ছাত্র হিসেবে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়
ছাত্র হিসেবে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, একজন ছাত্র অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন ধরেন- টিউশনি, ফ্রিল্যান্সিং, ব্যবসা, পশু পালন, মাছ চাষ, ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় অনেক ছাত্ররাঅর্থ উপার্জনের জন্য সঠিক পথ খুঁজে পায় না। তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কিভাবে একজন ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করা যায়।
একজন ছাত্রর হিসেবে আপনি আপনার পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে, পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। যদি আপনি একজন ছাত্ররা হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সাথে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ছাত্র হিসেবে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়
ছাত্র হিসেবে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যার অধিকাংশ জুড়ে রয়েছে ছাত্ররা, এদের মধ্যে খুব অল্প কিছু ছাত্র রয়েছে যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করে। বেশিরভাগ ছাত্র তারা তাদের নিজ পরিবার থেকে অর্থ নিয়ে লেখাপড়া এবং তাদের হাত খরচ চালায়। হয়তোবা আপনিও এরকম একজন ছাত্র। হয়তোবা আপনিও উচ্চ মাধ্যমিকের লেখাপড়া করতেছেন।
তবে আপনি ওদের থেকে আলাদা, কারণ আপনার মাথায় চিন্তা এসেছে যে আমাকে নিজে কিছু অর্থ অর্জন করতে হবে। তারা এখনো তাদের পরিবারের বোঝা হয়ে রয়েছে। আর আপনি আপনার পরিবার থেকে নির্ভর কমাতে চাচ্ছেন, জি না আমাকে কিছু নিজের থেকে করতে হবে। পরিবারকে আর ওইভাবে আর চাপ দিয়ে অর্থ নিয়ে পড়াশোনা করা যাবে না। নিজে কিছু অর্থ উপার্জন করে নিজেকে চলতে হবে।
এরকম ধারণা আপনার মনের মধ্যে এসেছে বলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন, বা গুগলের সার্চ করছেন যে ছাত্র অবস্থায় কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। আমি আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে কিছু বাস্তবসম্মত পদ্ধতি জানতে পারবেন। যে ছাত্র থাকা অবস্থায় কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়।
আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু ব্যবসা বা কাজের কথা শেয়ার করব, যে কাজ এবং ব্যবসা গুলো ছাত্র থাকাকালীন সময়ে অর্থ উপার্জনের একটা বড় মাধ্যম, ছাত্র থাকা অবস্থায় খুব কম ছাত্র অর্থ উপার্জন করতে চায়। তবে যেসব ছাত্র গুলো অর্থ উপার্জন করতে চায় ছাত্র থাকা অবস্থায়। তারা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বা আমি তাদেরকে পরিশ্রমী ছাত্র হিসেবে মনে করি।
টিউশন
টিউশন করে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করা যায়। এটি এখন পর্যন্ত ছাত্র অবস্থায় টাকা উপার্জন করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। বেশিরভাগ ছাত্র দেখা যায় তারা ছাত্র থাকা অবস্থায় টিউশনি করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এই টিউশনি করে অর্থ উপার্জন করা শুধু নয়, আপনার পড়াশোনার চর্চা হচ্ছে, পাশাপাশি আপনার অর্থ উপার্জনও হচ্ছে।
যেমন ধরেন আপনি ইংরেজিতে অনেক ভালো আপনি ইংরেজি টিউশনের জন্য অফার করবেন। আবার মনে করেন আপনি ফিজিক্সে অনেক ভালো আপনি ফিজিক্স পরানোর জন্য ব্যবহার করবেন, আবার অনেকে দেখা যাচ্ছে গণিতে অনেক ভালো সে গণিতে পড়ানোর জন্য অফার করবে। ছাত্রদের অনেকের এই টিউশনি নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
