বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

 বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম, কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথমে কোন ধাপটি অবলম্বন করতে হবে এবং এসিও ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এই সমস্ত বিষয় নিয়ে থাকছে আমাদের এই পোস্টে এবং কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই সম্পর্কে পুরো পোস্ট জুড়ে থাকছে আমাদের এই আর্টিকেলে। 

বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম

শুরুতেই একটা কথা বলে রাখি, আর্টিকেল লেখা সঠিক নিয়ম মেনে লিখলে গুগলে সহজে র‍্যাঙ্ক করা যায়। এস ইউ ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনেকেই শুদ্ধভাবে করতে জানেন না। যার ফলে গুগল র‍্যাঙ্কিং এ অনেক পিছিয়ে পড়েন। আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে এসইও ফেললে আর্টিকেল লিখবেন এবং কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কি কি করতে হয় এ সমস্ত বিষয় নিয়ে থাকছে আজকের এই আর্টিকেল।

পেজ সূচিপত্র    

ভূমিকা   

বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলেও প্রথমে আপনাকে কি বিষয়ে লিখবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। এবং উক্ত বিষয়ে গুগল কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখবেন। কিওয়ার্ড হলো- "আপনি এই পোস্টটি যে শব্দ দ্বারা খুজে পেয়েছেন তাকে কিওয়ার্ড বলে। 

আরো পড়ুনঃ  Facebook url কি? ইউআরএল কিভাবে পরিবর্তন করে?

আর্টিকেল কি

আর্টিকেল কি! আর্টিকেল হল এমন একটি লেখা যায় একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্কে ধারণা দেয়। আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন তথ্যপূর্ণ, মতামত ভিত্তিক, বিশ্লেষণধর্মী, ইত্যাদি। বাংলা আর্টিকেল লিখতে সহজ ও  শুদ্ধ ভাষায় লেখার চেষ্টা করা উচিত, যাতে পাঠকরা সহজে বুঝতে পারে, আর্টিকেলটি এমনভাবে লিখতে হবে যাতে পাঠকরা করতে আগ্রহী হয় এবং তথ্যগুলি সহজেই আয়িত্ব করতে পারে। 

ফোকাস কীওয়ার্ড নির্বাচন

ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন, প্রথমে আপনাকে এমন একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যা আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয়টি তুলে ধরে। এই কিওয়ার্ডে আপনার আর্টিকেলকে সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষে ওঠার সুযোগ পায়। কিওয়ার্ড গবেষণা করার জন্য বিভিন্ন টুল ব্যবহার করতে পারেন, যেমন গুগল কিওয়ার্ড কিওয়ার্ড প্ল্যানার। কি ওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় মনে রাখতে হবে যে, এটি অবশ্যই আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত হতে হবে এবং সার্চ ইঞ্জিনের জনপ্রিয় হতে হবে। 

আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করুন

আর্টিকেলে ভূমিকা যুক্ত করুন, প্রতিটি আর্টিকেলের শুরুতে একটি ভূমিকা থাকা উচিত। যা পাঠককে মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দেয়। ইতি পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভূমিকা অংশে আপনি কি বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং কেন একটি গুরুত্বপূর্ণ তা উল্লেখ্য করতে পারেন। 

ভূমিকা অংশটি ছোট হলেও এটি হতে হবে তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় যাতে পাঠক আর্টিকেলটি পড়েতে আগ্রহী হয়। উদাহরণস্বরূপ আপনার আর্টিকেলে বিষয়বস্তু হলো "স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস," তাহলে ভূমিকা অংশ আপনি বলতে পারেন কেন স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে এটি আপনার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে।

লেখাগুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লেখা

লেখাগুলো প্যারাগ্রাফ আকারে লেখা, দীর্ঘ লেখাকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে এ ভাগ করুন। এতে পাঠক সহজে পড়তে ও বুঝতে পারবে। প্রতিটি প্যারাগ্রাফে একটি করে প্রধান তুলে ধরুন এবং সেই পয়েন্টটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করুন।

