মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

আজকে আপনাদের সাথে কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব বলে ঠিক করেছি,মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে ভালো রাখা যায় এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা।

মানসিক-স্বাস্থ্য-ভালো-রাখার-উপায়

মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়, এ জন্যই যা জানা জরুরী- আমাদের সকলের সাথে মিশতে হবে, প্রত্যেকদিন শরীর চর্চা করতে হবে, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে, সবার সাথে মিশতে হবে।  মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়। এই সম্পর্কে আরো সমস্ত কিছু খুঁটিনাটি জানতে আমার সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্র

মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন

মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন, অন্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবেন, যখনই সুযোগ পাবেন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবে, মানুষের সাথে মিশলে আপনার যে মানসিকভাবে অসুস্থতা বোধ করে সেটা আর থাকবে না।  মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যে ,মানুষের সাথে মেশা অনেক বড় একটা বিষয়। মানুষের সাথে মেশা এই জিনিসটা সবাই পারেনা। এইটাকে নিজের আয়ত্তে আনতে হয়! 

বন্ধু -বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনের সাথে নিয়মিত কথা বলবেন। আনন্দ বিনিময় করবেন দুঃখ-কষ্ট শেয়ার করবেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এসব অনেক জরুরী, এতে আপনার মন মানসিকতাও ভালো থাকবে এবং আত্মীয় সম্পর্ক অটল থাকবে, আপনার জীবনে যদি মানসিক স্বাস্থ্যই ভালো না থাকে তাহলে আপনি কোন কাজেই মনোযোগ নিয়ে আসতে পারবেন না, এইজন্য আপনাকে নিয়মিত মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করতে হবে, এবং ভালো ভালো কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই মিশুক হতে হবে। এই মিশুকতায় আপনাকে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক ভাবে উপকার নিয়ে আনবে। মানুষের সাথে মেশা এই জিনিসটা সবাই পারেনা, আপনি যখন মানুষের সাথে মিশবেন তখন আপনার যে একাকীত্বতা সেটা থাকবে না! আপনার যে মনের মধ্যে অশান্তি বা অসুস্থতা বোধ করেন সেটা মানুষের সাথে মিশলে আপনার আর কখনোই আসবে না বলে আমি আশা করি, এজন্য আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই বিশেষ করে। ভালো মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করতে হবে এমন কোন মানুষের সাথে মেশা যাবে না যে, মানুষ আপনাকে মানসিক স্বাস্থ্যের ভালো রাখার পরিবর্তে অশান্তি তৈরি করে দেই। এজন্য ভালো মানুষ দেখে নেশাটাই উত্তম তাহলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বড় একটা উপকার আনবে বলে আমি আশা করছি।

 যা ভালো লাগে তা-ই করা

যা ভালো লাগে তা-ই করা, আপনার যা ভালো লাগবে বা করতে ইচ্ছে করবে তা-ই করুন, আপনার যদি ঘুরতে যেতে, শপিং করতে, কিংবা ছবি তুলতে ভালো লাগে তাহলে তাই করুন। আপনি যে জিনিসটা উপভোগ করেন সেই কাজগুলো যখন করবেন তখন মন ভালো থাকবে, কিন্তু সেটা কোন উদ্দেশ্য বা মতলব থেকে করার দরকার নেই মানে আপনার ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগে কাজেই আপনাকে ক্রিকেটারই হতে হবে--- এমন না। শুধু উপভোগ করুন! 

যা ভালো লাগে তা-ই করা। আপনি যে কাজ করে মানসিক শান্তি পাবেন তা-ই করবেন কিন্তু হ্যাঁ! আপনার একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, অন্যের কোন ক্ষতি করে নিজের উপকার হয়। এমন কোন কাজ করা যাবে না। সবসময়ই এ কথা মাথায় রেখে আপনি কাজ করবেন, যেটা আপনার জন্য ভালো হয়, কিন্তু ওই একই কাজ করলে অন্যের ক্ষতি হয়, এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধরুন আপনি এমন একটা কাজ করেছেন যে কাজ করে অন্য একজন কষ্ট পেয়েছে বা ক্ষতি হয়েছে ওই যে কষ্ট পেল বা ক্ষতি হলো। এইটা আপনার মাথায় থেকেই যাবে,পরে যখন একা থাকবেন তখন ওই যে আপনার একজনকে কষ্ট দিয়েছেন বা তার ক্ষতি করেছে। 