তারা টিউশনি খোঁজে কিন্তু টিউশনি পায়না। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনি আপনার স্কিল বা এবিলিটি শেয়ার করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে। বা আপনি টুলেট জাতীয় কিছু ব্যানার বা মনে করেন প্রিন্ট করে আপনি যে অঞ্চলে টিউশনি করাতে চাচ্ছেন। সে অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় লাগায় দিয়ে আসবেন। দেখবেন এসব করার পর আপনি কিছুদিনের মধ্যেই টিউশনের জন্য অফার পেয়ে যাবেন বলে আশা করি।
আপনি টিউশনি অফারের পর আপনার যে ডিলটি গ্রহণযোগ্য মনে হবে সে দিনটি গ্রহণ করে আপনি আপনার টিউশনি শুরু করে দিতে পারেন। মাস শেষে দেখবেন বেশ সুন্দর একটা এমাউন্ট আপনার কাছে চলে এসেছে। টিউশনি করে শুধু আপনার অর্থ উপার্জন নয়, পাশাপাশি আপনার পড়াশুনার চর্চা হবে এবং প্র্যাকটিসও হবে। এজন্য আমার মনে হয় আপনি ছাত্র থাকা অবস্থায় যদি অর্থ উপার্জন করতে চান। তাহলে আপনি এই টিউশনি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং করেও আপনি ছাত্র হিসেবে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন জগতে ফ্রিল্যান্সিং একটি অনেক বড় ক্ষেত্র। আপনি যদি ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে চান ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনাকে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক ধরনের কাজে সেক্টর রয়েছে-কন্টিন রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপ, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, বাংলা আর্টিকেল ইত্যাদি।
আপনি ছাত্র হিসেবে যেকোনো একাডেমি বা ইন্টারনেট থেকে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।আমাদের দেশে অনেকেই সফল ফ্রিল্যান্সার তারা ইউটিউব দেখেই অনেক বড় ফ্রিল্যান্সার হয়ে গেছে। এমন অনেক সেক্টর রয়েছে যেখানে ওয়েব ডিজাইনের মত জিনিসগুলো বিনামূল্যে শেখা যায়। সুতরাং একজন ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জনের অনেক বড় একটা মাধ্যম হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং শিখে অর্থ উপার্জন।
তবে কিছু কিছু ছাত্র আছে তারা এই ফ্রিল্যান্সিং তাদের পেশা হিসেবে কাজ করে। কাজ করবেই বা না কেন বাংলাদেশের চাকরির বাজার অনেক মঙ্গা বা খারাপ। এজন্য অনেক ছাত্র কিছুদূর পড়াশোনার করেই তারা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং তাদের পাশে হিসেবে করে নিয়েছে। এ কথার অর্থ মানে আপনাকে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে বলতেছি না! আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
এখন ইউটিউবে অনেক ধরনের ভিডিও রয়েছে। যেগুলো আপনি ফ্রিতে দেখে একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। এখন আমরা ডিজিটাল যুগের মানুষ সেজন্য আমাদের যেকোন সমস্যার সমাধানে আমরা হাতের কাছে পেয়ে থাকি। আপনি ইউটিউবে ঘরে বসেই ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একজন ছাত্র তার ফ্রিল্যান্সিং ক্যাডার শুরু করতে পারে এই দেশের বিভিন্ন কোম্পানি গুলোর সাথে।
আপনি ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হতে পারলে আপনি বিদেশি বড় বড় কোম্পানিগুলোতে কাজ পেতে পারেন। এবং মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যদি বিদেশি কোন বায়ার আপনার কাজকে পছন্দ করে ফেলে তাহলে দেখবেন আপনার ছাত্র থাকা অবস্থায় টাকার অভাব হবে না। একজন ছাত্র ফাইবার, আপওয়ার্কের মত ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক চাকরির করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটগুলো ছাড়াও, আরো কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে একজন ছাত্র আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সার চাকরি সন্ধান পেতে পারে। আপনার দক্ষতা। সময়মতো প্রজেক্ট জমা দেওয়া আপনার কাজের গতি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে আপনাকে সেই কোম্পানিগুলোতে কাজ দেবে। দক্ষতা অর্জনের পর আপনাকে তারা তাদের কোম্পানিতে পার্মানেন্ট চাকরি দিয়ে দিবে। এর থেকে আপনি পার্টটাইম জব হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