এতে পাঠক ধাপে ধাপে বিষয়টি বুঝতে পারবে। দীর্ঘ লেখা গুলোকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে ভাগ করলে পাঠকের জন্য পড়া সহজ হয় এবং তারা বিষয়টি সহজেই আয়ত্ত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হলো- "স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস," তাহলে আপনি প্রতিটি প্যারাগ্রাফে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাদ্য, তাদের পুষ্টিগুণ এবং সেগুলির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে পারেন

নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার

নাম্বার বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার, বিভিন্ন তথ্য ও পয়েন্ট গুলো সহজে উপস্থাপন করার জন্য নাম্বারও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন। এতে আর্টিকেলটি দেখতে সহজও পড়তে আনন্দদায়ক হবে। বুলেট পয়েন্ট ও নাম্বার ব্যবহার করলে তথ্যগুলো সজ্জিত করলে পাঠক দ্রুত বিষয়টি বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি মনে করেন "দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায়" এই সম্পর্কে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম লিখবেন। তাহলে প্রতিটি টিপস আলাদা আলাদা নাম্বার অফ বুলেট পয়েন্টে উপস্থাপন করতে হবে। এতে পাঠক সহজেই প্রতিটি টিপস পড়তে এবং বুঝতে পারবে।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

একটি ভালো আর্টিকেল লেখার নিয়ম সাধারণত নিম্নলিখিত অনুসারে হয়ে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি সেই নিয়মগুলি। আমি আপনাদের মাঝে  এ টু জেড সব নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বাংলা আর্টিকেল এবং ইংলিশ আর্টিকেল লিখে লাভ টাকা আয় করা সম্ভব শুধু আর্টিকেল নয় ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখে ফ্রিল্যান্সিং করলে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি, কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হচ্ছে বিষয় নির্বাচন করা, এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। নিচে সম্পূর্ণ তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

বিষয় নির্বাচনঃ প্রথমে আপনার আর্টিকেলের বিষয় নির্বাচন করতে হবে। এবং এটি আপনার লেখার আঁধার হবে এবং আপনার লেখার উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলবে। এটি হচ্ছে কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ।

প্রধান বিষয়ে প্রদর্শন করাঃ প্রধান বিষয়ে প্রধান অনুচ্ছেদ ব্যবহার করুন, এবং আবার বিস্তারিত প্রকাশের জন্য অন্যান্য অনুচ্ছেদ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার আর্টিকেলটি হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয় সুন্দর।

লেখার কৌশলঃ আপনার লেখা উপযুক্ত এবং স্পষ্ট হতে হবে অবশ্যই। লেখার ভাষা সহজ এবং সহজে বোধগম্য যেন হয় সেটিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সংক্ষেপণ এবং পরিষ্কারতাঃ যেকোন বিষয় অথবা যে বিষয়ে আপনার আর্টিকেল লিখবেন মনে রাখবেন সংক্ষেপে লেখার বা উপস্থাপনার ভ্যালুয়েশনটা বেশি থাকে। চেষ্টা করবেন সংক্ষেপে লেখা এবং উপস্থাপনা করার এবং অবশ্যই পরিষ্কারভাবে বুঝানো। 

প্রাথমিক ধারণাঃ লেখা শুরুর অংশে পাঠকদের আগে ধারণা দিতে হবে লেখার বিষয়ে, যাতে পাঠকগণ পুরো সময় জুড়ে আপনার আর্টিকেলটি পড়ে। 

লেখার মধ্যে ধারণা প্রকাশ করাঃ প্রত্যেকটি লেখার মধ্যে বা লেখার ধারণার বা এলাকার ধারণার মধ্যে প্রমাণ সবকিছু উপস্থাপন করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আপনার লেখা যত সম্পূর্ণ ও স্বাভাবিক হবে আপনার আর্টিকেল ততো বেশি ভালো হবে।

ত্রুটি পরিহারঃ লেখার শেষে নিজের লেখা পড়ে যাচাই করে দেখবেন, এবং নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার লেখার কোন ত্রুটি নেই। কারণ ভুল ত্রুটি হলে আর্টিকেলের মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন একটা বানান ও যেন ভুল না হয়।

শীর্ষক আর শুরুঃ  একটি স্পষ্ট এবং আকর্ষণীয় শীর্ষক নির্বাচন করুন, এবং লেখা শুরুতে আপনার আর্টিকেলের পুরো তথ্য এমন ভাবে উপস্থাপন করুন যেন ওই শীর্ষক ৩ থেকে ৪ লাইনের মধ্যে শেষ করা যায়। যার ফলে পাঠক বৃন্দ আপনার পুরো আর্টিকেলের ব্যাপারে একটি স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পারে। 

