আগে কিছুদিন এটি সাধারণত ব্যক্তির শরীরে শরীরে সুপ্ত থাকে। 

প্রাথমিক কিছু উপ লক্ষণগুলো হলো-জ্বর, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, কামড়ানোর জায়গাতে ঝিরি ধরা এবং খিচুনি অনুভব করা। অত্যাধিক লালা নিঃসরণ, কোন খাবার গিলতে অসুবিধা পানির কথা শুনতে বা পানি দেখলে ভয় পাওয়া। এমনকি সাধারণত জলাতঙ্ক রোগের কমার কোন লক্ষণ নেই এটি একদম ভালো হওয়া পর্যন্ত লক্ষণ দেখা যায় রোগীর মধ্যে। 

প্রাথমিক লক্ষণ গুলোঃ 

  • দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করা
  • বমি বমি ভাব পেট ব্যথা হওয়া
  • ক্ষত ত স্থানে ব্যথা এবং অসুবিধা অনুভব 
  •  মাথাব্যথা
  • প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত থাকা সত্ত্বেও প্রাণীকে ভয় পাওয়া
  • চলাফেরায় হাঁটাচলায় অসুবিধা
  • অস্বাভাবিক আচরণ
  • সব সময় ভীত ও আতঙ্কিত থাকা

শেষ পর্যায়ে কিছু লক্ষণঃ 

শরীর প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া (পুরো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোন কাজ না করা)

আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া

প্রতিকারঃ

উপরে আলোচনায় আমি বলে এসেছি যে জলাতঙ্ক একটি প্রাণীঘাতী রোগ, এসব রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসা শুরু করলে আপনার জীবন বাঁচানো সম্ভব। 

তাড়াতাড়ি চিকিৎসাঃ 

১২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করলে অত্যন্ত জীবন বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আক্রান্ত স্থানটি সুন্দরভাবে ব্যাকটেরিয়া বা ের জীবনানাশক সাবান দিয়ে। ধুয়ে ফেলতে হবে যেন অতি তাড়াতাড়ি ভাইরাসটি শরীরের ভিতরে প্রবেশ না করতে পারে।

১। কুকুর বা অন্যান্য প্রাণী থেকে কামড়ালেও অবিলম্বে চিকিৎসা নিনঃ

পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে ক্ষত স্থানের সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন

তারপর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন

২। টিকা আগ্রহঃ 

জলাতঙ্কের আতঙ্ক হওয়ার পর জরুরী টিকা গ্রহণ করা হয়। এটি পাঁচ দিনব্যাপী একটি কোর্স হিসেবে দেওয়া হয়। 

এটি ভাইরাসের প্রভাব প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং রোগের রোধ করে। 

প্রতিরোধমূলক টিকাঃ 

যেসব মানুষ জলাতঙ্কে আক্রান্ত প্রাণীদের কাছাকাছি কাজ করেন, যেমন পশু চিকিৎসক, পশু পালনকারী, বা পরিবেশবিদরা, তাদের জন্য জলাতঙ্কের প্রতিরোধ টিকা দেওয়া যেতে পারে। 

৪। প্রাণীটির নিরাপদ রাখাঃ 

বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকা এবং তাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক না রাখা।

কুকুর বা অন্যান্য পোষা প্রাণীদের নিয়মিত ঠিকানা এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

জলাতঙ্ক একটি প্রতিরোধ যোগ্য রোগ, তবে এটি খুবই ভয়াবহ, তাই এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এবং কেউ যদি ভুলবশত এই রোগে আক্রান্ত হয় তাকে অতি তাড়াতাড়ি চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে এবং আক্রান্ত প্রাণীর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।

কুকুরের কামড়ে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

কুকুরের কামড়ের জলাতঙ্ক (Rabies) সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি নির্ভর করে। বেশ কিছু বিষয়ের উপর, যেমন কুকুরটির স্বাস্থ্যকর অবস্থা, কামড়ের স্থান, এবং কামড়ের পর ব্যবস্থাপনার গতি। জল আতঙ্ক এক ধরনের মারাত্মক ভাইরাস সংক্রান্ত যা সাধারণত আক্রান্ত প্রাণীর লালা (Saliva) দ্বারা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সাধারণত কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবাহিত হয়।

জলাতঙ্কের লক্ষণ এবং সময়সীমাঃ

১। জলাতঙ্কের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ( Incubation Peroid) 

জলাতঙ্কের ইনকিউবেশন  পিরিয়ড, অর্থাৎ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর থেকে প্রথম লক্ষণ দেখা দেওয়ার সময় কালে সাধারনত ১ থেকে ৩ মাসের মধ্যে হয়। তবে এটি কখনো কখনো দশ দিন থেকে ১ বছর পর্যন্ত হতে পারে। কামরের স্থানে এবং ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রার উপর নির্ভর করে এটি কম বেশি সময় দিতে পারে। 