ওইটা আবার মনে পড়লে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে, এজন্য বলতেছি মানুষের সাথে মিশুন বা যাই ভালো লাগে তাই করুন কোন সমস্যা নেই, কিন্তু এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন যে অন্যের ক্ষতি করে ভালো কিছু করা বা যা ইচ্ছা তাই করা যাবে না। বিশ্লেষকদের মতে" যারা অন্যের বাধ্যগত হয়ে নিজের খুশিকে দমিয়ে রাখেন তাদের মধ্যে খিটখিটে মেজাজ ও খুশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়, তাই নিজের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিন এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটবে

মানসিক-স্বাস্থ্য-ভালো-রাখার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা আবশ্যক

প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা আবশ্যক, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা করলে আপনার মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ গুলো বেড়ে যাবে, যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে, তাই শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন ম্যারাথন দৌড় বা ফুটবল খেলার প্রয়োজন নেই, আপনি নিয়মিত হাটাহাটি ও কাইক পরিশ্রম করে সুস্থ থাকতে পারেন। 

আপনি প্রত্যেকদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন! যদি আপনি মুসলিম হয়ে থাকেন ফজরের নামাজ জামাতের শহিদ পড়ার চেষ্টা করবেন, এবং নামাজের পর দশ থেকে বিশ মিনিট শরীরচর্চা করবে, দেখবেন আপনার মনের মধ্যে মানসিক শান্তি লাগা কাজ করবে,  এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বড় একটা উপকার দেখা দিবে। আপনি নিজে না করলে বুঝতে পারবেন না যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের অস্থিসন্ধি শক্ত হয় মানবদেহে ডেনসিটি বেড়ে যায়। 

শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা করা অনেক জরুরী। তবে প্রয়োজন এর চেয়ে বেশি কোন কিছুই ভালো না, তেমনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শরীর চর্চা করলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে, আপনার শরীরে যতটুকু ব্যায়াম করলে আপনি স্বস্তি বোধ করবেন ঠিক ততটুকুই আপনাকে প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা করতে হব, শরীরচর্চা কেবল মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখারই কাজ করে না। শারীরিক স্বাস্থ্যও অনেক সুন্দর রাখবে😊

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন, মানসিক স্বাস্থ্য কে অসুস্থ করার সবচাইতে খারাপ একটা দিক হচ্ছে দুশ্চিন্তা করা। যার মধ্যে যত দুশ্চিন্তা বেশি তার মানসিক স্বাস্থ্যের ভালো থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আমাদের কে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপরের উপায় গুলোর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল দুশ্চিন্তা দূরে রাখার চেষ্টা করা!! এই দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য আমি উপরে-- যা ভালো লাগে তা-ই করুন** এই সম্পর্কে একটা উপায় লিখেছি ওইটা পড়ে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, কি কি  করলে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা যায়।

সবার জীবনেই কাজের চাপ আছে, তাই বলে এই নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। এ সমস্যার সমাধানে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি চাপ সামলাবেন। যদি না পারেন তাহলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। দুশ্চিন্তায় একবার শুরু হলে চক্রবৃদ্ধি হারে বারে, আর সে চিন্তা শেষ না করে কোন কাজে মন দেওয়ার সম্ভাবনা হয় না। ফলে হয়তো ভেবে রেখেছেন এক ঘন্টা পর কোন কাজে বসবেন অহেতুক দুশ্চিন্তায় সে কাজকে পিছিয়ে দেবে আরো কয়েকগুণ। কোন সমস্যা থেকে বের হওয়ার প্রথম ধাপ হলো সমস্যা নিশ্চিত করা। দুশ্চিন্তা করা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিন্তু এখন এই দুশ্চিন্তা অহেতুক বা অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে শিখুন বারবার একই বিষয় নিয়ে চিন্তা করা--- একই সিদ্ধান্তে প্রশ্নবিদ্ধ করা এগুলোই অহেতুক দুশ্চিন্তার লক্ষণ!