বানান সঠিক রাখাঃ আপনার আর্টিকেল লেখা হয়ে গেলে, পুরো আর্টিকেলটি একবার ভালো করে চেক করে নিবেন যে কোথাও বানান ভুল হয়েছে কিনা।  কেননা একটা ছোট বানানো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়মের বাইরে চলে যেতে পারে। 

উপরে যে সম্পর্কে আমি লিখেছি তা শুধুমাত্র বাংলা আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় সেই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। কিন্তু এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় এবং কেন লিখতে হয় সে ক্ষেত্রে নিচে আলোচনা করা হলো বলে রাখি। এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল আপনার পোস্টকে আর্টিকেলকে গুগল র‍্যাংকিং এ এক নম্বরে নিয়ে যেতে পারবে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম-সম্পর্কে-সবকিছু-জানুন

এস ইউ ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

এসইও ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে শিখতে হবে। তাছাড়া আপনি গুগলে আর্টিকেলকে র‍্যাংক করাতে পারবেন না। এসইও (SEO) Search Engine Optimization, এর অর্থ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

একটি আর্টিকেল কে গুগলের র‍্যাংক করানোর জন্য অবশ্যই এসএ করতে হবে। এসিও না করলে কোন আর্টিকেল গুগলের র‍্যাংকিং এ আসতে পারেনা। যার জন্য আপনার আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে এসইও থাকা বাধ্যতামূলক। আসুন এসিও ফেললে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সঙ্গে বিস্তারিত জেনে নেই।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ১ 

বিষয় নির্ধারণ করাঃ কোন পোস্ট লেখার প্রথম দিকেই আপনি কি বিষয়ে লিখবেন তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যাকে বিষয় নির্ধারণ করা বলা হয়ে থাকে।

কিওয়ার্ড রিচার্জ করাঃ আপনি যে বিষয় নির্ধারণ করছেন, গুগলে যে ঠিক সেই বিষয় কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। কেননা আপনি যদি চান আপনার পোস্ট ভার্টিকেল গুগলে র‍্যাঙ্কিংয়ে এ এক নাম্বারে থাকুক তাহলে আপনাকে কিওয়ার্ড রিচার্জ করা জানতে হবে।

কিওয়ার্ড রিচার্জ করার কিছু ফ্রি ওয়েবসাইট রয়েছে বাট টুলস রয়েছে আমি সেগুলো দিয়ে দিচ্ছি চাইলে সেখান থেকে কিওয়ার্ড রিচার্জ করে নিতে পারেন। শুরুতে গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার Google Planner রয়েছে আপনারা Google এ সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।

  • Ahrefs  
  • Keyword generator 
  • Google keywor planner

এ সমস্ত ওয়েবসাইট থেকে বা এই সমস্ত টুলস ব্যবহার করে আপনি আপনার নির্ধারণ করা বিষয়ক কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ফেলতে পারেন।

ফোকাস কিওয়ার্ড নির্ধারণ করাঃ ফোকাস কিওয়ার্ড বলতে আপনি যেই নির্ধারিত বিষয়ের উপর লিখবেন সেটাকে ফোকাস কিওয়ার্ড বলা হয়ে থাকে। ফোকাস কিওয়ার্ড এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে দুই রকম হয়ে থাকে। যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ে নির্ধারিত কিওয়ার্ড কে ফোকাস কীওয়ার্ড বলে এবং সেকেন্ডারি যেটা মেটা ডেসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ডের সাথে একবার থাকে।

মেটাডেসক্রিপশন এর ব্যবহারঃ মেটাল হচ্ছে আপনার আর্টিকেলে শুরুতে একদম শুরুতেই ২-৩ লাইন আপনার পুরো আর্টিকেল সম্পর্কে লেখা বা পুরো আর্টিকেলে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। যেখানে আপনার নির্ধারণ করা কিওয়ার্ড থাকতে হবে একবার। এবং দ্বিতীয় নির্ধারণ করা কি আর থাকতে হবে একবার।

