শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে এ সম্পর্কে আলোচনা করব। এই প্রচন্ড শীতে কিভাবে আপনারা ঘরে বসে ত্বকের সৌন্দর্যে যত্ন নেবেন, এবং কি কি পদক্ষেপ নিলে আপনার আমাদের সকলের ত্বক সুন্দর ও মসৃণ থাকবে এই সম্পর্ক এই আর্টিকেল লেখা।
শীতকাল ত্বকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সময় হতে পারে। এই চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তেও কিভাবে ত্বকের সুন্দর করে তুলবেন। এবং কি কি পদক্ষেপ নেবেন এবং কি কি উপায়ে অবলম্বন করবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন।।
পেইজ সূচিপত্র
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতে ত্বককে ভালো রাখতে সেরা ৫ টি নিয়ম
কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়, এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনি এসেছেন তাহলে চলুন আপনাকে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিই। এই প্রচন্ড শীতে নিজের ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখাটা অনেকের কাছে চ্যালেঞ্জি। শীতের মধ্যে আমাদের ত্বক অনেক শুষ্ক রুক্ষ হয়ে পড়ে, বিশেষ করে এই শীতের তীব্রতা যত বেশি হয়। এই ঠান্ডা বাতাসে ত্বকের সৌন্দর্য বা আদ্রতা চুষে নিয়ে ত্বককে শুষ্ক ও খসখস করে তোলে।
এই সময়ে ত্বকের শুষ্কতা এবং খসখসে ভাব দূর করতে সঠিক পরিচর্যা এবং সঠিক উপাদান ব্যবহার করা প্রয়োজন। ঘরোয়া উপায় ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে, কারণ এখানে আমরা বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে থাকি যা ত্বকের জন্য মৃদু ও নরম। শীতকালে কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক উপাদান এবং কার্যকরী ঘরোয়া উপায় নিয়ে আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো, যা আপনার ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল এবং মোলায়েম রাখতে সাহায্য করবে।
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন
আমরা সকলেই জানি যে শীতকালের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে ত্বক আর ওই রুক্ষ নিষ্পন্ন হয়ে যায়। তাই শীতে ময়েশ্চারাইজ ত্বক করতে পারেন-
অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি তেল। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এই অলিগঞ্জ তেল শীতে আমাদের পক্ষে আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে মোলায়েম রাখতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
অলিভ অয়েলের ব্যবহার বিধিঃ মধুর সাথে অলিভ অয়েল মিশ্রণ করে খুব সুন্দর ভাবে ত্বকে মালিশ করুন। এবং কিছু সময় অপেক্ষা করুন দেখবেন এটি তোকে আর্দ্র ও নরম রাখতে সাহায্য করবে।
মধুর এবং চিনির স্ক্রাবঃ মধু এবং চিনির স্ক্রাব প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটার, যা ত্বকের কোষগুলো মৃত দূর করতে সাহায্য করে। মধু ত্বকের আদ্রতা প্রদান করে এবং ত্বককে মোলায়েম রাখে। এই মধু ও চিনি দুটি মিশ্রণ একসঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে সুন্দর নরম রাখে।
মধু এবং চিনির স্ক্রাব ব্যবহার বিধিঃ এক চামচ চিনি এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করুন। এটি ত্বকের উপর কিছুক্ষণ ঘর্ষণ করে, লাগিয়ে কিছু সময় রেখে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন এটি আপনার ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখবে।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল তোকে একটি দুর্দান্ত এবং সুন্দর মশ্চারাইজার। এই তেলটি আপনার ত্বকে অনেক গভীরে পৌঁছে ত্বককে হাইড্রেট করে এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। নারিকেলে রয়েছে উপস্থিত ফ্যাটি এসিড যা আপনার ত্বককে সুন্দর ও মশ্চারাইজার প্রদান করে এবং ত্বককে নরম ও মোলায়েম রাখে।
নারিকেল তেলের ব্যবহার বিধিঃ শীতের সময়ে ত্বককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নারিকেল তেল দিয়ে টপকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন দেখবেন এটি আপনার ত্বককে আদ্র রাখবে এবং ত্বক মসৃণ হবে।
শীতে ত্বককে ভালো রাখতে সেরা ৫ টি নিয়ম
এই শীতের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাই আমাদের সকলের ত্বকের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এই শীতের ত্বককে ভালো রক্তের সেরা পাঁচটি নিয়ম নিচে দেওয়া হলো--
১। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি ব্যবহার করুনঃ গরম পানি আপনার ত্বককে অতিরিক্ত করে দিতে পারে। তাই আপনাকে গরম পানিতে গোসল করা যাবে না। উষ্ণ বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানিতে গোসল করা উচিত। এবং গোসলের পর ত্বককে সুন্দরভাবে অতি দ্রুত মশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না।