অনেক ফ্রিল্যান্সারের জন্য শূন্য পদ জমা দেন কোন বিশেষ কাজ করার জন্য একজন ছাত্র তার ফিন্যান্সিংয়ের শুরু করতে পারে এই দেশীয় কোম্পানিগুলোর সাথে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ধরনের বড় বড় কোম্পানি আন্ডারে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনার কাজ তাদেরকে ভালো লাগে আপনারা তারা পার্মানেন্ট জব দিয়ে দিবে এবং আপনাকে সুন্দর একটা এমাউন্ট ব্যবস্থা করে দেবে।
আমার মনে হয় ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জনের অনেক বড় একটা মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং! যদি আপনি এই কাজের পিছনে লেগে থাকতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। এবং আপনাকে এই কাজের পিছনে লেগে থাকতে হবে এবং কটার পরিশ্রম করতে হবে পড়াশোনার পাশাপাশি। এজন্য ফ্রান্সিং হতে পারে আপনার ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জনের অনেক বড় একটা মাধ্যম।
পশু বিক্রি
পশু বিক্রি করে একজন ছাত্র চাইলে অর্থ উপার্জন করতে পারে, যেসব ছাত্র গ্রামে পশু বিক্রি করে থাকে তারা তাদের জন্য একটি গেমস-চেঞ্জার হতে পারে। একজন ছাত্র চাইলে ছাগল, ভেড়া, বা গরুর মত কিছু পশু কিনতে পারে এবং সেসব পশুর খামার দিয়ে সেসব পশু যখন বড় হয় তখন সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। একজন ছাত্র কিছু অর্থ উপার্জনের জন্য মাছ ধরে সেগুলো বাজারে বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করতে পারে।
এসব কাজের পাশাপাশি তাকে-পশু বিক্রির মাধ্যম, কিভাবে খাওয়াতে হবে, কতটুকু খাওয়াতে হবে, ইত্যাদি। জানতে হবে। তবে আমরা অনেকে মনে করি লেখাপড়ার পাশাপাশি কিভাবে আমাদের কাজ করব। তারা এসব কাজ করতে লজ্জা বোধ করে। একটা কথা মনে রাখবেন পৃথিবীতে কোন কাজই ছোট না। কাজে কোন লজ্জা নেই, লজ্জা হচ্ছে অলসতায়!
অনেক ছাত্ররা মনে পড়াশোনার পাশাপাশি এসব করলে মানুষের কি বলবে। শুনেন সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের জীবনের সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে মানুষ কি বলবে। মানুষে বলবে সেটা দেখে আমাদের কোন লাভ নেই। আমাদের কথা হচ্ছে আমরা ছাত্র হিসেবে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় এটা আমার মাথার মধ্যে থাকবে। আপনি যদি ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে চান? তাহলে আপনি পশু বিক্রির মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
আপনি চাইলে বাসায় একটা খামার দিতে পারেন সে খামারের মধ্যে কয়েকটা গরু লালন পালন করে। ভালোমতো খাওয়া দাওয়া করে স্বাস্থ্যবান করে তাদেরকে বিক্রি করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারে। এছাড়াও, পশু বিক্রির এই পেশা শুরু করার আগে একজন শিক্ষার্থীকে পশুদের জ্ঞানের বিট গুলি শিখতে হবে। তাকে পশুর বাজার, মূল্য, কিভাবে রোগ প্রতিরোধ করা যায়, আপনাকে সমস্ত কিছু ধারনা নিতে হবে। এই ব্যবসাটি বেশিরভাগই গ্রামে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ভালো একটা উদ্যোগ হতে পারে।