টাইটেল নির্বাচনঃ আপনি যাকে ফোকাস কিওয়ার্ড ধরেছেন, আপনার লেখা আর্টিকেলের ক্ষেত্রে সেটাই টাইটেল হিসাবে ধরবেন। এবং শব্দের মধ্যে রাখবেন। আপনার সুবিধার্থে বলে রাখি টাইটেল এবং দুটো কিন্তু একই জিনিস আপনার নির্ধারিত বিষয় যার উপর আপনি লিখবেন।

মেটা ডেসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড রাখাঃ মেটা ডেসক্রিপশনে  আপনার নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে অথবা ফোকাস কিওয়ার্ড একবার রাখবেন এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড একবার রাখবেন। এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড মেটা ডিসক্রিপশন এর মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক এবং অবশ্যই একবার করে।

ফোকাস কি ওয়ার্ড পুরো পোস্টে ব্যবহারঃ আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড সারা পোস্ট জুড়ে হুবহু ৮ বার থাকতে হবে। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন ৮ বারের বেশি রাখলে সমস্যা হতে পারে এবং ৮ বারের কম রাখলে সমস্যা নেই। কিন্তু ৮ বার রাখাই ভালো, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে।

সূচিপত্র তৈরি করাঃ আপনি যে কিওয়ার্ডের উপর আর্টিকেল লিখেছেন, তার একটা সূচিপত্র তৈরি করতে হবে এটা করলে কি হবে, পাঠক বৃন্দ এসে আপনার আর্টিকেলের পুরো বর্ণনা অল্প সময়ের মধ্যে বুঝতে পারবে এবং পড়ার একটা আগ্রহ তৈরি হবে তার মধ্যে।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২ 

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২, বাংলা আর্টিকেল লেখার বিশেষ কিছু নিয়মের ব্যাপারে আলোচনা করার চেষ্টা করব। এই আলোচনার পূর্বে থাকছে বাংলা আর্টিকেলের ভিতরে বা অভ্যন্তরে বিশেষ কিছু করনীয় কাজ যা আপনার আর্টিকেলের গুগোল র‍্যাঙ্কিং এ নিয়ে যেতে বাধ্য করবে।

ফিচার ইমেজ যুক্ত করাঃ ধরুন আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সে বিষয়ের উপর একটা ছবি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে যুক্ত করলে নিশ্চয়ই দেখতে ভালো লাগবে তাই না? আর তাই আপনার আর্টিকেলের জন্য একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করুন। এবং ছবির সাথে মিল রেখে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডসহ কিছু শব্দ জুড়ে দিন। এতে আপনার আর্টিকেলটি দেখতে বেশ সুন্দর হবে। 

স্ক্রিনশটযুক্ত করার নিয়মঃ বাংলা আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সুন্দরভাবে বা পেশাদারভাবে স্ক্রিনশট দিতে জানতে হবে। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত কোন অংশ যেন স্ক্রীনশট এর ভিতর চলে না আসে। আর এজন্য আপনারা একটা সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন আমি ওইটার নাম দিয়ে দিচ্ছি সেটা হলো- Light shot এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করলে খুব সুন্দরভাবে স্ক্রিনশট দিতে পারবেন। 

ফিচার যুক্ত করার নিয়মঃ ফিচার ইমেজ যুক্ত করার সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে, কোন ছবি ডাউনলোড করে বা ছবির ইউ আর এল কপি করে কখনোই আপনার আর্টিকেলে যুক্ত করবেন না।কারণ ভবিষ্যতে যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে ওই ছবি ডিলিট করে দেওয়া হয় তখন আপনার আর্টিকেলে একটু ছবিটি দেখাবে না

তাছাড়া কপিরাইট হওয়ার সম্ভাবনা ও ১০০% থাকে। আর তাই আমার মতে ফিশার ইমেজ তৈরি করে নেওয়া। শেখ ইমেজ সেট করার সময় ইমেজ সেটিং এ অল্টারটেক্সট এবং টাইটেল টেক্সট এ অবশ্যই আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডে যে নামটা ব্যবহার করেছেন সেটাই ছবির টাইটেল টেক্সট এবং ওয়াল্টার টেক্সটে ব্যবহার করবেন।