২। সঠিক হাইড্রেশন এবং ডায়েটঃ এই শীতে শরীরে পানির প্রভাবের অভাব হতে পারে। যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন এমন খাবার খান যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যেমন--ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি। ( যেমন মাছ বাদাম) এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
৩। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং করুনঃ শীতকালে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়, তাই নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিার ব্যবহার করা জরুরি। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। শীতে পছন্দ করুন ঘন তৈলত্ত্ব বা ক্রিম জাতীয় ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করতে সাহায্য করে।
৪। ঠান্ডা বাতাস থেকে দূরে থাকুনঃ শীতের বাহিরে বাতাস শুষ্ক এবং ঠান্ডা থাকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় স্কাফ বা শাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন এবং হাত পায়ের টগ ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
৫। স্কাবিং বা পিলিং করুন কিন্তু অল্প পরিমাণেঃ ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে তোকে সুন্দর ও সজীব রাখার জন্য সপ্তাহে এক-দুইবার নরম স্কাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে শীতে তো খুব বেশি ঘষা হবে যাবে না, কারণ মাইল্ড স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটিং ক্রিম ব্যবহার করুন।
উপরের পাঁচটি নিয়ম যদি আপনার মেনে চলেন শীতকালের ত্বক সুস্থ ও সতেজ থাকবে ইনশাল্লাহ!
কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়
ত্বক শুষ্ক হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটি হতে পারে ভিটামিনের অভাব। সাধারণত কিছু বিশেষ ভিটামিনের অভাবে ত্বককে শুষ্ক খসখসে এবং আদ্রতা কম হওয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ভিটামিন হলো----
১। ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ ত্বকের পূর্ণননবীকরণ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে ত্বক শুষ্ক খসখসে এবং শুষ্ক রেখায় ভাড়া হতে পারে। ভিটামিন এ এর অভাবের ফলের ত্বক সঠিকভাবে পূর্ণ গঠন করতে পারেনা, ফলে তোকে অবস্থাও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
ভিটামিন এ এর উৎস
- কুমড়া
- মিষ্টি আলু
- পালং শাক
- গাজর
- ডিম
২। ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী আন্টি-অক্সিডেন্ট যা রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর অভাবে ত্বক দুষ্ক এবং সুষম শোষণের জন্য কম সক্ষম হয়। ভিটামিন ই ত্বকের সেল মেমব্রেন গুলোকে রক্ষা করে। ফলের ত্বক আরো আদ্রতা হারায় না।
ভিটামিন ই এর উৎস
- শসা
- বাদাম
- পেস্তা বাদাম
- সূর্যমুখী তেল
৩। ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি টকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এবং স্নান হয়ে পড়ে।
ভিটামিন সি এর উৎস
- টমেটো
- কমলা
- স্ট্রবেরি
- কিউই
- লেবু
৪। ভিটামিন ডিঃ এর অভাবে ত্বকে শুষ্কতা, চুলকানি, এবং এমনকি একজিমা বা অন্যান্য ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি ত্বকের সঠিক কার্যক্রমে সঠিক সহায়ক হয়।
ভিটামিন ডি এর উৎস
- ডিম
- দুধ
- সকালের রোদ
- মাছ (যেমন স্যামন)
৫। ভিটামিন কে
ভিটামিন কে ত্বকের রক্ত সংবহন এবং শুষ্কতা দূরীকরণে সাহায্য করে। এর অভাব হলে ত্বক রক্ত চলাচল কমে যেতে পারে, যার ফলে শুষ্কতম এবং নিস্তেজতা বেড়ে যায়।
ভিটামিন কে এর উৎস
- ব্রোকলি
- ক্যাবেজ
- পালং শাক
যদি আপনার এই শীতের ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে বা আপনি সন্দেহ করছেন যে, ত্বকের এই সমস্যা হচ্ছে ভিটামিনের অভাবে, তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় এই ভিটামিন গুলির যথাযথ পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তবে দীর্ঘমেয়াদী ত্বক সমস্যা থাকলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ বার্ষিকী পরামর্শে আমাকে যেতে পারে।
শীতে ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো
শীতের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পরে, তাই শীতকালীন ত্বকের ে উপযুক্ত ক্রিম নির্বাচন করা জরুরী। শীতকালের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এমন ক্রিম ব্যবহার করা উচিত যেগুলো গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে এবং ত্বকের নরম ও মসৃণ করে। নিচে কিছু ভালো শীতকালীন ক্রিমের কথা সম্পর্কে জানানো হলো----