আপনি ছাগলের খামার তৈরি করতে পারেন। সে ছাগলের খামারের মধ্যে অনেক জাতের ছাগল লালন পালন করে। সেগুলো বিক্রি করে আপনি লাভবান হতে পারেন বা বা অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আসলে পশু বিক্রি এ বিষয়টা যেসব শিক্ষার্থী গ্রাম অঞ্চলে থেকে লেখাপড়া করে। তাদের জন্য অনেক ভালো একটা উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।
ছোটখাটো ব্যবসা
ছোটখাটো ব্যবসা করে আপনি ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ইদানিংকালে অনেক ধরনের ব্যবসার দিকে ঝুকছে। তবে একেবারে প্রফেশনাল ব্যবসা বলেও ভুল হবে। তারা নিজেদের খরচ চালানোর জন্য সাধারণ ছোটখাটো ব্যবসা করে থাকে। যেমন ধরেন ঝালমুড়ি, শখের জিনিস বিক্রি, প্যান্ট বিক্রি, রাস্তার পাশে জুতার দোকান, ফুচকা চটপটি, ইত্যাদি। তারা এসব ব্যবসা করে থাকে। এদের মাইক্রো বিজনেস বলা হয়।
তারা এসব ব্যবসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে ব্যবহার করে থাকে। এখন ডিজিটাল যুগ কোন কিছুর জিনিস প্রয়োজন হলে মানুষ অনলাইনে অর্ডার করে এসব জিনিস তারা ঘরে বসে পেয়ে যায়।আপনি হোম ডেলিভারি করে কোন রেস্টুরেন্টের ডেলিভারি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন পার্ট টাইম জব হিসাবে। তবে এটা ভাববেন না যে তারা এগুলো নিয়ে দোকানে বসে থাকে। তারা বেশিরভাগ এই বিজনেস গুলোই প্রচার প্রচারণা করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
তারা তাদের কাস্টমার রিলেশন শিপ, অর্ডার দেওয়া, কাস্টমারদের প্রোডাক্ট দেখানো সহ বেশিরভাগ কাজি অনলাইনে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তাদের বিজনেস গুলো শুরু করে। যেসব ছাত্ররা শহরে লেখাপড়া করে তারা এসব কাজে বেশি করে থাকে। আপনি যদি ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে উপরের কাজগুলো আপনি করে সহজে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসা
অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসা করে আপনি ছাত্র হিসেবে ইনকাম করতে পারেন। একটি অনলাইন ই-কমার্স সব খোলা খুবই সহজ। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে অনেক শিক্ষার্থী এই অনলাইন ব্যবসার দিকে ঝুলে ছিল। তারা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করত। অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে বসে মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ঘড়ি, হোম ডেলিভারি খাবার, বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং করে তারা অর্থ উপার্জন করত।
আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন ব্যবসার জন্য কোন লাইসেন্স জারি করতে হয় না। বিকাশ নগদ এর মত সেবা বাংলাদেশে আসার পর থেকে অনলাইন ই-কমার্স ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপনি পূর্ণ কুরিয়ার করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অনায়াসে পৌঁছে দিতে পারেন।
সেখানে বিভিন্ন ধরনের অফ ই-কমার্স ব্যবসা বিকল্প আপনি আপনার পছন্দ, মূলধন, এবং অনলাইন ব্যবসা মডেলের উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসার জন্য আপনি বিভিন্ন কৌশল ও কৌশল বাস্তবায়ন করতে হবে। ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে এই বিজনেস মডেল কি এবং কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধরা রাখতে হবে।
যে কোন কাজ যদি আপনি সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার ওই কাজটি ৫০% হয়ে গেছে। ই-কমার্স যেহেতু একটা ব্যবসা তার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পরিকল্পনা পালন করতে হবে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে টার্গেট,অডিয়েন্স, নির্দিষ্ট এলাকা, কি কি প্রোডাক্ট থাকবে। কত পরিমান পণ্য স্টকে থাকবে ওয়েবসাইট তৈরি, মার্কেটিং ইত্যাদি সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়।
