১১ টি SEO ফ্রেন্টলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আপনি কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন, সেটিকে প্রথমত গুগলে সার্চ করে দেখে নিন যেকোনো ধরনের আর্টিকেল এক নম্বরের র‍্যাঙ্ক করেছে  রয়েছে। তারপর ছয় থেকে সাতটি আঁটিকে দেখে নিয়ে সব হেডিং রিসার্চ করে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারে।  

 

১১-টি-SEO-ফ্রেন্টলি-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম

আপনি কি এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখতে আগ্রহী? বেশ, এটা একটা কৌশল যেটা আপনার ব্লগ অথবা আপনার লেখার কেরিয়ার কে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে পারে।যে কেউ আর্টিকেল লিখতে পারে কিন্তু এসইও অপ্টিমাইজড  আর্টিকেল লেখার জন্য বিশেষ অনুশীলন বা চর্চা করা প্রয়োজন। এখানে আমরা আজকে এসইও ফ্রেন্ডলি আরটিকে লেখার কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করব। আর্টিকেল লেখার বেসিক নিয়ম জানতে এই পোস্ট পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ

 এসইও ( SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

এজন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার পোস্ট লেখা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। রিসার্চ বা গবেষণা ছাড়া এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখা সম্ভব নয়। যদি লিখতে চান তাহলে সেটা অন্ধকারে হাতড়ানোর মতো অবস্থা হবে। তাই আর্টিকেল লেখার আগে কয়েকটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন-

টার্গেট কিওয়ার্ড

আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য

আর্টিকেলের টাইপ

আর্টিকেল বিশ্লেষণ 

পাঠক জিজ্ঞাসা

টার্গেট কিওয়ার্ড

কি ওয়ার্ডের জন্য Ahrefs বা  SEMrush থেকে দেখে নিন। টার্গেট কীওয়ার্ডগুলো। এই দুইটা টুল আপনাকে ভালো টপিক অনুসন্ধানে সাহায্য করবে এবং সঠিক কীওয়াড অপটিমাইজেশনে সাহায্য করবে। এই এই টুলগুলো আপনাকে বুঝিয়ে দিবে কিভাবে সঠিক কেউ আর টার্গেট করবেন। 

কনটেন্টের টাইপ 

আপনার টার্গেট কীওয়ার্ডকে গুগল সার্চ এর মাধ্যমে দেখে নিতে পারেন কোন ধরনের আর্টিকেল এর  র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে। এটা অনুসন্ধানের অংশ এবং এবং গুগল আপনাকে বোঝাতে সাহায্য করবে কোন ধরনের আর্টিকেল গুগল অনুসন্ধানের জন্য ভালো মনে করে। 

আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য

একটি আর্টিকেল এর দৈর্ঘ্য কতটুকু হওয়া প্রয়োজন সেটা জানার জন্য এসইও র‍্যাম্বার  (SEO Rembler) ব্যবহার করুন। আপনি বিনামূল্যে এই সেবাটা গ্রহণ করতে পারেন এটা আপনাকে একটা ধারণা দিবে র‍্যাঙ্কিংয়ে  এর প্রথম পেজে আপনার জন্য একটা আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য কেমন হওয়া প্রয়োজন।

আর্টিকেল বিশ্লেষণ

আপনার টার্গেট কীওয়ার্ডের টপ টেন রেজাল্ট বিশ্লেষণ করুন। যদিও এটা কষ্টসাধ্য কিন্তু এসবও রাইটিং এর টপ র‍্যাঙ্কিংয়ে  যাওয়া কোন সহজ ব্যাপার নয়। এটা আপনার টপ রেংকে যাওয়ার সহজ করে দিবে। আপনার এনালাইসিসের মাধ্যমে আপনার কন্টেনের একটি রূপরেখা তৈরি করুন।

পাঠক জিজ্ঞাসা

পাঠক  জিজ্ঞাসা আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড অনুসন্ধান করুন গুগলে এবং সেটা আপনাকে একটি সেকশন দেখাবে সার্চ রেজাল্ট এর নিচে, যেখানে লেখা থাকে, people also ask for (লোকজন আরো জিজ্ঞাসা করে) এই প্রশ্নগুলোকে আপনি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে অন্ধভক্ত করে এগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এটা একটা এসইও অপ্টিমাইজড কোনটির লেখার স্মার্ট পদ্ধতি, যেগুলো ব্যবহারকারীরা সচরাচর জানতে চায়। 

এখন আমরা জানবো এসব ফ্রেন্ডলি কনটিনির জন্য আপনার পোস্টে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

পোস্ট টাইটেল এবং মেটা টাইটেল 

পোস্ট টাইটেলঃ এটা হলো পাঠকরা ওয়েবসাইটে আপনার পোস্টের টাইটেল কিভাবে দেখে।

মেটা টাইটেলঃ ম্যাটাটেল হল সার্চইঞ্জিন কিভাবে আপনার পোস্ট অনুসন্ধানকারীদের দেখায়।