১। নেভিয়া ( Nivea) ময়েশ্চারাইজিং ক্রিমঃ নিভিয়ার ক্রিমটি খুবই জনপ্রিয় এবং শীতকালে অনেকের কাছে আদর্শ। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ময়েশ্চার লক করে এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও ত্বককে কমল ও মসৃণ রাখে।
২। পন্ডস ( Pond's) কোল্ড ক্রিমঃ এই ক্রিমটি শীতকালীন ত্বক সুরক্ষিত রাখতে খুবই কার্যকর। এটি ত্বককে গভীরভাবে মশ্চারাইজার করে এবং ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এটি অনেক ভালো এবং সুন্দর প্রোডাক্ট।
৩। ভিশি ( Vichy) মিনারাল 89 হাইড্রেডিং ফেস ক্রিমঃ ভিশি ক্রিমটি ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট করে, সুতরাং শীতের সময় শুষ্ক ত্বককে সঠিক পরিমাণ আদ্রতা দেয়।
৪। এভিন ( Avene) হাইড্রাস গ্লিসারিন ক্রিমঃ এটি শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে সুন্দর হাইড্রেট রাখে। এই ক্রিমটি বিশেষভাবে সেনসিটিভ ত্বকের জন্য অনেক ভালো একটি প্রোডাক্ট।
শীতকালের ত্বকের যত্নে কিছু সুন্দর টিপস--
দিনে দুইবার মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন। শীতের ত্বকে আদ্রতা রক্ষার্থে এটি অপরিহার্য। গরম পানি দিয়ে দীর্ঘ সময় গোসল করা ত্বক শুষ্ক করে দেয়, তাই হালকা গরম বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করার চেষ্টা করুন।
শীতকালে এমন ক্রিম বেছে নিন যার মধ্যে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই থাকে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে।
আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী এই শীতে, আপনার প্রয়োজনীয় অনুসারে ক্রিম বাছায় করুন।
শীতকালে চুলের যত্ন
শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়া আমাদের সকলের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ শীতের শুধু ত্বকে শুষ্ক ও রক্ষ থাকে না। শীতের সময় চুল ও শুষ্ক অক্ষর হয়, কারণ শীতের ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস চুলের স্বাভাবিক আদ্রতা শুষে নিতে পারে। ফলে চুল রুক্ষ, ভঙ্গুর এবং সহজে ভেঙে যেতে পারে। শীতকালে চুলের যত্ন নিতে কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা যেতে পারে......
আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
১। অগ্রানিক বা প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুনঃ শীতকালে চুলের তেলে গুরুত্ব অনেক বেশি। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল তেল ইত্যাদিতে নিয়মিত মাখলে তা চুলকে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুলকে শক্ত এবং মজবুত রাখে। সপ্তাহে একবার দুইদিন তেল ম্যাসাজ করলে চুলের গুণগত মান উন্নত হয়।
২। ধীরে-ধীরে শ্যাম্পু করুনঃ চুল খুব গরম পানিতে ধোয়া উচিত নয়। কারণ এটি চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে ফেলতে পারে। ঠান্ডা বা গরম পানির মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
৩। হাইড্রোটেড থাকুনঃ আপনার শরীরে আদ্রতা চুলের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে চেষ্টা করুন। যা চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে।
৪। পুষ্টিকর খাবার খানঃ চুলের স্বাস্থ্য ভেতর থেকে শুরু হয়। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রত্যেকদিন নিয়মিত পুষ্টিকর প্রোটিন নিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। (বিশেষত ভিটামিন A, C, এবং E), আইরন এবং Omega-3 fatty acids সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ডিম, বাদাম, এবং শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এছাড়া, শীতের সময় চুলের জন্য বিশেষ কিছু হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, যা চুলকে গভীরভাবে পুষ্টি দেয় এবং শুষ্কতা কমায়।
৫। নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করুনঃ শীতের সময় চুল বেশি শুষ্ক হয়ে যায়, তাই কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত কমিশনার ব্যবহার করা। কন্ডিশনার চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুল মসৃণ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
উপরের টিপস গুলো যদি আপনি অনুসরণ করতে পারেন, আপনার শীতকালে চুল থাকবে সুস্থ, সুন্দর, মসৃণ এবং চকচকে।
লেখকের শেষ কথা
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে উপরে অনেকগুলো টিপস এবং নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই টিপস অনুসরণ করলে বাজে আদেশ-নিষেধ করেছি। সেগুলো যদি আপনি পালন করেন তাহলে দেখবেন শীতেও আপনার ত্বক অনেক সুন্দর এবং মসৃণ অনুভব করবেন।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আপনার মন্তব্য কমেন্ট বক্সে লিখে যাবেন।
আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url