কপিরাইট ফ্রি ছবি ব্যবহারঃ আপনি যদি চান যে, গুগল থেকে  কোন ছবি আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে রাখবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে, ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স থেকে ছবি ডাউনলোড করে নিতে হবে। প্রথমে গুগলে সার্চ করবেন এরপর ইমেজে ক্লিক করবেন, তারপর ডান পাশে দেখতে পাবেন টুলস নামে একটা অপশন আছে।

ওখানে ক্লিক করলে ইউজ রাইটস নামে একটি অপশন আছে, এখানে ক্লিক করলে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এই অপশনটি পেয়ে যাবেন। আর এখানে ক্লিক করলেই ফ্রি যত ছবি আছে আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

লাইন গ্যাপ দিয়ে আর্টিকেল লেখাঃ আর্টিকেল লেখা সবাই অবশ্যই লাইন গ্যাপ রেখে বা নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্যাপ রেখে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হবে। কতটুকু গ্যাপতে লিখতে হবে তা আমি বলে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ ৩.৫ এর মধ্যে একটি প্যারা লিখে ফেলতে হবে। যাতে করে পাঠক বিন্দু ঘাড়ে না যায়। 

আর্টিকেল ফরমেটঃ আর্টিকেল লেখা শেষ হয়ে গেলে আর্টিকেল ফরম্যাট হতে হবে।  ফরমেট মানে, ডিলিট করে দিতে হবে সেই ফরমেট না। এর মানে হচ্ছে পুরো আর্টিকেলের ভেতরে লেখার অংশগুলো জাস্টিফাই করতে হবে এবং অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করে নিতে হবে। যাতে লেখাগুলো সামনে দেখায় এবং দেখতেও সুন্দর লাগে।

বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ৩

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের অথবা কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করে আর্টিকেল লেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকেন ইনশাআল্লাহ পনার আর্টিকেল গুগল র‍্যাংকিং এ ১ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকবে। 

আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করাঃ  আপনি যে বিষয়ে বা যে ধরনের আগে লিখছেন, সেই সম্পর্কিত কিছু আপনার পোষ্টের মধ্যে বা ওয়েবসাইটের মধ্যে যদি থাকে তাহলে সেই পোস্টের লিংক সহকারে আরও পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে হবে। আশা করি আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে আরও পুরনো সেকশন কিভাবে যুক্ত করতে হয়।

ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করাঃ একটি আর্টিকেলের এসইও ঠিকঠাক ভাবে রাখতে হলে, অবশ্যই আপনাকে ওয়ান পেজ এসিও এবং অফ এসিও ভালোভাবে জানতে হবে।  সেক্ষেত্রে ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল লিঙ্ক যুক্ত করতে হবে। আমি আপনাকে একটা লিংক দিয়ে দিচ্ছি এই লিংকে ঢুকলে সবকিছু বুঝতে পারবেন, {ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল লিংক} কিভাবে যুক্ত করতে হয়। ইন্টার্নাল লিংক হচ্ছে লেখার মধ্যে লিংক করা এবং এক্সটার্নাল লিংক হচ্ছে আরো পড়ুন সেকশনে যুক্ত করা। 

ঠিকভাবে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করাঃ একটি এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সব থেকে সঠিক নিয়ম হলো ফোকাস সঠিক ব্যবহার। কেননা এই ফোকাস কিউআর টা আপনার পুরো পোস্ট জুড়ে খুব ভালোভাবে রাখতে হবে। আর এই ফোকাস এর মাধ্যমে আপনার গুগলের র‍্যাঙ্কিংয়ে এ খুঁজে পাওয়া যাবে।

রিভিশন করাঃ আর্টিকেল লেখা শেষে বার শেষ হয়ে গেলে, অবশ্যই আপনি এক থেকে দুইবার রিভিশন করে নিবেন। রিভিশন করার ফলে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে কোথাও ভুল হয়ে থাকলে সেগুলো সংশোধন করতে পারবেন। ছোট বানান বা ছোট ছোট মিসটেক গুলো সংশোধন করে পাবলিশ করবেন।