যদি আপনি এসব সেটিং এর একটি মেটা টাইটেল স্পেসসিফিক করে না দেন তাহলে আপনার পোস্ট টাইটেল সেটা টাইটেল হিসাবে ধরে নেওয়া হবে।

পোস্ট মেটা ডেসক্রিপশন

সার্চইঞ্জি র‍্যাঙ্কিংয়েপোস্ট মেটা ডিসক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মেটা ডেসক্রিপশন কে আপনার ব্লগপোস্টের জন্য সেলস কপি হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। ১৫৬ অংকের মধ্যে আপনাকে কীওয়ার্ড সংযুক্ত করতে হবে, যেন সেটা ব্যবহারকারীদের নিকট আকর্ষিক হয়। যদি আপনি এখনো মেটা ডিসক্রিপশন সংযুক্তির কাজটা না করে থাকেন তাহলে এখনি করে ফেলুন।

ইমেজ অলটারনেটিভ অ্যাট্রিবিউট 

গুগল একটা ইমেজ বা ছবিকে পড়তে পারেনা। তাই সার্চইঞ্জিন গুগলকে আপনার সংযুক্ত ছবি কে সম্পর্কিত গুগলকে আপনার সংযুক্ত ছবি কি সম্পর্কিত সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সংযুক্ত ছবির সাথে সঠিক বর্ণনা/নাম ব্যবহার করতে হবে এজন্য যখনই আপনি একটি ছবি আপলোড করবেন, ম্যানুয়ালি HTML অল্টারনেট অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করবেন।

ইন্টারলিঙ্ক এবং অ্যাঙ্কর টেক্সট 

যখন আপনি একটি নতুন পোস্ট লিখবেন তখন অবশ্যই আগের ব্লগপোস্টগুলো প্রাসঙ্গিক লীগ নতুন পোস্টে সংযুক্ত করে দিবেন। এটা একটা ভালো চিন্তা, সেটা আপনার পাঠকদের আপনার সাইটে সংযুক্ত রাখবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার আগের পোস্টগুলো পুনরায় চেক করার সুযোগ পাবে। এটা আপনার সাইটের নবায়নযোগ্য হতে সাহায্য করবে সেটা বাউন্ড রেট কমিয়ে দিবে এবং এটা আরো একটি এসিও ফ্যাক্টর। এবং আপনি এন্টার লিংকে যাবেন তখন এংকর টেক্সট টেকনিক ব্যবহার করুন। তবে আপনার পোস্ট টাইটেলে আপনি যে পোস্ট লিঙ্ক সংযুক্ত করবেন সেটার টাইটেলে অবশ্যই মেইন কীওয়ার্ড সংযুক্ত করবেন। 

 

১১-টি-SEO-ফ্রেন্টলি-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম -সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

পার্মালিঙ্কে স্টপওয়ার্ড

একটি ব্লগ পোস্টে   A, an, the এবং এরকম কিছু লিস্টের শব্দ সার্চ ইঞ্জিন ইগনোর করে। আমরা আমাদের পোস্ট টাইটেলে সাধারণত অনেক স্টপ হোয়াট ব্যবহার করে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা একটি পোস্টের টাইটেলের লিখি এভাবে-

3 ways to make a blog business plan. এর জন্য আমাদের পার্মালিংক হবে- 

Donain.com/-ways-a-blog-business-plan.html.

এখানে  to এবং  a  স্টপ ওয়ার্কস। এখন আমরা এটাই এডিট করে চেঞ্জ করবো-

Blog-business-plan যেটা স্টপওয়ার্ড এভয়েড করে।

এখানে সতর্কতা হল, একবার পোস্ট পাবলিশ হয়ে গেলে সেটা আর চেঞ্জ করা যাবে না।

H1, H2, H3, হেডিংস 

সঠিক হেডিং ট্যাগ এসবও কপিরাইটিং এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। ডিফল্টরূপে, যেকোনো এসইও অপ্টিমাইজড থিমে, পোস্ট হেডিং গুলো  H1 হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করে। পরবর্তী সাবহেডিং এর জন্য আমরা H2 হেডিং ব্যবহার করতে পারি এবং তারপর H3 হেডিং এবং এভাবে চলতেই থাকবে। ইফেক্টিভ এর রাইটিং এর জন্য সঠিক হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা একটি ভালো সিদ্ধান্ত হবে আপনার জন্য। বিশেষ করে যখন আপনি একটি দীর্ঘ পোষ্ট লিখবেন। এসবও কমিইউনিটি অনুযায়ী, কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত H1, H2 H3 ট্যাগের মধ্যে। 

লেখকের ফাইনাল মন্তব্য 

পরিশেষে বলা যায়, এসবও  ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনি খুব সহজে আপনার ব্লগ/ সাইটকে রেংকিং এর শীর্ষে নিয়ে আসার মত উপযুক্ত পোস্ট লিখতে পারবেন এটা একসাথে আপনার ব্লগিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ উপার্জনের সহজ করবে বলে আশা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url