২। লক্ষণ শুরু হওয়াঃ 

প্রথমে সাধারণ সর্দি, মাথাব্যথা, ও স্বস্তি হতে পারে। এরপর শরীরের জলাতঙ্কের অন্যান্য লক্ষণ যেমন অস্বাভাবিক আচরণ, মাংসপেশিতে ব্যথা, এবং শেষ পর্যন্ত পক্ষাঘাত বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হতে পারে। জলাতঙ্ক প্রাথমিকভাবে মস্তিষ্কের আক্রমণ করে, এবং একবার লক্ষণ দেখা দিলে রোগটি প্রায় নিশ্চিতভাবে প্রাণঘাতী হয়। এজন্য আমি আগে বলেছি বা বলবো আপনারা সবাই জলাতঙ্ক প্রাণী থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। 

কুকুরের কামড়ের পর করণীয়ঃ

কুকুরের চরিত্র এবং স্বাস্থ্যঃ কুকুরটি যদি আচমকা আচরণে পরিবর্তন দেখায় বা ব্যাপারেয়া হয়, তবে তা জলাতঙ্কের লক্ষণ হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে কুকুরটি যদি বন্য হয় অথবা তার কোন ঠিকানা থাকে, তবে সাবধান হওয়া জরুরী। 

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ কমোডের পর ক্ষতস্থানে এবং সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতে আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। 

টিকা নেওয়াঃ কুকুরের উপর জলাতঙ্কের টিকা ( Post Exposure Prophylaxis বা PEP) নেওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এই টিকা গুলি ০ থেকে ২৮ দিন পর সিরিজ আকারে দেওয়া হয়। টিকা শুরু করার পর সঠিক সময়ে এবং নিয়মমাফিক টিকা নিলে জলাতঙ্কের সংক্রমণ প্রায় ১০০% রোধ করা সম্ভব বলে আশা করি। 

কুকুরের-লালা-শরীরের-লাগলে-কি-হয়

কুকুরের লালা শরীরের লাগলে কি হয় 

কুকুরের লালা শরীরে লাগলে যদি সেই লালার মধ্যে জলাতঙ্ক ( Rabies) ভাইরাস থাকে, তবে তা সংক্রমিত হতে পারে। জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ভাইরাস সাধারণত আক্রান্ত প্রাণীর আমি আগেই বলেছি (যেমন- কুকুর, বিড়াল, বানর, বাদুড় ইত্যাদি)। লালার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবাহিত হয়, বিশেষ করে যদি সেই লালা কোন ক্ষতস্থানে ( যেমন কামড় বা কাটা জায়গা) প্রবাহিত হয়।

কুকুরের লালা শরীরে লাগলে কি হতে পারেঃ 

১। জলাতঙ্ক সংক্রমণ (Rabies)-

প্রবাহিত হওয়ার পথঃ কুকুরের লালায় জলাতঙ্ক ভাইরাস থেকে যদি কুকুরটির জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সাধারণত, ভাইরাস আক্রান্ত কুকুরের লালার মাধ্যমে শরীরে প্রবাহিত হয়, যেমন যখন কুকুর কাউকে কামড়ায় বা কেটে দেয়। 

২। লক্ষণগুলোঃ যদি ভাইরাস শরীরে প্রবাহিত হয় তাহলে প্রথমে ইনকিউবেশন পিরিয়ড (যতদিন ভাইরা শরীরের প্রবেশ করে লক্ষণ প্রকাশ হতে) শুরু হয়। লক্ষণগুলির শুরু হলে জলাতঙ্ক অত্যন্ত বিপদজনক এবং মৃত্যু কারণ হতে পারে। 

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় এবং এটি মারাত্মক হতে পারে। এর কিছু সাধারন লক্ষণ হলোঃ

১। খাবার বা পানি অস্বীকারঃ কুকুরটি খাবার বা পানি খেতে চায় না বা খেতে অক্ষত হতে পারে। 

২। হাঁচি কাশিঃ কুকুরটির কাশি বা হাঁচি দিতে পারে। 

৩। থুতু বা লালা পোড়াঃ অতিরিক্ত লালা ঝরতে দেখা যায়, কারণ গলার পেশি পঙ্গু হতে পারে। 

৪। মাথা ঝোলানো বা পক্ষঘাতঃ পায়ের অক্ষমতা বা শরীরের বিভিন্ন অংশে পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে। 

৫। আচরণগত পরিবর্তনঃ কুকুরটির আক্রমণ বা উত্তেজিত হতে পারে, বা শান্তভাবে মনোযোগী হয়ে যেতে পারে। 

৬। শ্বাসকষ্ট বা গলা চেপে ধরাঃ গলা বা শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা হতে পারে, যার ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। 

৭। মৃগীভাবঃ কুকুরটির শরীরে অনিয়ন্ত্রিত ঝাঁকুনি বা মৃগী হয়ে পড়তে পারে ইত্যাদি।

জলাতঙ্কর রোগ আক্রান্ত সংক্রমণ এবং মানবজাতির জন্যও মারাত্মক, তাই যদি আপনি কোনও কুকুরের জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখতে পান দ্রুত পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

লেখক এর শেষ কথা 

আমি আশা করি আপনারা কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এই আর্টিকেলটি পড়ে। যদি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আপনার মন্তব্য কমেন্ট বক্সে লিখে যাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url