ভূমিকায় এবং শেষ কথা যুক্ত করাঃ একটি আর্টিকেলে বা এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলে সঠিকভাবে পরিপূর্ণ রাখতে হলে আপনাকে ভূমিকায় এবং সব শেষে, শেষে কথা, লেখকের মন্তব্য, করি সমাপ্তি ইত্যাদি নামে একটি অংশ বিশেষ রাখতে হবে। যাতে করে শেষ কথাটা আপনি দুই তিন লাইনের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে পারেন। বা আপনার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করতে পারেন এই শেষ কথায়। এতে আপনার আর্টিকেলটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং চমকপ্রদ হয়ে যাবে।

ইন্টার্নাল লিংক যুক্ত করা 

পাঠকদের আরও তথ্য পেতে সাহায্য করতে আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আর্টিকেল এর  লিংক দিন। এটি আপনার সাইটের এসইও র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করবে। ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করে আপনি পাঠকদের আপনার সাইটে আরো সময় ধরে রাখতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার সাইটে বিষয়গুলো হলো "স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস" তাহলে আপনি সময় মত খাবারের তালিকা ভালো মতো ঘুম জন্য টিপস" ইত্যাদি বিষয়ে আপনার ওয়েবসাইট আর্টিকেলের লিংক দিতে পারেন।

প্রয়োজনীয় ইমেজ ব্যবহার

পাঠকদের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করতে দরকারি ইমেজ ব্যবহার করুন। তবে ইমেজ এর নাম ও প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে হবে। ইমেজের সাথে প্রয়োজনীয় ক্যাপশন যোগ করুন যাতে পাঠক ইমেজের তাৎপর্য বুঝতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হলো- "স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস" তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যকর খাবারের ছবি এবং তাদের পুষ্টিগুণ সম্পৃক্ত তথ্যসহ ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন। আর একটা কথা মনে রাখবেন একটা আর্টিকেলে আপনার সর্বোচ্চ ৪ টি ফিচার ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন।

আর্টিকেল ফরম্যাটিং করা

পুরো আর্টিকেলটি সুন্দর ও প্রাসঙ্গিকভাবে ফরমেট করুন। হেডিং, সাবহেডিং, বোর্ড ও ইটালিক, ব্যবহার করে লেখাকে আকর্ষণীয় করে তুলুন। এছাড়াও, প্রয়োজনীয় মেটা ট্যাগ, হাইপারলিং ও তালিকা ব্যবহার করে আর্টিকেলটি আরো সুন্দর করে তুলুন, আর্টিকেল ফরমেটিং যত সুন্দর হবে পাঠকের তত মনোযোগ দিয়ে পড়তে  চাইবে। বিষয়বস্তু পড়তে এবং বুঝতে পারে, উদাহরণস্বরূপ আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হলো "স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস" তাহলে আপনি হেডিং ব্যবহার করে প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা করতে পারেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি বোল করে দিতে পারেন। আর্টিকেল লাইটিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

কপিরাইট এড়িয়ে চলা 

কপিরাইট এড়িয়ে চলা, কোনভাবে কপিরাইট কনটেন্ট ব্যবহার করবেন না সবসময় নিজস্ব ভাষায় ও নিজস্ব ধরনের লেখা তৈরি করুন। কপিরাইট কনটেন্ট ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের সুনাম ক্ষুন্ন হতে পারে এবং আইনগত সমস্যায় পড়তে পারেন। নিজস্ব ভাষায় ও ধারণার লেখা তৈরি করলে তা আরো মৌলিক ও আকর্ষণীয় হয়। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি " শীতের সকাল নিয়ে কিছু কথা" বিষয়ের লিখছেন তাহলে নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং ধারণা ভিত্তিতে তথ্য উপস্থাপন করতে পারেন।

লেখকের ফাইনাল মন্তব্য 

লিখতে হলে অথবা এসিও ফ্রেন্ডলি কোন ধরনের আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসেও ঠিকভাবে শিখতে হবে বা ভালোভাবে জানতে হবে। আমি যতটুকু শিখেছি তার মধ্যে আপনাদের শেখানোর চেষ্টা করেছি। এই নিয়মগুলি আশা করছি আপনার অনেক কাজে দিবে। তবে এভাবে পোস্ট লিখলে গুগল র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা সম্ভব বলে আশা করি।

আমি আশা করছি বাংলা আর্টিকেল লেখার পুরো নিয়ম এবং কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই সমস্ত ব্যাপারে আপনি আমার এই পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছেন বলে মনে করি। আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার একটু উপকার হয় তাহলে একটা কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url