আপনি বিজনেস শুরু করার পূর্বে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্ল্যান প্রোগ্রাম করে আপনাকে বিজনেস শুরু করতে হবে। শূন্য থেকে বিজনেস দাঁড় করতে গেলে আপনাকে মনে রাখতে হবে যুদ্ধে করে নয় কৌশলে বড় হতে হবে। আপনি চাইলে তোর হিসাবে অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটা মনে হয় আপনার অনেক বড় একটা মাধ্যম অর্থ উপার্জন করার জন্য।
একটি ই-কমার্স ব্যবসার আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল যে এটি আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি টার্গেট অডিয়েন্স শনাক্ত করতে এবং তাদের কাছে খুব সহজে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। মনে করেন যদি আপনি কিছু পণ্য বা পণ্য বিক্রি করছেন আপনি সহজে ইন্টারনেট থেকে বাজার গবেষণা করে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। আপনি চাইলে শিক্ষার্থী হিসেবে ই-কমার্স বিজনেস করতে পারেন।
খন্ডকালীন চাকরি
খন্ডকালীন চাকরি করে আপনি ছাত্র হিসেবে অর্থ উদযাপন করতে পারেন। ছাত্র হিসাবে অর্থ উপার্জন করা এবং ফুলটাইম কাজ করেও তাদের পক্ষে সম্ভব না এজন্য আপনি খন্ডকালীন চাকরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। মনে করেন আপনি একটা দোকানে কয়েক ঘন্টার জন্য কাজ করলেন, এখনো বড় ধরনের লোকের এসিস্ট্যান্ট হিসেবে থাকলেন। বা কোন কোচিং সেন্টারে কয়েক ঘন্টার জন্য থাকলেন। খন্ডকালীন চাকরি বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করা কি খন্ডকালীন যা করে বলে।
আসলে কি একজন শিক্ষার্থীর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত কঠোর অধ্যায়ন করা। যদি খন্ডকালীন চাকরি তার পড়াশোনা কি বিরক্ত করে, তবে তার উচিত সেগুলো বন্ধ করা। এবং ভালো করে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া। যদি তিনি পড়াশোনা পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরিও করতে পারেন তার জন্য একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট।
সবাই খন্ডকালীন চাকরি পাশাপাশি পড়াশোনা করতে পারে না। দেখছেন সেই চাকরি করতে গিয়ে তার পড়াশোনার মন মানসিকতা হারিয়ে ফেলে। বাসায় এসে পড়তে ইচ্ছে করেনা। আবার অনেকেই আছে অনেক পরিশ্রম করে কাজ করে আসার পরও বাসায় নির্দিষ্ট সময় পড়তে বসে এবং তার পড়াগুলো সব ঠিকঠাক রাখে।
আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থী আছে তারা খন্ডকালীন চাকরি করে। অর্থ উপার্জন করে থাকে বিশেষ করে যারা বাইরে থাকে লেখাপড়া করে শহরে থাকে। তাদের জন্য এই খন্ডকালীন চাকরি অনেক সহজ বিষয়। আপনি চাইলে লেখাপড়া পাশাপাশি যদি আপনি পরিশ্রমে হন। তাহলে আপনি খন্ডকালীন চাকরি বেছে নিতে পারেন। এটা আপনার জন্য ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জনের একটা সুন্দর দিক।
লেখকের ফাইনাল মন্তব্য
আমি আশা করি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে একটা সুন্দর ধারণা পেয়েছেন যে আপনি ছাত্র হিসেবে কিভাবে অর্থ অর্জন করবেন। আমি যে আপনাকে দিকনির্দেশনা গুলো দিলাম, এই দিকনির্দেশনা গুলো আপনার ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জনের অনেক সুন্দর একটা দিক। আপনি চাইলে ছাত্র হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এই কাজগুলোর মধ্য দিয়ে। আমি আশা করি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে একটি সুন্দর ধারণা পেয়েছেন, ছাত্র হিসেবে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়।
আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url