বেশিরভাগ সময় মনে জমিয়ে রাখা কথাই সৃষ্টি করে দুশ্চিন্তা। তাই যখনই মনে হবে মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধছে, তখনই নিজের প্রিয় বন্ধু কিংবা কাছের মানুষ কাউকে সব খুলে বলুন দেখবেন নিজের যথেষ্ট ভারমুক্ত মনে হবে, অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিন যখনই মনে হবে অহেতুক চিন্তা নিজের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ভাবুন যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে, অতীতকে চাইলেও পরিবর্তন করা সম্ভব না! ফলে ওসব নিয়ে ভেবেও লাভ নেই অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিন বরং সবার জন্য ভালো এই, চিন্তা নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করুন তবেই এই দুষ্টচক্র  থেকে বের হওয়া যাবে। মনে রাখবেন-- দুশ্চিন্তা মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাধারায় বহিঃপ্রকাশ। দুশ্চিন্তা কয়টা দোষের কিছু না, কিন্তু খেয়াল রাখবেন দুশ্চিন্তাকে যেন আপনি নিয়ন্ত্রণ রাখেন দুশ্চিন্তার জন্য আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ না করে।  

প্রত্যেকদিন-শরীরচর্চা-আবশ্যক

সূর্যের আলো গায়ে মাখুন

সূর্যের আলো গায়ে মাখুন, সূর্যের আলো নিয়ে কথা বলতে গেলে শুরুতেই চলে আসে ভিটামিন ডি"এ কথা, আমরা সবাই জানি যে সূর্যের আলো  ভিটামিন ডি এর একটি বড় উৎস। ভিটামিন ডি শরীর ও মস্তিষ্কের  জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে ফলে মেজাজ আরো উন্নত হয়, কারণ অ্যাড্রোরফিন ও সেরোটোনিন এর উৎপাদন বেড়ে যায়। তবে রোদে গেলে  ত্বক ও চোখে নিরাপদ রাখুন। বিশেষ করে সকালের যে রোদ এটা শরীরের জন্য অনেক উপকারী এই রোদে মূলত আমি আগেই বলেছি এটি ভিটামিন ডি এর বড় একটি উৎস, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সকালের রোদ। এই রোদ শরীরের জন্য অনেক উপকারি। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত,সকালে যে রোদ টা শরীরে মাখানো বা শরীরে লাগাও এই রোদের মধ্যে অনেক উপকারিতা আছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যই আমাদের এই সকালের রোদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস! শুধু মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখেনা বরং নিজের শরীরকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে।

সকালের রোদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সকালে রোদ গায়ে মাখুন দেহের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হবে, এটি আপনার শরীরের সুখী হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণ করে, যা আমাদের মেজাজ উন্নত করে সূর্যের আলো আমাদের শরীরের হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ করে যার কারণে মানসিক স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে। শীতের সকালে মিষ্টি রোদ কার না পছন্দ। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সকলের রোদ গায়ে লাগার অনেক উপকার রয়েছে, এই যে সামনে শীত আসতেছে এই শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে এই রোদ আমাদের লাগাতে হবে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, মানুষের মন মেজাজ ভালো থাকার জন্য এবং ভালো ঘুমের জন্যে সূর্যের আলো খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেছেন সূর্যের আলোর সাথে হিসাব করে ঘড়ির কাঁটা চলে আর আমাদের শরীরের যে ঘড়ি আছে সেটি কাটা নিয়ন্ত্রণ করে সূর্যের আলো, আমাদের ঘুম পাড়ায় এবং জাগিয়ে তোলে। সূর্যের আলো এবং অন্ধকার মানুষের শরীরে কিছু হরমোন তৈরি করতে ও তা নিঃসরণের সহায়তা করে। মানুষের ত্বকে সূর্যের আলো পড়লে মেলানিন নামে একটি রাসায়নিক তৈরি হয়। মানুষের ঘুমের জন্য প্রয়োজন যে হরমোন সেটি হচ্ছে মেলাটোনিন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় এর মধ্যে এটি একটি বিশেষ ভূমিকা রাখে যা, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ** আশা করি উপরের উপায় গুলোর মধ্য দিয়ে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটবে এবং আপনার জীবন আরো সুন্দর হবে।

লেখকের ফাইনাল মন্তব্য- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আপনারা নিশ্চয়ই অনেক ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে, মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে ভালো রাখতে হয়, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য জরুরী। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য উপরের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। যেগুলো জানা জরুরি- মিশুক হওয়ার চেষ্টা করবেন, যা ভাল লাগে তাই করবে, প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা করার চেষ্টা করবেন, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করবে, যদি পারেন সকালের সূর্যের আলো শরীরে লাগার চেষ্টা করবেন, আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে,আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইন-ফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url